পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8b" - --- সকলের চেয়ে বড় এবং সকলের চেয়ে ভাল কাজকরা । এই মন্দিরের সংলগ্ন হইয়া চারিটি মন্দির আছে। চারিটি মন্দিরে চারটি মূৰ্ত্তি—মহাদেবের মুষ্টি, গুরুমুঠি, গণেশমূৰ্ত্তি ও দুর্গামূৰ্ত্তি । সিঙ্গসরি মন্দিরের একদিকে প্রজ্ঞাপারমিতা, মঞ্জুত্র, তারা, অপরদিকে গণেশ, গুরু, নন্দীশ্বর, মহাকাল প্রভৃতি মূৰ্ত্তিতে শিব, দুর্গ ও ব্রহ্ম। বলিদ্বীপবাসীরা বলে তাহাদের সঙ্গে মজপহিত (Madjapahit) s forso owe Two wros I তাহাদের শিল্পেও হিন্দুদেবতাদের নাম আছে। গণেশ, ইন্দ্র, বিষ্ণু, কৃষ্ণ, স্বৰ্য্য, গরুড়, শিব—এই সমস্ত দেবতার নাম তাহাদের নিকট বিশেষ পরিচিত। কিন্তু তাহারা শিব (লিঙ্গ ) ও দুর্গ ব্যতীত কোন দেবতার পূজা করে না। ভারতবর্ষে যত গণেশমন্দির আছে তাহাদের মধ্যে পুন এবং মহাবলেশ্বরের মধ্যবৰ্ত্তী ওয়া-ই- (Wa-i) নামক স্থানে গণেশমন্দির সকলের চেয়ে বড়। এই মন্দিরে গণেশের একটি প্রকাও মূৰ্ত্তি আছে। যে সে আসিয়া এই গণেশের পায়ে জল ছোয়াষ্টয়া যায়। কোন বাধা নাই। ত্ৰিচিনপলীর পাহাড়ের উপর আর একটি বড় গণেশমন্দির আছে। শুধু গণেশের পূজা করে এমন সম্প্রদায় বড় একটা দেখা যায় না। পূৰ্ব্বে গাণপত্যের ছয়টি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। শঙ্করবিজয়ে পাওয়া যায় তাহারা ছয় রকম গণেশের পূজা করিত। ছয় সম্প্রদায় মহাগণপতি, হরিদ্রাগণপতি, উচ্ছিষ্ট বা হেরম্ব-গণপতি, স্বর্ণগণপতি এবং সন্তান-গণপতি এই ছয় গণপতির পূজা করিত। বারাণসীধামে এক গণেশ আছেন, তাহাকে লোকে চুক্তিরাজ বলে। যে কেহ বারাণসীর পঞ্চক্রোশীতে মন্দির দর্শন করিতে যান তাহাকে সাক্ষী-বিনায়ক দেখিয়া আসিতে হয়। সাক্ষী-বিনায়ক চুশ্চিরাজের অপর রূপ। কাহারও কাহারও ধারণ গণেশপূজা অতি আধুনিক। র্তাহারা বলিয়া থাকেন রামায়ণের উত্তরাকাণ্ডে শিবের একটি স্তোত্র আছে। এই স্তোত্রে শিবকেই গণেশ আখ্যা cनeब्र श्ब्रां८छ् ॥ ७ ग्रं८१* लिद इॉक्ल चांग्न cकए नन । কেননা, শিবের অন্থচরদের ‘গণ’ বলা হয়। রামায়ণে প্রবাসী –কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড পৃথক্ভাবে কোন দেবতার উল্লেখ নাই। পঞ্চতন্ত্র ধৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর গ্রন্থ । ইহাতে সিদ্ধিদাতা দেবতাদের প্রণাম আছে ; কিন্তু সেই দেবতাদের মধ্যে গণেশের নাম নাই। বৎস, ভটি, কালিদাস, ভারবি-ইহাদের গ্রন্থেও গণেশের নাম নাই। ইহাদের সময়ের কোন শিলালিপিতেও গণেশের নাম নাই। ভরতের নাট্যশাস্ত্রে রঙ্গভূমির শুভকামনায় অনেক দেবতার পূজার ব্যবস্থা আছে। দেবতাদের ফিরিস্তিও খুব লম্বা, কিন্তু তাঁহাতেও গণেশের নাম নাই। উত্তরপ্রদেশের কবি বাণভট্টের কাদম্বরীতে পাওয়া যায়—“অবকীর্ণভন্মস্থচিত-মগ্লেখিত-গণবৃন্দোলনমু অবগাহাবতীর্ণ গণপতি-গণ্ডস্থলগলিত-মঞ্জস্রবণ-সিক্তমূ।” এখানে ‘গণ’দের অধিপতি ও সহচর গণপতির উল্লেখ করা হইয়াছে। গন্ধৰ্ব্ব, কিন্নরদের কথাপ্রসঙ্গে গণপতির নামকরণ হইয়াছে। এই সমস্ত অজুহাতে ত্রবিজয়চন্দ্র মজুমদার মহাশয় ( বঙ্গদর্শন, ১৩১০, পূ: ৩৮৯ ) গণেশকে আধুনিক দেবতা বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে চাছেন। কিন্তু গণেশ যে আধুনিক দেবতা নন অতি প্রাচীন সাহিত্যে ও মূৰ্ত্তিতত্বে তাহার প্রমাণ অাছে। আমরা ক্রমশঃ তাহা দেখাইতে চেষ্টা করিব। ‘গণ’দিগের অধিপতি বলিয়৷ গণপতি, গণেশ এই নাম। ‘গণ’ বলিলে আমরা কি বুঝি ?—গণ বলিলে বোঝায় রূত্রের গণ, প্রমথ। মরুৎ যাহারা তাহারাও রুদ্রগণ। ইহাদের আকৃতির বর্ণনা কিছু উদ্ভট রকমের। ইহাদের অনেকেরই মুণ্ড কোন-না-কোন জন্তুর। গণপতি শৰ খুব প্রাচীন। ঋগ্বেদে ছুইবার গণপতি শখের প্রয়োগ আছে। তন্মধ্যে দ্বিতীয় মগুলে ( ২৩,১ )— গণানাং ত্বা গণপতিং হবামহে কবিং কবীনামুপমশ্রবস্তমম্। জ্যেষ্ঠরাজং ব্রহ্মণাং ব্ৰক্ষ্মণস্পত আ নং শৃঙ্খল্পতিভিঃ সীদ সাদনম্। বেদে আমরা গণদিগকে যেমন পাই, গণপতিকেও সেইরূপ পাই। ঋগ্বেদের এই গণপতি কিন্তু গণদিগের त्रशैचब्र अक्र ( बांच१), उच१→डि, दूइन्wष्टि ( ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, ১ পঞ্চিক, ৪খণ্ড, ৩ অঃ, ১ পটন )। ইহার পর আমরা তৈত্তিরীয় আরণ্যকে গণপতিকে পাই ।