পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] মানিয়া এক ক্রোশ পশ্চাতে পলাইয়া গেলেন । কিন্তু ब्राटद्ध शृशन याकांछौञ्च विछन्नैौ cणनांशं१ क्वांस्र झुझेब्र निछ শিবিরে ফিরিয়া, ঘোড়ার দীন খুলিয়া বিশ্রাম করিতেছিল, তখন শাস্তাজী নিজ ছত্রভঙ্গ সৈন্তদের আবার একত্র করিয়া, তাহদের নূতন উৎসাহে মাতাইয়া স্বস্থ ঘোড়ায় চড়াইয়া, এক ঘোর পথ দিয়া আসিয়া হঠাৎ ব্যঙ্কাজীর শিবিরের উপর পড়িলেন। ব্যক্ষাজীর দল আত্মরক্ষা করিতে পারিল না, অনেকে মারা গেল, বাকী সকলে নদী পার হইয়া তাঙ্কোরে পলাইল। তিনজন প্রধান সেনানী বন্দী হইল। শক্রপক্ষের এক হাজার ঘোড়া তাবু ও মালপত্র শাস্তাজীর হাতে পড়িল । দুই ভাইএর মধ্যে আরও কিছুদিন ধরিয়া ছোটখাট যুদ্ধ এবং লুটপাট চলিল ; দেশের অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হইয়া উঠিল। অবশেষে শিবাজী দেখিলেন, তাহার অত সৈন্য এবং বড় বড় সেনাপতিদের কর্ণাটকে আর বেশী দিন আটকাষ্টয়া রাগিলে মহারাষ্ট্র দেশ রক্ষা করা কঠিন হইবে । তিনি তখন ব্যঙ্কাজীর সহিত সন্ধি করিলেন। ব্যঙ্কাজী তাহাকে নগদ ছয়লক্ষ টাকা দিলেন, তাহার বদলে শিবাজী কর্ণাটকের উত্তরাংশে জিঞ্জি ও বেলুর প্রদেশ নিজ অধিকারে রাখিয়া, বাকী সব দেশ ( অর্থাৎ কোলেরুণের উত্তরে কয়েকটি মহাল এবং তাহার দক্ষিণে সমস্ত তাঞ্জোর-রাজ্য ) ভ্রাতাকে ছাডিয়া দিলেন। কিছুদিন পরে মহীশূরের জাগীরগুলিও ব্যক্ষাজী ফিরিয়া পাইলেন। এইরূপে শাস্তি স্থাপিত হওয়ায়, হাম্বির রাও শিবাজীর অবশিষ্ট সৈন্য লইয়া দেশে ফিরিয়া আসিলেন ; কর্ণাটক রক্ষার জন্য রঘুনাথ হকুমন্তে দশ হাজার স্থানীয় ফৌজ নিযুক্ত করিলেন। কর্ণাটক হইতে যে ধনরত্ব লাভ হইল তাহা কল্পনার अउँौउ । শিবাজীর জীবনের শেল অঙ্ক পূৰ্ব্ব-কর্ণাটক বিজয়ের পর শিবাজী মহীশূর পার হইয়া ১৬৭৮ সালের গোড়ায় পশ্চিম কানাড়া বালাঘাটঅর্থাৎ মহারাষ্ট্রের দক্ষিণে বর্তমান ধারোয়ার জেলায়, পৗছিলেন। এই অঞ্চলের লক্ষ্মীশ্বর প্রভৃতি নগরে লুঠ ऎ শিবাজীর দক্ষিণ-বিজয় సె শু চৌধ আদায় করিয়া তিনি উহার উত্তরে বেলগাও জেলায় ঢুকিলেন। বেলগাও দুর্গের ৩• মাইল দক্ষিণপূৰ্ব্বে বেলবাদী নামক গ্রামের পাশ দিয়া যাইবার সময় ঐ গ্রামের পাটেলনী ( অর্থাৎ জমিদারণী )—সাবিত্রী বাঈ নামক কায়স্থ বিধবার অনুচরগণ মারাঠা-সৈন্তদের কতকগুলি মালের বলদ কাড়িয়া লইল । ইহাতে শিবাজী রাগিয়া বেলবাডীর দুর্গ অবরোধ করিলেন । কিন্তু जांदिज्जो दात्रे cनई भश् दिछघ्नौ रौौग्न ७ ॐांशांब्र অগণিত সৈন্তের বিরুদ্ধে অদম্য সাহসে যুঝিয়া ২৭ দিন পৰ্য্যস্ত নিজের ছোট মাটির গড়টি রক্ষা করিলেন। শেষে র্তাহার খাদ্য ও বারুদ ফুরাইয়া গেল, মারাঠারা বেলবার্তী দখল করিল, বীর নারী বন্দী হইলেন । এমন এক ক্ষুদ্র স্থানে এত দীর্ঘকাল বাধা পাওয়ায় শিবাজীর বড় দ্বনাম রটিল। ইংরাজ-কুঠার সাহেব লিখিতেছেন (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৬৭৮ )—“র্তাহার নিজের লোকেরাই ওখান হইতে আসিয়া বলিতেছে যে বেলবাড়ীতে র্তাহার যত বেশী নাকাল হইয়াছে, অতটা নাকাল তিনি . মুঘল বা বিজাপুর স্বলতানের হাতেও হন নাই । যিনি এত রাজ্য জয় করিয়াছেন, তিনি কিনা শেষে এক স্ত্রীলোক দেশাইকে হারাইতে পারিতেছেন না।” 硼 ইতিমধ্যে শিবাজী ঘুষ দিয়া বিজাপুর-দুর্গ লাভ করিবার এক ফন্দি আঁটিয়াছিলেন। ঘটনাটা এই-- উঞ্জীর বহলোল খাঁর মৃত্যু ( ২৩ ডিসেম্বর .৬৭৭ }র পর তাহার ক্রীতদাস জমশেদ খা ঐ দুর্গ ও বালক রাজা সিকন্দর আদিল শাহের ভার পাইয়াছিল ; কিন্তু সে দেখিল উহ। রক্ষা করিবার মত বল তাহার নাই । তুখন ত্ৰিশ লক্ষ টাকার বদলে রাজা ও রাজধানীকে শিবাজীর হাতে সপিয়া দিতে সম্মত হইল। এই সংবাদ পাইয়া আদোনীর নবাব সিদ্ধি মাঙ্কদ ( মৃত. সিদ্ধি জোহরের জামাত ) গোপনে থাকিয়া প্রচার করিয়া দিলেন যে তাহার কঠিন অস্থখ, শেষে তাহার মৃত্যু ংবাদও রটিল। এমন কি একখানা পালকীতে করিয়া যেন তাহারই মৃতদেহ বাক্সে পূরিয়া কয়েক হাজার রক্ষীসহ কবর দিবার জন্য আদোনী পাঠান হইল! তাহার অবশিষ্ট সৈন্তদল—চার হাজার অশ্বারোহী,-বিজাপুরে