পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն- সীি-কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ থাকিতে অস্বীকার করিলেন ; তখন শিবাজী রাগিয়া র্তাহাকে খুব ধমকাইলেন এবং নজরবন্দী করিয়া রাখিলেন । ব্যঙ্কাজী দেখিলেন, ধন-সম্পত্তি সব সপিয়া না দিলে মুক্তি পাওয়া দুরূহ। কিন্তু তিনি শিবাজীরই ভাই বটে ; গোপনে জোগাড়যন্ত্র ঠিক করিয়া এক রাত্রে শেীচের ভাণ করিয়া নদীতীরে এক নির্জন স্থানে গেলেন । সেগানে তাহার পাচজন অনুচর একটি ভেলা লইয়া প্রস্তুত ছিল । ব্যঙ্কাজী তাহাতে লাফাইয়া উঠিয়া নদী পার হইয়া নিজ রাজ্যে পৌছিলেন ( ২৩ জুলাই ) ! পরদিন প্রাতে এই সংবাদ পাইয়। শিবাজী মহা চটিয়া বলিলেন, “ও পলাইল কেন ? আমি কি উহাকে ধরিতে যাইতেছিলাম ?e** পলাইবার কথা নয়। আমি যাহা চাহিয়াছিলাম, দিবার ইচ্ছা না থাকিলে বলিলেই পারিত । অতি কনিষ্ঠ ত কনিষ্ঠ, বুদ্ধিও ছেলেমানুষের মত্ব দেখাইল ।” বাক্ষাজীর মন্ত্ৰীগণ প্রভূর খবর পাইয়। পলাইবার উদ্যোগ করিল, তাহাদের ধরিয়া শিবাজীর কাছে আনা হইল। কয়েকদিন আটক থাকিবার পর তিনি তাহাদের খালাস করিয়া খেলাৎ ও উপহার দিয়া তাঙ্কোরে পাঠাইয়া দিলেন ; নচেৎ এই নিষ্ফল নির্ধাতনে তাহার দুনাম ভিন্ন কোনই লাভ হইত না । শিবাজী কোলেরুশের উত্তরে শাহজীর সমস্ত জাগীর নিজে "দখল করিলেন । ফরাসী-দূত জারম্যা সাহেব তিরুমলবাড়ীতে শিবাজীর শিবির দেখিয়৷ এই বর্ণনা লিথিয়। গিয়াছেন – “র্তাহার শিবিরে কোন রকম ধূমধাম নাই, ভারী মালপত্র বা স্ত্রীলোকের ঝঙ্কাট নাই। সমস্ত শিবিরে দুটি মাত্র তাম্বু, তাহাও আকারে ছোট এবং মোট সাধারণ কাপড়ে তৈয়ারি ; একটায় থাকেন শিবাজী, অপরটায় র্তাহার পেশোয়া। মারাঠা অশ্বারোহীদের মাসিক বেতন দশ টাকা করিয়া, এবং তাহীদের ঘোড় ও সইস রাজাই দেন। প্রতি দুইজন সৈন্তের জন্ত তিনটি করিয়া ঘোড় রাখা হয়, এইজন্য তাহার খুব দ্রুত চলিতে পারে । শিবাজী গুপ্তচরদের মুক্তহস্তে টাকা দেন, আর তাহার তাহাকে সত্য খবর দিয়া দেশজয়ে বিশেষ সহায়তা করে ।” ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড ব্যঙ্কাজীকে ফিরাইয়া আনিবার আশা নাই দেখিয়৷ শিবাজী ২৭এ জুলাই তিরুমলবাড়ী ছাড়িয়া আবার উত্তরে আসিলেন। পথে বলি-কগু-পুরম্ চিদাম্বরম ও বৃদ্ধাচলম ( বিখ্যাত তীর্থ দুটি ) দর্শন করিয়া ক্রমে ৩রা অক্টোবর মাদ্রাজ হইতে দুই দিনের পথে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ইতিমধ্যে আরণি প্রভৃতি অনেক দুর্গ তাহার হাতে পড়িল । এখন তিনি খবর পাইলেন যে একমাস আগে আওরংজীবের হুকুমে মুঘল স্ববাদার বিজাপুর-রাজের সহিত জোট করিয়া গোলকুগু-রাজ্য আক্রমণ করিয়াছেন, কারণ কুতুব শাহ শিবাজীর মত বিদ্রোহীর সহিত মিত্রত করিয়াছেন । এদিকে শিবাজী ও দশমাস হইল নিজ রাজ্য ছাডিয়া আসিয়াছেন, সেখানে কাজকৰ্ম্ম তত ভাল চলিতেছে না । সুতরাং তাহার দেশে ফেরাই স্থির হুইল । নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চারি হাজার অশ্বারোহী সঙ্গে লইয়। তিনি কর্ণাটকের সমভূমি ছাড়িয়া মহীশূরের অধিত্যকায় চড়িলেন, এবং সেখানে পিতার জাগীরের মহালগুলি দখল করিবার পর মহারাষ্ট্রে ফিরিলেন । র্তাহার অধিকাংশ সৈন্যই আপাততঃ কর্ণাটকে রহিল, কারণ সেই অঞ্চলে তিনি যে রাজ্য জয় করিয়াছিলেন তাহা অতীব বিস্তীর্ণ ও ধনশালী। ইহা দৈর্ঘ্যে ১৮০ মাইল, প্রস্থে ১২০ মাইল, এবং ইহার মধ্যে ৮৬টা দুর্গ ছিল । বাৰ্ষিক খাজনা ৪৬ লক্ষ টাকার অধিক। এই নূতন রাজ্য জিঞ্জি ও বেলুরের জেলাগুলি লইয়৷ গঠিত। ইহার সদর অফিস জিঞ্জি-দুর্গে। শাহজীর দাসীপুত্র শাস্তাজীকে ইহার শাসনকৰ্ত্তা, রঘুনাথ হহ্লমস্তেকে দেওয়ান এবং হাম্বির রাও মোহিতেকে সেনাপতি নিযুক্ত করিয়া শিবাজী চলিয়া গেলেন। রঙ্গে নারায়ণ মহীশূরের অত্যিকাঃ বিজিত মহালগুলির শাসনকৰ্ত্ত হইলেন। ইতিমধ্যে ব্যঙ্কাজী কর্ণাটকে পিতার জাগীর উদ্ধার করিবার জন্ত চারিদিকে ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলেন, কিন্তু কিছুই করিয়া উঠিতে পারিলেন না। অবশেষে ১৬ই নবেম্বর ১৬৭৭ তিনি কোলেরুণ পার হইয়া চোঁদ হাজার সৈন্তসহ শাস্তাজীর বারো হাজার সেনাকে আক্রমণ করিলেন। সারাদিন যুদ্ধের পর শাম্ভাজী স্থার