পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ88 প্রবাসী-ফাঙ্কন, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড SAMAAMAHS - --ബ് ബ পাটিয়ালার মহারাজার কথাগুলির অর্থ স্বম্পষ্ট । তিনি বলিতে চান, যদি ভারতবর্ষের লোকেরা পূর্ণ স্বরাজের জন্ত আন্দোলন করিতে প্রভত হয় তাহ হইলে দেশীয় নৃপতিগণ র্তাহাজের সমস্ত শক্তি দিয়া ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের সাহায্য করিবেন, এবং ব্রিটিশ ভারতবর্ষ যদি কোনোদিন স্বাধীনও হয় তাহা হইলেও বিনা যুদ্ধে তাহাদিগকে স্বাধীন ভারতবর্ষের অন্তভুক্ত করা যাইবে না । সত্যই যদি দেশীয় রাজারে এইরূপ করিবার ক্ষমতা থাকিত তাহা হইলে ব্যাপারটা গুরুতর হইত সন্দেহ নাই। কিন্তু এ ক্ষমতা তাহাদের নাই । ইহাই আমাদের বক্তব্য । আমরা যে ষে কারণে ভারতবর্ষে আর একটা আল্টার স্বঃ হইতে পারে না মনে করি, তাহা এই—(১) প্রথমতঃ, ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের অধিবাসীরা এবং দেশীয় রাজ্যের অধিবাসীরা জাতিতে, ধৰ্ম্মে, ভাষায়, সভ্যতায় ও আচার-ব্যবহারে বিভিন্ন নয় । ভাষা, সভ্যতা ও দেশচারের তারতম্যে ভারতবর্ধ যে কয়েকটি স্বাভাবিক বিভাগে বিভক্ত দেশীয় রাজ্যগুলির ভৌগোলিক অবস্থানের সহিত তাহার কোন সম্পর্ক নাই। দেশীয় রাজ্যগুলির সীমাভেদ সম্পূর্ণ কৃত্রিম। (২) দ্বিতীয়তঃ, প্রজাদের পক্ষ হইতে কিছু বলিবার অধিকার দেশীয় রাজাদের নাই। তাহাদের ও তাহীদের প্রজাদের মধ্যে ষে সম্পর্ক তাহা শাসক ও শাসিতের এবং অনেকের মধ্যে সম্বন্ধ, অত্যাচারী ও অত্যাচরিতের, ভোক্ত এবং ভক্ষ্যের । যদি ব্রিটিশ ভারত ও দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে কোন সংঘর্ষই উপস্থিত হয় তাহ হইলে দেশীয় রাজ্যের অধিবাসীরা তাহাদের শাসকদের পক্ষে না গিয়া ব্রিটিশ ভারতের অধিবাসীদের সঙ্গেই যোগ দিবে। এদিক হইতে দেশীয় রাজাদিগকে ফ8াণী-বিপ্লবের সমসাময়িক অত্যাচারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাৰ্ম্মাণ সামন্তদের সঙ্গে তুলনা করা চলে। (৩) তৃতীয়তঃ, ভারতবর্ষের জাতীয় আন্দোলনকে বাধা দিতে হইলে যে শক্তি, ঐক্য, ও নৈতিক প্রেরণার আবগুক তাহা ভারতবর্ষের দেশীয় রাজাদের নাই। তাহারা সংখ্যায় বহু এবং বিভক্ত, তাহাদের মধ্যে পরস্পর বিরোধের কারণেরও অভাব নাই । তাহার প্রায়ই অকৰ্ম্মণ্য, নিৰ্ব্বোধ এবং বিলাসী। সৰ্ব্বশেষ এবং সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় কথা, তাহারা শুধু নিজেদের चशिकांब्र ७द९ शांर्थ दछांग्न ब्रांथितांब्र छछझे क्लिखिङ, थ*, জাতীয় স্বাধীনতা কিংবা এই ধরণের মহান কোন প্রেরণা তাহাদের স্বার্থান্বেষণকে ধর্শ্বযুদ্ধে পরিণত করিবে না। এই প্রসঙ্গে আমাদের আরও একটা কথা মনে রাখা উচিত। আলষ্টার গ্রেট-ব্রিটেনের সহিত সম্বন্ধ বজায় রাখিবার জন্য ১৯১৪ সালে গ্রেট-ব্রিটেনের সহিতই যুদ্ধ করিতে প্রস্তত হইয়াছিল। ভারতীয় রাজাদের সে সাহস কখনও হইবে না। ভারতে ব্রিটিশ-শক্তিই তাহাদের প্রথম এবং শেষ ভরসা। আজ ব্রিটিশ-শক্তি ভারতবর্ষে প্রবল, সেজন্য আজ তাহারা ব্রিটিশ-শক্তির তাবেদারী করিতেছেন ; কাল যদি ভারতবাসীর শক্তি অধিক হয়, তবে তাহারা ভারতবাসীরও আনুগত্য স্বীকার করিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করিবেন না । দেশীয় রাজাদের সম্বন্ধে আর একটি কথা তবুও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় ইংরেজ গভর্ণমেণ্টের দেশীয় রাজাদিগকে কোন পথে চাণাইবার ইচ্ছ, তাহার একটা আভাস দিয়৷ পাটিয়ালার মহারাজা আমাদের উপকারই করিয়াছেন । এই উপকারের বিনিময়ে আমাদেরও তাছাকে এবং তাহার সমধম্মী দেশীয় রাজন্যদিগকে একটি বিষয়ে সাবধান করিয়া দিবার আছে । তাহারা ভুলিয়। যাইতেছেন, যে, ভারতবর্ষে আজকাল ষে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলিয়াছে তাহ সমস্ত পৃথিবীব্যাপী একটা আন্দোলনের অংশমাত্র । সমগ্র এসিয়, ও আফ্রিকা ধ্যাপিয়া শাসক ও শাসিতের মধ্যে ধে দ্বন্দ্ব চলিতেছে তাহাতে আজ না হউক, ভবিষ্যতে একদিন শাসিতের জয় অবগুম্ভাবী। ইহার কারণ যে শুধু শাসিতের শক্তিবৃদ্ধি তাহাই নয়, শাসকদের স্থায় বুদ্ধির উদ্বোধনও বটে। ইয়ুরোপ ও আমেরিকার প্রত্যেকটি দেশই এযুগে, সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্রাজ্যবিরোধী, যুদ্ধসমর্থক ও যুদ্ধনিবারক, এই দুই দলে বিভক্ত । এই কারণে এবং শ্রমিক ধনিকদের