《는 প্রবাসী স্বর্ণ-গোধিকা। কোন কোন স্থানে এই জাতীয় গোসাপ প্রায় ১৮১৯ ফুট লম্বা হইয়া থাকে রাস্তার বিপরীত পাশ্বে গৃহস্থের বসতবাটীর একগান বড় ঘর। ঘরের মাটির দেয়ালটি জমি ইষ্টতে প্রায় দেড় হাত উচু । সকালবেল প্রায় আইট নয়টায় রাস্তা দিয়া যাইবার সময় দেখিতে পাইলাম, একটা ধূসর বর্ণের গোসাপ সেষ্ট দা ওয়ার নীচে হইতে মাটি খুড়িয়া একটি গভীর গৰ্ব কলিয়াছে । কাছে যাইতেই সে কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া অবশেষে চুটিয়া পলায়ন কবিল। প্রকা গু একটা গৰ্ব আর স্ত পাকার মাটি ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়িল না। গুপ্তস্থ বলিল - কয়েক দিন যাবৎ গোসাপট রেজিষ্ট দা ওয়ার এগানে-সেখানে গর্ত খুড়িতেছে । পডিয়া যাইবার ভয়ে আমরা ও বোল্পষ্ট মাটি দিয়া গৰ্ব বুজাঈয়া দিনেছি ; কিন্তু দেগিনেছি, ওটাকে মারিবার ব্যবস্থা ন করিতে পারলে আর নিস্কৃতি নাই । যাঙ্গ হউক প্রায় ঘণ্ট-দেড়েক পরে সেক্ট পথ দিয়া ফিরিবাব মুখে দেখিতে পাইলাম - গোসাপটি ফিরিয়া আসিয়া পূৰ্ব্বোক্ত গর্তের পাশেই আর একটা গৰ্ত্ত খডিতে মনোনিবেশ করিয়াছে। ব্যাপারটা কি—দেখিতে বডষ্ট কৌতুহল হষ্টল। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ফিরিয়া আসিয়া একটা নারিকেল-গাছের আড়ালে চুপ করিয়া বসিয়া দেখিতে লাগিলাম। আরও প্রায় আধ ঘণ্টা অতিবাভিত হইল । গর্ত ক্রমশ: বাডিয়াই চলিয়াছে। অবশেষে সে গর্তের মধ্যে শরীরের অৰ্দ্ধাংশ প্রবেশ করাষ্টয়া চপ করিয়া বহিল । পাচ মিনিট, দশ মিনিট, পনর মিনিট অতিক্রান্ত হইল— একটুও নড়াচড নাই । পিছনের পা ও লেজটি গৰ্ত্তের বাহিরে নিম্পন্দ ভাবে পড়িয়া আছে। ইতিমধ্যে আমাকে দাওয়া তদবস্থায় বসিয়া থাকিতে দেখিয়া আরও দুই-এক জন লোক আসিয়া জটিয়াছে । সকলকেই নিঃশব্দে থাকিতে পরামর্শ দিয়া দুই-এক পী অগ্রসর হইবামাত্রই থমকিয় দাড়াইলাম । গোসাপট তখন লেজস্টাকে ধীরে ধীরে এদিক-ওদিক নাডিতে কুৰু করিয়া দিয়াছে। সকলেই বলিল ও কিছু নয়, বাসা বাপ লণর জন্য গৰ্ব খুড়িতেছে । পাচ-সাত মিনিট অতিবাহিত হইবার পর গর্কের মধ্যে কিন্তু আর ও তাঙ্গার শরীরটা যেন প্রবল বেগে মডিয়া উঠিল । তার পরই লেজের প্রবল আস্ফালন সুরু হইয় গেল ! যেন সপাং সপাং করিয়৷ চাবক মারিতেছে । গর্তৃেব ভিক্ষত্রে কি ব্যাপার ঘটিতেছিল বাতির হইতে তাঙ্গ কিছুই বুঝিতে পারা গেল ন। প্রণয় মিনিট দশেক পর্যাস্ত এরূপ আক্ষণলন চলিবার পর গোসাপটা গৰ্ব হইতে বাতিল হইয়া আসিল – মুখে তাতার প্রায় আডাক্ট হাত লম্বা একটা খয়েরী রঙের সাপ। সাপটার গলায় কামড়াইয়া ধরিয়াছে। মুখটা তাহার একেবারে থে ২লাষ্টয়া গিয়াছে তথাপি সে থাকিয়া থাকিয় নাম ডঙ্গীতে মোচড় খাইতেছিল। সেই অবস্থায়ই কামড়াইয়া রাগিয়া গোসাপ সাপটকে চাবকের মত করিয়া বার-বার মাটিতে আছাড় মারিতে মারিতে নির্জীব করিয়া ফেলিল এবং মুখের দিক হইতে ধীরে ধীরে গিলিতে আরম্ভ করিল । খানিকট গিলিয়া আবার খানিকক্ষণ মাটিতে আছাড় মারে, আবার খানিকট গিলে, আবার আছাড় মারে । এষ্টরুপে প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যেই সাপটকে সম্পূর্ণ উদরন্থ করিয়া ফেলিল । সাপ ও কচ্ছপের ডিম গোসাপের অতি প্রিয় খাদ্য
পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।