পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ) মানী ബ:-ബ്- • - ബ് év®® .--l. -- .تمامیه عمختماعی-سی۰ است দাওয়ার উপর এসে বন্ধ হয়ে মুখে আঙুল ঠেকিয়ে বসে বংশী সে কথায় কর্ণপাত না করে বললে, “গাছের ब्रहेण । ংশী এসে দেখলে, স্তু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চোখের জল ফেলছে। জিজ্ঞাসা করলে, “রায়া छ्ब्रनि f" ঘরের মটকায় যে বাশগুলো রাত্রিকালে ভীতিজনক শঙ্কে জালিত করত, সেগুলি সতু একে একে বিক্ৰী করে ফেলেছে। গাছের নারকেল এবার ভাবেই ফরুল । কাগজি লেবুগুলো বড় হ’তে পায়নি। তা’ ছাড়ালাউয়ের মাচায় লাউ নেই–কুমড়োর মাচায় কুমড়ে নেই। গয়লাবে এ সকল বিক্ৰী করে সওদাপত্র জুগিয়েছে। এই করেই কষ্টে সংসার চলছিল। বংশীর কি এ সকল খোজ রাখার অবসর ছিল ? সে শুধু এক একবার চেয়ে দেখত, মটকাটা খোলসা হয়ে ঘরথানা বেশ আলোকিত হয়ে উঠেছে । নারকেলের ছোবড় সারা উঠানে ছড়ানো—পা ফেলা দায় । রান্নাঘরের কোণটা কুপিয়ে ঢেলাভাঙা—বোধ করি কোন কিছুর বীজ পড়বে। এই পৰ্য্যস্ত । সতুকে নিরুত্তর থাকৃতে দেখে বংশী গায়ের গেঞ্জিটা দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ঘরে ঢুকূল। তেলের বোতলটা নাড়াচাড়া করে রুগ্ন মাথায় সে চালু করতে গেল । স্বান লেরে এসে চুল পাট করতে করতে সে বললে, “কি আছে দাও । লোকে কজপাতি করেও দুটোদিন চালায়। এক খুচি চালও কি মেলেনি পাড়ায় ?” এ পরিশোধ কি করে হবে, অত বেলায় আর ক্ষুধার সময় সে জিজ্ঞাসা করল না। বংশী বললে, “নেয়ে এসে বসে থাকা যায় নাকি ? মাথামুণ্ডু কিছুই কি নেই ঘরে ?” সতু ঘরের মধ্যে উঠে গেল। ভব-কাকাদের বাড়ীর সত্যনারাণের সিঞ্জির গত কালকার কয়েকগান বাতাস। ছিল । রেকারীতে সাজিয়ে এক মাস জল এনে দিল । বংশী অগ্নিশৰ্শী হয়ে রেকাৰীখানা উঠানে ছুড়ে ফেলে দিলে । سی সরল বালিকার ডাগর চক্ষু দুটি নিম্পলক হয়ে গেল। সত্তয়ে উচ্চারণ করলে, “সিল্লির বাতাসা যে ” ছুটে নারকেল ৪ ত বিক্রী করান যায় ?” দারিত্রোর কদর্য্য বীভৎসভা ঝুকে পড়েছে। আর রেখে ঢেকে চলা অসম্ভব। কাজেই এ সকল নিয়ে— কথা-কাটাকাটি করে প্রতিনিয়ত অপমানিত হবার ইচ্ছা সতুর আর ছিল না। তবু সে বললে,— "নারকেল আর কতকাল থাকবে ? চালাচ্ছি ত ঐ সব দিয়ে। ঘোপে ধাপে যদি বা থাকে, আমি কি খোজ কবৃতে পারি? না, বউ মানুষ রোজ রোজ লোক ডাকডাকি করা পেরে উঠি ” বংশী গম্ভীরভাবে একবার নড়াচড়া করে উঠল । বললে, “ভব-কাকার কাছে সুপারিশ করতে যেতে দেখি মরদের সেরা-অার এই সময় ঘোমটা ঝুলে পড়ে ?” সতু জবাব দিল না। ংশী বাসিমুখে বের হয়ে গেল। বিকালে গয়লাবৌয়ের নিকট. সে শুনলে, তাদের বাড়ীতে শাসেজলে গুটিভিনেক নারকেল উদরস্থ করে বংশ আবগারীর বৈঠকে রং থেতে বসে গেছে। সতুর মুখে তখনও জলবিন্দু পড়েনি। সেদিন সকালে ঘাট সেরে এসে সে দেথলে ঘরের পশ্চিম দিক্কার বারান্দার কপাট-জোড় বিক্রয় করার জন্ত গ্রামের দ্বীয় চাড়ালের সঙ্গে স্বামী দরদপ্তর করছেন। স্বামীকে আড়ালে ডেকে সে করম্পর্শ করলে । চেতনা জাগ্রত ক'রে এমন কোমল—এমন করুণ স্পশ সে। একটু হাস্লেও-চাদের মগ্ন হাসির মত। বললে,— “বাক্স খেটে-ঘুটে কানের দু’পানী ফুল পেয়েছি— ছোটবেলাকার। গয়লাবে বেচে পাচটা টাকা এনে দিয়েছে। দু’পাচ দিন বেশ চলবে। এমনি লোকে কত কি বলে। বাড়ীখান। আর হতশ্ৰী করে না। ঘরের খড়কুটো একটা একটা করে বেচলেও ত বেশী দিন যাবে না। তারপর ত ভাবতে হবে ? সেই ভাবনাটা এপন ভাব না ?” পর পর ছু দিনের অনাহারে বংশীর পেটের গৰ্ত্তটার জাকার ঠিক ছিল না । এনাতুল্যার পাঠশালায় ভূচিত্রে লে দেখেছে, পৃথিবীটা আর কতটুকুনই বা গোটাটা