৬ষ্ঠ সংখ্যা ] করিয়া লইতে হয়। এই ধারণ-সমূহ যে আমরা সব সময়েই জ্ঞাতসারে ইচ্ছাপূর্বক গড়িয়া লই, তাহা নহে। এমন কি, আমাদের সারাদিনের কাজ কৰ্ম্মের পশ্চাতে যে এইরূপ কোনো ধারণা আছে, তাহাও আমরা অনেক সময়ে উপলব্ধিই করি না, সকল সময়ে ভাবিয়াও দেখি না, এবং দেখিবার প্রয়োজনও হয় না। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা সাধারণ বুদ্ধির দ্বারাই চালিত হই। Huxley *forato—“Science is sense,” অর্থাৎ এই সাধারণ বুদ্ধির চরম উৎকর্মই বিজ্ঞান। সাধারণ বুদ্ধির দ্বারা চালিত হইয়া আমরা ভিন্ন ভিন্ন বস্তু সম্বন্ধে, কিংবা একই বস্তু সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যে-সমস্ত ধারণা পোষণ করি, তাহার মধ্যে অনেক বিরোধ বা বৈষম্য থাকিয়া যায়। এই সমস্ত বৈষম্য দুর-স্ট্রয় সাধারণ বুদ্ধি যখন পূর্ণভাবে মাজ্জিত হয়, তখনই বিজ্ঞামের সৃষ্টি হয়। মোটামুটিভাবে এই কথা মানিয়া লইয়া আরও একটু গভীরভাবে বিবেচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই যে, বিজ্ঞান শুষ্টির দুইটি উপকরণ—বৈজ্ঞানিক এবং বিজ্ঞানের বস্তু । প্রথম, বৈজ্ঞানিকের দিক্ হইতে দেখা যাক। প্রকৃত বৈজ্ঞানিকের সহিত প্রাকতজনের যখন তুলনা করি, তখন দেখিতে পাই বৈজ্ঞানিকের প্রথম বিশেষ ভূ হইতেছে—তাহার অল্পসন্ধিৎসা । যে-কোনো বিষয়ে যতটুকু জ্ঞান লাভ করিলে দৈনিক জীবন অনায়াসে অতিবাহিত করা যায়, প্রাকৃতজন তাহার অধিক জানিবার চেষ্ট করেন না, কিন্তু বৈজ্ঞামিক ইহাতে সন্তুষ্ট নহেন। তীব্র অনুসন্ধিৎসার তাড়নায় যতক্ষণ পর্য্যস্ত বস্তুর কার্যাকারণ সম্পর্ক, তাহার উৎপত্তি, স্থিতি, বিকার, লয় প্রভৃতির ন্যায়সঙ্গত তত্ত্ব খুজিয়া বাহির করিতে না পারেন, ততক্ষণ তিনি ক্ষান্ত হন না । এইখানে আবার আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, কোনরূপ স্বার্থসিদ্ধির লোভে প্রণোদিত হইয়। বৈজ্ঞানিক ক্টাহার অল্পসন্ধানে রত হন না । বস্তুকে নিষ্কামভাবে শুধু তাহার বস্তুত্ব হিসাবে দেখাষ্ট তাহার স্বভাব। বস্তু, তাহার স্বার্থসিদ্ধি অথবা আত্মসুখ-চরিতার্থতার উপকরণ হিসাবে উহার নিকট প্রতীয়মান হয় না । ইহাই persected common বিজ্ঞান ও শিক্ষা ዓõ© বৈজ্ঞানিকের আর একটি বিশেষত্ব । বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মূলে স্বার্থের সন্ধান ধদি থাকিত তাহা হইলে আজ .আমরা বিজ্ঞানের এই বিশ্ববিজয়ী বাণী শুনিতাম না । তাহার এই মহামহিমময় রূপ আজ আমাদের চক্ষুর সম্মুখে ভাসিত না। জেম্স্ তাই বলিয়াছেন,— “যখনই কেহ পদার্থ-বিজ্ঞানের চমৎকার প্রাসাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেন এবং উপলব্ধি করেন কিরূপে উহ গড়িয়া উঠিয়াছে, কত সহস্র নিঃস্বাথ সাধুজীবনের উপর উহার ভিত্তি স্থাপিত হইয়াছে, কত ধৈৰ্যা ও ত্যাগ, কত ইচ্ছা দমন, বহির্জগতের ঘটনাবলীর উদাসীন নিয়তির নিকট কত পরাজয়, উহার প্রস্তরে প্রস্তরে গ্রথিউ রহিয়াছে, কিরূপ সম্পূর্ণ অব্যফ্রিকৃরূপে আপন মঙ্গন মহিমায় ইহা উজ্জল,—তখন স্বেচ্ছায় ধূম্রমণ্ডলীর মধ্যে আপনাকে আবদ্ধ রাখিয় আপনার ব্যক্তিগত স্বপ্নের দ্বারা চালিত হইয়া ঘটনা-রহন্তের সমাধান করিবার ভাণ র্যাঙ্কার করেন, সেই ভাব-প্রধান ব্যক্তিগণ কিরূপ প্ৰমত্ত ও নিপাহঁ বলিয়া ofotra & I"—(The Hill to Believe, 1897 p.7.) মৃগন যে অঙ্গসন্ধানে রত সেই বিষয়ে এই নিরাসক্তি ষ্ট বৈজ্ঞানিকের বিশেষ গুণ । কিন্তু নিরাসক্তভাবে অনুসন্ধান করেন বলিয়৷ যে, সেই বিষয়ের প্রতি বৈজ্ঞানিকের প্রাণের কোন যোগ নাই, তাই মনে করা সম্পূর্ণ ভুল। বরং ইহার বিপরীত কথাটাই সত্য। তিনি এই আকৰ্ষণ এত বেশী অষ্টভব কর্ন যে, বস্তুর সহিত আপনাকে এক করিয়া দিতে চানে ি বস্তুর বহিরাবরণ ভেদ করিয়া তিনি তাহার অন্তঃস্থলে পৌছাক্টতে চাঙ্গেন, তাহার স্বরূপ দেপিতে চাহেন, যেকোনো বৈজ্ঞানিকের জীবনী পাঠ করিলেই দেখা যাইবে যে, তাহার সাফলোর ভিত্তি এই দুইটি চিত্তবৃত্তি । আমার মনে হয়, এই অল্পসন্ধিৎসা এবং এই অঙ্গুসন্ধানে স্বার্থহীন আত্মদান ডারউইন-এর জীবনে এরূপভাবে পরিস্ফুট হুইয়া উঠিয়াছে যে, তাঙ্গকেষ্ট বৈজ্ঞানিকের আদশ বলিয়া পরিয়া লণ্ডয়া যাইতে পারে । এইবার দেখা পাক, বৈজ্ঞানিকের অনুসন্ধানের বিষয় কি ? কথায় বলা যায় ঘটনাবস্তু । বস্তুর অস্তিস্থ বা
- faë“s”.z“ تگی
ঘে-সম-2 (ኞ