পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । . - অপরাজিত & GłAG: মানুষ ছেলে । কত জিনিষের দরকার হইবে, কে থাকিবে তখন সেখানে যে মুখে মুখে সব অভাব যোগাইরা ফিরিবে, সব জিনিষ হাতে লইয়া বলিয়া থাকিবে ? খুঁটিনাটি—একখানি কথা পাতিবার, একখানি গায়ের—একটা জল খাইবার মাস, ঘরের তৈরী এক শিশি সরের ঘি, এক পুটুলি নারিকেল লাডু , অপু ফুলকাটা একটা মাঝারী জামবাটিতে দুধ খাইতে ভালবাসে সেই বাটিট, একটা ছোট বোতলে মাখিবার চৈ মিশানে। নারিকেল তৈল, আরও কত কি। অপুর মাথার বালিশের পুরাণে, ওয়াড় বদলাইয়া নতুন ওয়াড় পরাইয়া দিল। দধিযাত্রায় আবশ্বকীয় দই একটা ছোট পাথরবাটিতে পাতিয়া রাখিল । ছেলেকে কি করিয়া বিদেশে চলিতে হইবে সে বিষয়ে সহস্র উপদেশ দিয়াও তাহার মনে তৃপ্তি হইতেছিল না। ভাবিয়া দেখিয়া যেটি বাদ গিয়াছে মনে হয় সেটি তখনি আবার ডাকিয়া বলিয়া দিতেছিল। —যদি কেউ মারে টারে, কত দুই ছেলে তো আছে ? অম্নি মাষ্টারকে বলে দিবি–বুঝলি ? রাত্তিরে ঘুমিয়ে পড়িস্নে যেন ভাত খাবার আগে ? এ তো বাড়ী নয় যে কেউ তোকে ওঠাবে—খেয়ে তবে ঘুমুবি—নয়তে তাদের বলবি যা হয়েচে তাই দিয়ে ভাত দ্যাও— বুঝলি তো ? সন্ধ্যার পর সে কুণ্ডুদের বাড়ী মনসার ভাসান শুনিতে গেল। অধিকারী নিজে বেহুলা সাজিয়া পায়ে ঘুঙুর বাধিয়া নাচে-বেশ গানের গলা। কিন্তু খানিকটা শুনিয়া তাহার ভাল লাগিল না। শুধু ছড়া কাটা ও নাচ সে পছন্দ করে না,—যুদ্ধ নাই, তলোয়ার খেলা নাই, কেমন যেন পানসে পানসে। wङदूख यांछकांग्न ब्रांडछि दफ़ डांब्ण लागिंज उठांझांब्र । এই মনসা-ভাসানের আসর, এই নতুন জায়গা, এই অচেনা গ্রাম্য বালকের দল, ফিরিবার পথে তাহাদের পাড়ার বঁাকে প্রস্ফুটিত হেনা ফুলের গন্ধ-ভরা নৈশ বাতাস, জোনাকী-জলা অন্ধকারে কেমন মায়াময় মনে হয়। রাত্রে সে আরও ছু একটা জিনিষ সঙ্গে লইল । दांबांद्र हांएउब्र cजथl uकथांनां गांtनब्र षोड, बांदांब्र উদ্ভট শ্লোকের খাতাখানা, বড় পেট্রাট হইতে বাহির कब्रिब्र ब्रांधिल-बज्र वफ़ cजॉर्छ cगाँधै ईशंटनब्र शं८उब्र লেখাট বাবার কথা মনে জানিয়া দেয় । গানগুলির সঙ্গে বাবার গলার স্বর এমন ভাবে জড়াইয়া আছে যে, সেগুলি পড়িয়া গেলেই বাবার স্বর কানে বাজে। নিশ্চিন্দিপুরের কত ক্রীড়াক্কান্ত শাস্ত সন্ধ্যা, মেঘমেছর বর্ষামধ্যাহ্ন, কত জ্যোৎস্না-ভরা রহস্যমন্ত্রী রাত্রি, বিদেশবিভূই-এর সেই দুঃখ-মাখানে দিনগুলির সঙ্গে এই গানের " স্থর যেন জড়াইয়া আছে—সেই দশাশ্বমেধ ঘাটের রাণী, কাশীর পরিচিত সেই বাঙাল কথকঠাকুর । সৰ্ব্বজয়ার মনে একটা ক্ষীণ আশা ছিল যে, হয়তো ছেলে শেষ পর্য্যস্ত বিদেশে যাইবার মত করিবে না । কিন্তু তাহার অপু যে পিছনের দিকে ফিরিয়াও চাহিতেছে না । সে যে এত খাটিয়া, একে ওকে বলিয়া কছিয়া তাহার সাধ্যমত যজটা কুলায়, ছেলের ভবিষ্যৎ জীবনের অবলম্বন একটা খাড়া করিয়া দিয়াছিল—ছেলে তাহ পায়ে দলিয়া যাইতেছে—কি জানি কিসের টানে ! কোথায় ? তাহার স্নেহদ্ধৰ্ব্বল দৃষ্টি তাহাকে দেখিতে দিতেছিল না ষে, ছেলের ডাক আসিয়াছে বাহিরের জগৎ হইতে । সে জগৎটা তাহার দাবী আদায় করিতে তো ছাড়িবে না— সাধ্য কি সৰ্ব্বজয়ার ষে চিরকাল ছেলেকে আঁচলতলে লুকাইয়া রাখে ? যাত্রার পূৰ্ব্বে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের দধির ফোটা অপুর কপালে পরাইয়া দিতে দিতে বলিল, বাড়ী আবার শগগির শীগগির আস্বি, কিন্তু ভোদের ইতুপূজোর ছুটি দেবে তো ? —হী, ইস্কুলে বুঝি ইতু পুজোর ছুটি হয় ? তাতে আবার বড় ইস্কুল। সেই আবার আসবো গরমের ছুটিতে— ছেলের অকল্যাণের আশঙ্কায় উচ্ছসিত চোখের জল বহু কষ্টে সৰ্ব্বজয় চাপিয়া রাখিল । অপু মায়ের পায়ের ধূলা লইয়া ভারী বোচকাটা পিঠে ঝুলাইয়ু লইয়া বাড়ীর বাহির হুইয়া গেল। মাঘ মাসের সকাল । কাল একটু একটু মেঘ ছিল, আজ মেঘ-ভাঙা রাঙা রোদ কুণ্ডুবাড়ীর দো-ফলা আম গাছের মাথায় ঝলমল করিতেছে—বাড়ীর সাম্নে বঁাশবনের তলায় চকচকে সবুজ পাতার আড়ালে বুনে আমার