পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] অৰ্ঘ্য 86. রমেন বললে,—কিন্তু এখনও আসল কথাটাইত শোননি, চাকরিও গেছে স্থষমা ! স্বধম রমেনের মুখের দিকে চেয়ে দেখলে,—সে মুখ :म८थं कांक्वब्रहे बूद८ङ cनन्नैौ इञ्च न। ८ष अझे च्षग्नकरषझे কতবড় একটা মৰ্ম্মম্ভদ বেদন আর হতাশা, সেখানে তাদের গষ্ঠীর চিহ্ন একে দিয়ে গেছে। এ যে একটা কত কঠিন দুঃসংবাদ তা অনুভব করতে স্বধমারও তিলমাত্র বিলম্ব হ’ল না, তবু সে কোন উত্তেজনা প্রকাশ না করে সহজ স্বরেই বললে,—চাকৃfরও গেছে ? কেন কি হয়েছিল ? রমেন তাকে সকল কথাই বললে । শুনে স্বযম বললে,—মারবে আবার চাকুরিও নেবে ? এ কি-রকম বিচার হ’ল ? রমেন বললে,—বিচার ত” বলে একেই ! ক্ষমতা যে ওদের হাতে । তারপর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললে,-চাকুরি ত’ গেল, এখন উপায় ? পশ্চিমের জানলা দিয়ে অস্তমান স্বর্ঘ্যের এক ঝলক রেীত্র এসে ঘরে পড়ে সমস্তটা হঠাৎ আলো করে দিলে। তারই দিকে চেয়ে চেয়ে স্থষমা বললে,—উপায় করবেন তিনি। মানুষ না খেয়ে থাকবে না। চাকুরি গেছে খুব দুঃখের, কিন্তু এমন মানুষ-মারা বাঘ-ভালুকদের কাছে চাকৃরি করতেই বা কেমন করে ? খানিকট চুপ করে থেকে স্বামীর ছুটি হাত ধ’রে বললে,--ভেবো না তুমি, উপায় তার হাতে ! রমেন হাসবার মত করে বললে,—তাই যদি হয়, ত’ উপস্থিত এত বড় বিপদে ফেলার যে কি অর্থ তা ত’ বুঝলাম না, স্থষমা ! বড় বড় দুই চোখ স্বামীর মুখের দিকে তুলে স্বযম বললে,—বুঝতে কি আমরা সব পারি ? তা হ’লে ভাবনা কি ? তৰু আমি বিশ্বাস করি সৎপথে থাকলে তিনি কোনও দিনই কাউকে ছাড়তে পারেন না । তারপর মাস-তিনেক কেটেছে। সামান্ত যা সঞ্চয় fइग, ख निः:ुष इव णिनःि श्वषद्मि श्रश्न'-विक्ौ চলছে। এক একটা গহনা যেন তার এক একটা বুকের পাজর, কিন্তু স্বামী আর সন্তানদের মুখ চেয়ে সে তাদেরও একে একে বিসর্জন করে চলেছে । চাকুরির চেষ্টায় রমেন এ কয়মাল আর ইঁাটাইটির অস্ত রাখেনি, কোনও সওদাগরী আপিস, কোন হোস জানতঃ বাদ দেয়নি । অথচ দিনশেষে সব জায়গা থেকেই তাকে ফিরে আসতে হয়েছে মান-মুখে, ঘরের মধ্যে আরও একখানি মানতর মুখ দেখবার জন্তে । ভাগ্য যখন বঞ্চিত করে তখন এমনি নিঃশেষেই করে । সেদিন গভীর রাত্রে হঠাৎ মেঘ গৰ্জ্জন করে বুষ্টি স্বরু হয়ে গেল প্রবল ধারায় । তাণের বর্তমান অবস্থারই মত, ছাদের উপর যে অসংখ্য ফাটল ধ’রেছিল, তারই অবকাশে সেই ধারার বোধ করি আধখানা পৌছল ঘরের ভেতর । শোবার পর্য্যস্থ যথেষ্ট স্থান নেই, ছেলে তিনটিকে কোনও রকম ক’রে আশ্রয় দিয়ে, রমেন আর স্বষম জেগে বসে রইল চুপচাপ করে, আর বাইরে চলতে লাগলো প্রকৃতির উন্মাদ নৃত্য ! g মাছুষের দুর্ভাগ্য যখন এমনি উৎকট নগ্নতার সঙ্গে তার সামনে মূর্ত হ’য়ে ওঠে, তখন মুখের কথা যায় হারিয়ে এবং বুকের স্পন্দন আগে থেমে । - সকালের দিকে বৃষ্টি স্বপন থেমে এল, তখন রমেন ঘুমোবার অবকাশ পেলে । তার সেন্ট ঘুম ভাঙল তখন, ' যখন স্বযম তাকে খাবার জন্তে তাগিদ করতে এলো। সমস্ত রাত্রি জাগরণে এবং বোধ করি দুশ্চিন্তাতেও তার চেহারা হয়েছিল অপরূপ। চুলগুলো উস্কো-খুস্কো, চোখ দুটাে লাল, আর মুখ পাওর, যেন বহুদিনের রোগক্লান্ত ৷ e - সুষমা বললে,—বেলা হ’ল, নেয়ে নিয়ে চারটি খাবে চল । রমেন মাথা নেড়ে বললে,—খাব না । স্বষম তার মুখের দিকে চেয়ে চিন্তিত হ'ল। মুখ দেখলে মনে হয় না, কথাটা সে একেবারেই মিথ্যা বলেছে । স্বষম খানিক চুপ করে থেকে বললে,—কেন, খাবে না কেন ? 象