পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها که در ۹ اما ༢༤ চল। ও মেয়ে যদি গনশার কনে না হয় তো কি বলেছি। ওর আর গনুশার বিয়ে অন্ত জায়গায় হতেই পারে না ; না বিশ্বাস হয় ওর ওদিকে বের সম্বন্ধ করতে থাক, গল্শার এদিকে করতে থাক, দু-জনেরই চুলদাড়ি না পেকে যায় তো --” আর কেহ বক্তৃতার তোড়ে অত খেয়াল করে নাই, গনশা বলিল, “তারও দা-দাড়ি পাকবার যদি ভয় থাকে তো আমার রাজজোটক কাজ নেই বাপ !” রাজেন অপ্রতিভ হইয়া বলিল, “কি বললাম আর কি বুঝলি, যা ।” ত্ৰিলোচন ভাবগম্ভীর স্বরে বলিল, “তাই যদি হয়— গনশাই যদি তার একমাত্র স্বামী হয় ৷ ” গনশ, রাজেন, ঘোংনা তিন জনেই ঘুরিয়া মুখের দিকে চাহিতে হঠাং থামিয়া গেল । সঙ্গে সঙ্গেই নিজের ভুলটা বুঝিতে পারিয়া ক্রটি-সংশোধন হিসাবে, গনশার অসন্তুষ্ট দৃষ্টির পানে চাহিয়া বলিল, “বলছিলাম—তুই-ই যদি ওর জন্মজন্মান্তরের পতি-দেবতা হ’স তো এ একটা সমিস্তে নয়?-ও বেচারি রইল কোথায়, তুই রইলি কোথায়---” রাজেন বলিল, “সমিস্তে নয় আবার ?” তাহার পর বিষয়টিকে সমুচিত কাব্যের রূপ দিবার জন্ত বলিল, “ধর— এই ধর তোমার গিয়ে,—একটি জায়গায় যদি একটি লতা থাকে আর অনেক দূরে তার সেই—তার সেই অচিন-প্রিয় গাছটি দাড়িয়ে থাকে তো কি হবে ?” অনেক কিছুই হইতে পারে —জায়গাটার কাছেপিঠে অন্য গাছ থাকিলে লতাটি তাহাই আশ্রয় করিবে, না থাকিলে ভূমে লতাইয়া ফিরিতে পারে, - ছাগলে মুড়াইতে পারে, গরুতে নি:শেষ করিতে পারে, -- রাজেন ঠিক কেমনটি উত্তর চায় বুঝিতে না পারায় সবাই তাহার দিকে চাহিয়া রহিল । কে-গুপ্ত আবার ‘অচিন-প্রিয়’ কথাটাও বুঝিতে না পারায় আরও বিমূঢ় ভাবে চাহিয়া ছিল, রাজেন বেশ একটি পরিষ্কার রূপক খাড়া করিতে না-পারায় আক্রোশটা তাহার উপর মিটাষ্টয়া এক দাবড়ি দিয়া বলিল, “শুকিয়ে মাবে না লতাটা মশাই –ই করে রয়েছেন উজবুকের মতন !” প্রবাসী צו88יל o কে গুপ্ত একটু অপ্রতিভ হইয়া বলিল, “ওঁ!” গোরাচাদ তাড়াতাড়ি বুদ্ধিমানের মত বলিল, “তা তো যাবেই ...তাহলে উপায় কি এখন গণেশের এই পাত্রীটি নিয়ে ?” রাজেন বলিল, “উপায় মিলন, আর কি ?” বৃক্ষ-লতার উদাহরণটা মনে তখনও টাটকা থাকায়— মিলনটা কি ভাবে হইতে পারে কেহ ভাল রকম ঠান্তর করিয়া উঠিতে পারিতেছিল না, রাজেনের কাছে বোকা হইবার ভয়ে ঘোংলা বলিল, “ঠিকই তো, মিলনই তো এখন ঘটাতে হবে ।” রাজেনকে ছাড়িয়া সকলের দৃষ্ট ঘোংলার উপর গিয়া পড়িল । গোরাচাদ প্রশ্নও করিয়া বসিল, “কিন্তু কি ক’রে ?” ঘোৎনা একটু থতমত খাইয় গেল। কিন্তু আখের ঘোংনাই তো ? গোরাচাদের কথাটা প্রতিক্ষেপ করিয়া বলিল, “কি ক’রে ... আরে কি ক’রে সে তো পরের কথা, আগে মেয়ে দেখাই হোক, কুষ্ঠাতে মিলুক, গনশার পছন্দ হোক। ওরই কনে যদি হয় তো কি ক’রে মিলন হবে সেইটেই সবচেয়ে ভাবনার কথা হ’ল ? তোঁর কপালে যদি দিল্লীতে চাকরি লেখা থাকে তো কি ক’রে যাবি সেইটেই বেশী ভাবনার কথা ?—আগে দেখ, চাকরিট। কত মাইনে, পছন্দ কিনা ৷ ” রাজেন বলিল, “এক বার চারি চক্ষুর মিলনটা তে। হয়ে যাক, বাকী আর সব তো পরে কথা ; ধর যদি কোন নদীর এক তীরে ..” আবার কোন দুর্বোধ্য রূপকের অবতারণা হইতেছে বুঝিয়া গোরাচাদ বলিল, “চল উঠি এবার, অনেক রাত হ’ল ।” v, তাহার পরদিন সন্ধ্যায় সবাই ঘাটে বসিয়াছিল। মিলন-সমস্যার আলোচনা হইতেছিল, এমন সময় ত্রিলোচন আসিয়া বলিল, “ধমের কল বাতাসে নড়ে ; একটা মস্ত বড় স্ববিধে হয়ে গেল। আজ সকাল থেকে জোড়াসাকোতেই ছিলাম কিনা ;—সেখান থেকেই আসছি।