ፃጎb” প্রবাসী— कक्लिन, OHIV [ २>* छां★, २ग्न थ७ তাহাকে কোন পথে যাইতে হইবে। কিন্তু একথা ত আগে অনেক রাজপুরুষ বলিয়াছেন, এবং স্বয়ং রাজা পঞ্চম জর্জ ১৯২১ সালে তাহার এক উপদেশপত্রে বলিয়াছেন। স্বতরাং কংগ্রেসের অধিবেশনের কিছু আগে বড়লাটের ঐ ঘোষণাটি করিবার একান্ত আবশ্বকতা বা ঐকাস্তিক ও কেবলমাত্র ভারতহিতৈষণা এখনও আমরা উপলব্ধি করিতে পারি নাই । ডোমিনিয়নত্ব যে অচিরে লভ্য নহে, এমন কি স্বদুর ভবিষ্যতেও কথন পাওয়া যাইবে, তাহারও স্থিরতা নাই, একথা সহকারী ভারত-সচিব আর্ল রাসেলও প্তাহার প্রিয় কুকুরটির পীড়ার অব্যবহিত পরে অতিসাবধান অসাবধানতা সহকারে বলিয়া ফেলিয়াছিলেন । , ভারতবর্ষের ডোমিনিয়নত্বপ্রাপ্তির সমর্থক এবং গোল টেবিল বৈঠকে ভারতবর্ষীয় সকল দলের লোকদের যোগদানের সমর্থক মেজর গ্রেহীম পোল তাঁহার ডিসেম্বরের লেবর ম্যাগাজিনের প্রবন্ধে বলিয়াছেন, “As a nation we are good at making declarations,” “wtol জাতি হিসাবে [মহৎ উদ্বেগু] ঘোষণা করিতে স্বনিপুণ " এবং তাহার পর ১৮৭৮ সালের ২রা মে তদানীন্তন বড়লাট লিটন ভারত-সচিবকে ষে লিখিয়াছিলেন, ষে, ভারত গবষ্মেন্ট ও ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট যথাসাধ্য প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছেন, লিটনের সেই চিঠি উদ্ধৃত করিয়াছেন। স্বতরাং ব্রিটিশ রাজপুরুষদের স্বম্পষ্ট অঙ্গীকারও পালিত হইত কিনা বা কখনও হইবে কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ কfash; যথেষ্ট কারণ আছে । লাটসাহেব স্বাধীনতালাভ চেষ্টার পথে যে-সব বিভীষিকা আছে, তাহার উল্লেখ করিয়াছেন। বিপদ আছে বৈ কি ? কিন্তু স্বাধীনতা লব্ধ হইলেও যে তাহ ডোমিনিয়নত্ব অপেক্ষ নিকৃষ্ট বা কম কল্যাণকর, তাহা অসংখ্য বড়লাট অগণিতবার বলিলেও অবিশ্বাশু । কারণ, স্বাধীনদেশ মাত্রেই শক্তিহীন, সঙ্গীহীন, একাকী, এ কথা সভ্য নহে। ব্রিটেন ছাড়া পৃথিবীতে বিস্তর স্বাধীন দেশ আছে। তাছাদের মিত্র আছে, সহায় আছে, শক্তি আছে। ভারতবর্ষও স্বাধীন হইলে তাহার সহিত লদ্ধি করিতে ইচ্ছুক মহাজাতির অভাব হইবে না। ব্রিটেনই তাহার সহিত সন্ধির জন্য লালায়িত হইতে পারে। আমেরিকার ইউনাইটেড ষ্টেটস এক সময়ে ইংলণ্ডের অধীন ছিল। অনেক ৰিপদ অতিক্রম করিয়া তাহারা স্বাধীন হইয়াছে। এখন পূৰ্ব্বপ্রস্তু ইংলও আমেরিকার বন্ধুত্ব লাভের জন্ত লালায়িত । পূর্ণ-স্বরাজ লাভ অতি কঠিন ও বিপদসঙ্কুল ইহা মানি ; কিন্তু পূর্ণ-স্বরাজ অপেক্ষা ডোমিনিয়নত্ব অধিক স্থখসমৃদ্ধি, সন্মান ও শক্তির মূলীভূত, ইহা সম্পূর্ণ অমূলক কথা । কেবল একটা দৃষ্টান্ত লউন। আমেরিকায় ডোমিনিয়ন কানাডাও পূর্ণস্বাধীন ইউনাইটেড ষ্টেটস পাশাপাশি অবস্থিত। কানাড ছুইয়ের মধ্যে বৃহত্তর দেশ । উভয়েরই প্রধান অধিবাসীরা ইউরোপীয় ংশ সস্তৃত। কিন্তু আত্মরক্ষশক্তি, পরাক্রম, সমৃদ্ধি, সাহিত্য-বিজ্ঞান-শিল্প-যন্ত্রোস্তাবনক্ষমতা, বাণিজ্য, লোকসংখ্যা প্রভৃতি প্রত্যেক বিষয়ে কানাডা ইউনাইটেড, ষ্টেটসের তুলনায় নগণ্য। ইহা ফেব্রহ্লাষ্ট্রর মডার্ণ রিভিয়ুতে একটি প্রবন্ধে দেখান হইয়াছে। নিরুপদ্রব আইন লঙ্ঘনে বিপদ আছে মানি । কিন্তু আইনলজঘকেরা বলপ্রয়োগ ও হিংসার পথ অবলম্বন করিবেই, ইহা মানি না। দক্ষিণ-আফ্রিকা, গুজরাতের খেড়া,বিহারের চম্পারন, গুজরাতের বারদোলী, যশোরের বন্দবিল, প্রভৃতি স্থানে অন্তায় আইন বা ট্যাক্সের প্রতিরোধকেরা বলপ্রয়োগ করে নাই, হিংস্র হয় নাই ; বলপ্রয়োগ করিয়াছে সরকারী লোকেরা নিরুপদ্রব প্রতিরোধ চেষ্টা বিনষ্ট করিবার জন্ত । একমাত্র চৌরিচৌরার দৃষ্টান্ত দ্বারা অহিংস প্রতিরোধনীতিকে দাঙ্গাহাঙ্গাম মারামারি রক্তারক্তির অবগু কারণ বলা যায় না। ঐ নীতি হইতে যদি কুফলের উৎপত্তি হয়, তাহা প্রধানতঃ সরকারী লোকদের দোষে হুইবে বলা যাইতে পারে। পৃথিবীর নানাদেশে স্বাধীনতা লাভ চেষ্টার ইতিহাসে দেখা যায়, সেই সব দেশে দু’একটা দলের লোক সৰ্ব্বদাই দেশের স্বাধীনতার চেয়ে ক্ষুদ্রতর জিনিষের পশ্চাতে ধাবমান হুইয়াছে। ভারতবর্ষেও এরূপ অনেক লোক আছে । গোল টেবিল বৈঠকে প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচনের অধিকার ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের । তাহারা যে এমন অনেক
পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।