পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক -डाइ নাকি,-যাক বাচা গেল ! তোরই কথা ভাবছিলাম আজ ক'দিন থেকে ! তাহার পর জগদীশবাবুর দিকে ফিরিয়া অমর বলিল— এ আমার অনেক দিনের বন্ধু, ম্যাটিক, আই-এস্সি সব একসঙ্গে পড়েছি। ও মেডিকেল কলেজে ঢুকল, আমি জেনারেল লাইনেই থেকে গেলাম। তুই এখানে এসেছিস । বিমল বলিল—তুই এখানে এলি কোথা থেকে ? —কি মুশকিল, এইখানেই যে আমাদের বাড়ী-ওপারে। বিমল জানিত অমর কোন বড়লোক জমিদারের পুত্র কিন্তু এইখানেই যে তাহার বাড়ী তাহা সে এই প্রথম শুনিল। জগদীশবাবু প্রশ্ন করিলেন—মথুরবাবু আছেন কেমন ? অমর হাসিয়া বলিল--রাবার কথা আর বলবেন না, আমেরিক থেকে কি এক ওষুধ আনিয়েছেন তাই খাচ্ছেন! আমার ওষুধটা বদলাবেন না কি ? জগদীশবাবু বলিলেন—কেমন আছেন আপনি ? —সমান্ত একটু ভাল । —ওই তবে চলুক । —চল গঙ্গার ধারে একটু বসা যাক কোথাও— জগদীশবাবুকে নমস্কার করিতে গিয়া বিমল সহসা লক্ষ্য করিল তাঙ্গর মুখের হাসিট কেমন যেন নিম্প্রাণ হইয়া গিয়াছে এবং তfহার ফোকলা দাতের ফাকে জি টে নড়িতেছে না । বাহির হইয়া বিমল প্রশ্ন করিল—হয়েছে কি তোর ? কথাটা শুনিয়া কেমন অপ্রতি ভ হইয়া অমর বলিল – চল সব বলছি,—তুই এসেছিস ভাল হয়েছে। নিকটেই গঙ্গার ধারে একটা নির্জন জায়গা বাছিয়া উভয়ে উপবেশন করিল। দামী সিগারেট-কেস হইতে সিগারেট বাহির করিয়া বিমলকে একটি দিয়। নিজে একটি ধরাইতে ধরাইতে অমর বলিল—সব কথা খুলে বলছি তোকে, কিন্তু ভাই কিছুতে যেন প্রকাশ না হয় । এক ফোকলা ছাড়া আর কেউ জানে না— বিমল একটু হাসিল, অমর বলিতে লাগিল। অপ্রত্যাশিত কিছু নয়, বিমল এইরূপই একটা কিছু নিৰ্ম্মোক وك؟« . প্রত্যাশা করিতেছিল । বড়লোকের ছেলেদের পদস্খলনের সেই সনাতন কাহিনী । সঙ্গদোষে পড়িয়া পদস্খলন, সংক্রামক ব্যাধি, মুহূর্তের ভুলের জন্য আজীবন মনস্তাপ এবং জলের মত অর্থব্যয় । ডাক্তারি পড়িতে পড়িতে এরূপ অনেক কাহিনীই সে শুনিয়াছে । কাহিনী শেষ করিয়া অমর বলিল—মুশকিল হয়েছে ভাই এখন বিচুকে নিয়ে । —বিস্তু কে ? —সব ভুলে গেছিস দেখছি । লরেটোর বিমুকে ভুলে গেলি ? —তাকে বিয়ে করেছিস নাকি ? -ईT । —শুনেছিলাম তোর বাবা-মা’র অমত আছে, বিয়ে হবে না--- —র্তাদের অমতেই লুকিয়ে বিয়ে করেছিলুম, সে অনেক কাগু, তার পর বাবা-মা সব ক্ষমা করেছেন ; বিস্তু এখন আইডিয়াল হিন্দু বধূ, টিপিকাল গৃহলক্ষ্মী যাকে বলে, ব্রত উপোস, পূজো-মনত ধূপধুনো গঙ্গাজল গোবরজল নিয়ে বিস্তু সকলের উপরে টেক্কা দিয়েছে । মা-বাবা বউমা বলতে অজ্ঞান ! কিন্তু আমি ভাই মহা মুশকিলে পড়েছি ! বিহু ঘূণাক্ষরে একথা জানে না এখনও ! বিমল বলিল--তার মানে ? —মানে, ভগুমি করছি । বিস্তুর কাছে "পোজ’ করেছি যে আমি কোন সন্ন্যাসীর কাছে মন্ত্র নিয়েছি এবং গুরুর আদেশ অকুযায়ী ব্রহ্মচর্যা পালন করছি । তুষ্ট ভাই একটা উপায় বলে দে আমাকে—অনেষ্ট ওপিনিয়ন চাই । বিমল বলিল—আচ্ছা, ভেবে দেখি । অমর প্রশ্ন করিল—তুই বিয়ে করিস নি এখনও ? —করেছি বইকি । —বউ কোথা ? —পড়ছে—এবার তার আই-এ পরীক্ষা । —তার মানে, কি নাগাদ আসবে এখানে ? —পরীক্ষা হয়ে গেলেই—হচ্ছে পরীক্ষা–বিমুর সঙ্গে তাহলে জমবে ভাল, এ-অঞ্চলে কলেজেপড়া মেয়ে আর একটিও নেই—