পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ভিক "विश्ल হাসিয়া বলিল-আচ্ছা থাক সে পরে হবে - এক মুখ হাসিয়া নন্দ মহাশয় ঝুঁকিয়া নমস্কার করিলেন । বিমল চলিয়া যাইবার একটু পরেই ব্যস্তসমস্তভাবে জগদীশবাবু আসিয়া হাজির হইলেন । —শুনলাম নাকি রমেনের স্ত্রীর কাল থেকে বড় কষ্ট হচ্ছে ! নন্দী মহাশয় বলিলেন—ই কষ্ট হচ্ছে বৌমার, আপনি এলেন বঁাচলাম। দু-দুবার লোক পাঠিয়েছিলাম আপনার কাছে। লেডী ডাক্তার, ভূধরবাবু আর আমাদের হাসপাতালের নতুন ডাক্তারবাবু, সব এসেছিলেন। লেউী ডাক্তার আর ভূধরবাবু ফরসেপ লাগাতে চাইছিলেন, নতুন ডাক্তারবাবু বললেন আগে একটা ওষুধ দিয়ে দেখা যাক, এই লিখে দিয়ে গেছেন তিনি দেখুন— নন্দী মহাশয় বিমলের প্রেসক্লপশনটি জগদীশবাবুকে দিলেন । জগদীশবাবু প্রেসক্লপশনটি ক্র কুঞ্চিত করিয়া দেখিলেন ৪ গম্ভীর ভাবেই ফেরত দিলেন । ননী মহাশয় পিছনের ভৃত্যদ্বয়কে ধমক দিলেন— - همد-... .s» -r٠ ভাষাহারা Gg. ঢুলছিস নাকি ব্যাটার, জোরে বাতাস কর—জগদীশবাৰু, এই এইখানটায় বন্ধন আপনি হাওয়া পাবেন, তার পর কি রকম দেখলেন প্রেসক্লপশনটা— —আমাদের কেতাব-কোরাণ অনুসারে ঠিকই । তবে বউমার ধাত আমি চিনি কি না, তাই এই ওষুধটার ডোজটা আমি একটু কমিয়ে দিতে চাই । –দিন । জগদীশবাবু ব্রোমাইডের ডোজটা একটু কমাইয়া দিলেন। তাহার পর সহসা তাহার মুখটা হাসিতে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল, ফোকলা দাতের ফাকে জিবটা উকি মারিতে লাগিল –বুড়ো মামুষের একটা কথা শুনবেন ? —কি বলুন । —চণ্ডীতলা থেকে একটু মাটি নিয়ে এসে পানাপুকুরের জলের সঙ্গে গুলে পেটে বেশ ক’রে একটি প্রলেপ দিইয়ে দিন। বড় বড় লেবার কেস যেখানে কিছুতে হালে পানি মেলে না, সেখানে ঐ চণ্ডীতলার মাটি মূখ রক্ষে করেছে ! ওষুধটা চলুক, কিন্তু প্রলেপটাও দিন। চণ্ডীতলার মাটি আনিবার জন্য তৎক্ষণাং লোক ছুটিল। [ ক্রমশঃ ভাষাহার। ঐনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “ভালবাসি, ভালবাসি’— দূরে যেতে কাছে আসি নিরালায় বলে চলেযাই । আসা-যাওয়া শুধু সার, বলা কি হবে না আর ? প্রকাশের ভাষা কোথা পাই ! দিনের আকাশে মোর জাগরণ স্বকঠোর, স্বপনতারকা রূপহার, রয়েছে তবুও নাই, হৃদয়ের ভাষা তাই স্বারে দ্বারে মাথা কুটে সারা। দিবসের অবসান,— লক্ষ তারার গান, রাত্রির পুলকিত ভাষা ; এ হৃদয় উন্মুখ, সে ভাষার কণাটুক পেলে পুরে জীবনের আশা ।