পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বাঙ্গলার কাব্যসাহিত্য O ** = ۰حمد گندمهم مبي بي سيمه يي ميسيينج তাহার সাধনা পরিবর্তিত করে নাই, বাজলার প্রকৃত কাব্যরসিকসমাজও তাহার প্রয়োজন অনুভব করে নাই। এমন কি, বাঙ্গালী মুসলমান কবির রচনা পড়িয়া দেখুন, সেই একই কথা । কচিৎ দুয়েকস্থানে সাধনার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে, কিন্তু তাহ ব্যতিক্রম মাত্র । জগতের সকল বস্তু ও বিষয়ই ভাল মন্দে গঠিত। এমন যে দাসত্ব—তাহারও ভাল দিক আছে । অর্থ হারাষ্টয়া পরমার্থে তাহার প্রবৃত্তি জন্মে, নিরুপায় হইয়৷ স নিশ্চিম্ভ হয়। বাঙ্গালীর সাধনা মুক্তি লইয়া নহে, ভক্তি লষ্টয়া । চৈতন্যদেবের বাণীর পক্ষে বাঙ্গলার জলবায় যে বিশেষ করিয়াই উপযোগী, তাহা বলাই বাহুল্য। কাব্যেও মুক্তি অপেক্ষ ভক্তির উপযোগিতা অনেক বেশী ; কাব্যসাহিত্যে বাঙ্গুলী তাই যথেষ্ট সাফল্য লাভ করিয়াছে। কিন্তু ব্যক্তি ও সমাজের জীবনে মুক্তির স্থান ভক্তির বহু উদ্ধে, তাই বাঙ্গালী সেখানে বহুদিন হইতে অধঃপতিত । সৰ্ব্বদুঃখ হইতে পরিত্রাণ লাভ করিতেই হইবে, ইহাই মুক্তিকামীর সাধনা । আধ্যাত্মিক ও আধিভৌতিক ক্ষেত্রে উপায় বিভিন্ন হইতে পারে, কিন্তু উভয় সাধকেরই উদ্বেগু ও প্রেরণা এক । ভক্তির উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র। সে থেকে বরণ করিয়া আপন করিতে চায় ; অথবা অতি সিধা পথে ফাকি দিয়া তাহাকে এড়াইয়া বাইতে চায় ; কঠোর সাধনায় কষ্টসাধ্য পথে তাহাকে জয় করিতে চায় না । - “চণ্ডীদাস কহে কামুর পিরীতি কেবল ছখের ঘর”. ...“দুখ হবে মোর মাথার মাণিক সাথে ঘদি দাও ভকতি”— চণ্ডীদাস হইতে রবীন্দ্রনাথ পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালীর কাব্য সাধনা চিরদিন এই ভক্তির পথে ; সে আবার মনকে ইহাও বুঝাইয়াছে যে, এই পথই মুক্তির শ্রেষ্ঠ পথ, কারণ নিতাস্ত সোজা পথ। ভক্তির পথে যে মুক্তির সম্ভাবনা অল্প, ইহার প্রমাণ চারিদিকে। কারণ ভক্ত প্রকৃতপক্ষে মুক্তিকে চাহে না বরং তাছাকে ভয় করে । বাঙ্গালী কবির মুখ দিয়া বাঙ্গালী জাতি ষে বাণী প্রচার করিয়া আসিয়াছে তাহা একদিকে সার্থক হইয়াছে ; হয়তো জগতে ইহাই বাঙ্গালীর দান, কিন্তু সে নিজে অন্তনিকে বঞ্চিত হইয়াছে বলিয়া মনে করি। বাঙ্গালী چند م-۹۵ MMMAA AAAA SAAAAAM AA AM MAMMAMMSMA AM MA ASMSMMS S SMMMAC CTS ●●〉 ASAAAASLSS AAAAAA AAAAMAMAAASAAAA কবির সাধনা সার্থক হইয়াছে—চারিদিক চাহিয়া দেখিলে সনোেহ থাকে না, “কামুর পিরীতি কেবল দুখের ঘর” । এই কাকুর পিরীতি তাহাকে যেমন অস্তরে সমৃদ্ধ করিয়াছে, বাহিরে তেমনি কাঙ্গাল করিয়া রাখিয়াছে । কাঙ্গাল না হইলে কাঙ্গালের ঠাকুর সম্যক পূজা পান না। প্রখর বুদ্ধি, অতুল মনীষা, স্বক্ষ অন্তদৃষ্টি—এ সকল সত্ত্বেও বাঙ্গালী ভক্তিভরে দুঃথকেই তাছার মাথার মাণিক করিয়া রাখিয়াছে । - অতি উচ্চ অঙ্গের ভক্তির কথা ছাড়িয়া দিষ্ট ; শক্তির সহিত হয়তো তাহার বিরোধ নাই ; পস্থা ছাড়িয়া গন্তধ্যে পৌছিলে হয়-তো বা সব বিরোধের সমন্বয় হয় ; কিন্তু সাধারণ যাত্রীর জীবনে ভক্তি যে শক্তির বিরোধী, ইহাতে সন্দেহ নাই । অন্ত শক্তিকে নিজ শক্তি অপেক্ষা প্রবলতর জানিয়া তাহাকে সানন্দে মানিয়া লওয়ার মধ্যেই ভক্তির বীজ অস্কৃরিত হয়। অপর পক্ষে, নিজের শক্তিকে কাহার ও শক্তির অপেক্ষা চীন মনে না করা—প্রয়োজন ক্ষেত্রে সোহহং মন্ত্র উচ্চারণ করিতে পারা—ইহাই মুক্তিপথিকের পথ। ভক্তি সকলকেই বাধে—ভগবানকে পর্য্যন্ত । শক্তি সকলকেই মুক্ত করে—দাসকে পয্যন্ত । ভক্তিসাধন দাসের পক্ষে সহজ ও স্বাভাবিক, কিন্তু অকুপযোগী ; कांग्र१ ईश८ङ खांशंद्र चौबट्नब्र भूल कब्रिङ झ्झेब्र बाब्र । এই সাধনায় বাঙ্গালী কাব্যে জিতিয়াছে, জীবনে ঠকিয়াছে। বলা বাঞ্ছল্য, ভক্তিকে প্রেম নামে অভিহিত করিলেও আমার মূল বক্তব্যের অন্যথা হয় না, কারণ দুইই একই মনোবৃত্তির বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র । কথা উঠিতে পারে, • ভক্তি লইয়া কাব্য রচনা বাঙ্গালীর একচেটিয়া নহে ; ধৰ্ম্মমূলক সাহিত্য রচনা সমগ্র ভারতের এমন কি প্রাচ্য জগতের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ইহারই মধ্যে বাঙ্গালী নিজের বিশিষ্ট পথ বাছিয়া লইয়াছে । স্বাধীন জাতির কাব্যসাধনার পরিচয় সংস্কৃত সাহিত্যে প্রচুর আছে। কালিদাসের হিমাচলপ্রতিম স্বষ্টির প্রতি দৃষ্টি করুন–রঘুবংশ, কুমারসম্ভব, শকুন্তলা, মেঘদূত—যাহার এক একটি শৃঙ্গ । দেখিতে পাইৰেন ভারতের ধৰ্ম্ম ও বাঙ্গলার ভক্তিতে কি প্রভেদ । আর যদি ভক্তি লইয়া কাব্য-রচনা কুদালীর একচেটিয়া না হয়, শক্তি হারাইয়া দস্ত করাও ৰাঙ্গালীর