পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] AAAAAA AAAA SAAAAAMAMMAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAA به مانعی هم به ساخته می ع পাগড়ী-বাধা অগ্রণীটি মনে করলে বোধ হয় টাকায় মিলছে না । সে হেঁকে বললে,-তিনশো বাবুজী— ব্ৰজেশ তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বললে,—শোন রমেন, তিনশো বলচেন । কাগজে এক লাইন আঁচড় কেটে দিয়ে তিন তিনশো টাকা রোজগার । এটা কি একটা সোজা কথা ! ভেবে দেখ তোমার অবস্থা, কি কষ্টে তোমার দিন যাচ্ছে জানি ত”–এই তিনশো টাকায়— রমেন বল্পে,—কোথায় সে দলিল দেপি । দলিল নিয়ে সে নাড়াচাড়া করলে, কিছুই বুঝতে পারলে না, বোঝবার শক্তিও ছিল না । তার আবাল্য স্বহৃদ স্বরেশ, কত দীর্ঘকাল ধরে – দলিলথান ফিরিয়ে দিয়ে রমেন বললে,--না হবে না ব্ৰজেশবাবু । সেই মাথায়-পাগড়ী লোকটি উঠে দাড়িয়ে বললে,— হোবে না বাবুজী ? আচ্ছা চারশো—পানশো—হোবে ? বলে পাচশো টাকার নোট বার করে টেবলের ওপর রেখে দিলে । ব্ৰজেশ বললে,—ছেলেমানী করোন। রমেন । মনে ক’রে দেখে এই পাচশো টাকা একদিকে, আর তোমার ছেলেপুলের না খেতে পেয়ে মর, আর একদিকে ! ভেবে দেখে ভাল ক’রে— । ওই পাচশো টাকা । তার ছাদের ফাটল দিয়ে সমস্ত বাত জল পড়েছে অবিরত, তারা সবাই অৰ্দ্ধভূক্ত, ভাল ক’রে দু-মুঠে। অল্পও জোটে না, এত বড় দরিদ্র, এতখানি রিক্ত ! তার সামনে ঐ পাঁচশো টাক। তার আশ্চৰ্য্য মোহ নিয়ে উপস্থিত হ’ল, পাচ পাঁচ-শো টাকার স্বমধুর লিঙ্কন বাজতে লাগলো তার কানে! এক মুহূৰ্ত্তে ঐ টাকাটা সমস্ত দুঃখ বিলুপ্ত করে দেবে, বহুদিনের মত । চুপ করে বলে আবোল-তাবোল কত কথা ভাবতে লাগল রমেন। উত্তেজনায় তার কপালের শিরাগুলো ফুলে উঠল । তারপর হঠাৎ একটা বাকি দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়ে বললে,—দেখি দলিল । তার সামনে পাঁচশো টাকার নোট যেন পাচট জঙিরার মত গন গন করতে লাগল। অর্ঘ্য r . .-- רא% 8ፃ আবাল্য-স্বহৃদ সেই, যে এতবড় দুঃখের দিনে একবার খবর পর্য্যন্ত নেয় না ! দুনিয়া এমনি যে তার মত দুৰ্ব্বলকে শুধু দুই পায়ে পিষেই দিতে চায়, তা সে মঞ্চক আর বঁাচুক । চোখের কাছে সেই কালশিরার জায়গাট যেন নতুন করে টন্‌টন করতে লাগল। কলমট, নিয়ে কালিতে ডুবতে যাবে, এমন সময় সেই মাথায়-পাগড়ী লোকটি ই—ই করে এগিয়ে এণে বললে, হামার কালি, হামার কলম আছে বাবুঙ্গী,-ওইন্তেষ্ট লিখতে হোবে-বলে সে তার কলম আর দোয়াত এগিয়ে দিলে । তারপর ছেসে বল্লে,—লিখাটা ঠিক এক কালি কলমের হোয় চাই কি ন! | তার কদর্ঘ্য মুখের দিকে চেয়ে মনে হ’ল যেন সে সদ্য নরক-কুণ্ড থেকে উঠে আসছে। কিন্তু ঐ পাঁচশো টাকা ! দোয়াতের ভেতর কলম দিয়ে রমেন বৃথাই কলমটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কালিটাকে খুলিয়ে তুললে। হাত যেন ভারী হয়ে গেছে, তবু জোর করে কলমটাকে তুলে— . এমন সময় ছুটতে ছুটতে তার মেজ ছেলে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বললে,—বাবা, মার বড় অনুপ করেছে, তোমাকে ডাকচেন, এথ খুনি—এধ খুনি রমেন চমকে উঠে বললে—সে কি রে, কি অস্থখ ? বলে কলমট, ফেলে ছুটলো বাড়ীর ভেতরে । বেশী দূর যেতে হ’ল না, পাশেই পূজোর দূরের দোরগোড়াটিতে দাড়িয়েছিল স্বযম, ঠিক যেন পাথরের মুক্তি, ছুই চোখ যেন অশ্রীতে প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে । রমেন এসে দাড়াতেষ্ট তার দুই হাত শক্ত ক’রে ধ’রে স্বষম বললে,— কেন এমন কাজ করছিলে তুমি ? রমেন আমৃত আমৃত করে বললে,—পাঁচশো টাকা । স্বযম তার পায়ের কাছে বসে পড়ে দুষ্ট হাতে তার প। ধরে বললে,—কি করে এমন বুদ্ধি হ’ল তোমার, কে দিলে তোমাকে এ সৰ্ব্বনেশে প্রবৃত্তি ! পাঁচশো টাকার বদলে যে তুমি কোটি কোটি টাকার চেয়ে অমূল্য ধৰ্ম্ম হারাতে বসেছ, এ কথা তোমার একবারও মনে হ’ল ন ! তাকে হারিয়ে কি নিয়ে বঁচিব আমরা, কার জোরে সোজা হু’য়ে मैंॉक्लाय ?