পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা عدهای هیه قومیه নিজেকে উৎসর্গ দুঃখের মালা পরিয়ে দেন তবে সেই মালা দিয়েই তিনি তোমাকে বরণ ক’রে জাপন ক’রে নেবেন—তার চেয়ে আর কি চাই ? তুমি প্রতীকের কথা লিখেচ, সত্য আছেন দ্বারে এসে দাড়িয়ে, দিনের পর দিন প্রতীক্ষা করচেন, যদি থাকি দ্বার বন্ধু ক’রে প্রতীককে নিয়ে, তার চেয়ে বিড়ম্বন নেই। সব চেয়ে বিপদ হচ্চে প্রতীক অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন সত্য হয়ে যায় পর। সত্তোর দাবি কঠিন, প্রতীকের দাবি যৎসামান্ত । সত্য বলে, অকল্যাণকে অন্তরে ঠেকাতে হবে প্রাণপণশক্তিতে ; প্রতীক বলে, পাচসিকের পূজে দিয়েই ফল পাওয়া যায়। অর্থাৎ সত্য মাহুষকে মানুষ হ’তে বলে, আর প্রতীক তাকে চিরদিন ছেলেমাস্থ্য হ’তে বলে। প্রতীক মিথ্যা চোথরাঙানীতে ভারতের কোটি কোটি দুৰ্ব্বল চিত্তকে কাপুরুষ ক’রে তুলচে, সত্য তাকে যতরকম মিথ্যা ভয়ের মোহ থেকে উদ্বোধিত করতে চায়। প্রতীক দুশ্চরিত্র পাণ্ডার পায়ে মহন্তত্বের অবমাননা ঘটায়, সভ্য যথার্থ ভক্তির আলোয় মানুষের ললাটকে মহিমাম্বিত করে। তুমি তোমার যে-গুরুর মধ্যে পূর্ণ মানুষকে উপলব্ধি করেচ তিনি তো ফাকি নন, তাকে পেতে হ’লে তোমার সমস্ত মানবধৰ্ম্ম দিয়ে পেতে হবে, ছেলেখেলা ক’রে হবে না। বিরাট মাহুষকে আমরা কোনো বিশেৰ মাহুষের মধ্যে দেখেচি তার সত্য প্রমাণ দেবার বেলায় প্রশ্ন উঠবে, যে, কি নৈবেদ্য র্তাকে দিলে ? কেবল হৃদয়াবেগ ? তাকে উদ্দেশ করে তুমি মানুষের জন্তে কি করেচ— আপনাকে কতখানি বিশুদ্ধ করে তুলতে পেরেচ ? ধে-বিরাট তার মধ্যেই দেখা দিয়েচেন সেই বিরাটের সেবা কোথায় । তার তৃপ্তির জন্তে যখন আপনাকে সত্য ভাবে ত্যাগ করবে, মানুষের দ্বারে, স্মৃতিমন্দিরের প্রাঙ্গণে নয়, তখনই জীবনে র্তার সঙ্গে তোমার মিলন সার্থক হবে। ইতি ৪ বৈশাখ, ১৩৩৮ -- ماهانه ح----------عمههای جه હૈ কল্যাণীয়ান্থ তোমার চিঠি পড়ে আমি বিরক্ত হচ্চি এমন কল্পনা ক’য়ে দাও —তিনি যদি তোমাকে প্রবঞ্চনা পত্রধারা డిమినా .== sے ح. - TarunnoBot (আলাপ) ০০:৩০, ১৮ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) -------- مجمہ۔ ক'রো না। যে-গভীর উপলব্ধির ভিতর দিয়ে তুমি গিয়েচ সেটা আমার জানতে ভালই লাগচে । আমার মনে পড়চে আমিও এক সময়ে স্বভাবতই যে সাধনাকে অবলম্বন করেছিলুম তার মধ্যে ভাবরসের অংশই ছিল প্রধান-সংসার থেকে হৃদয়ের যে-তৃপ্তি যথেষ্ট পাওয়ী যায়নি সেইটেকেই অন্তরের মধ্যে মথন ক’রে তোলবার চেষ্টায় ছিলুম। কিছুদিন এই রসস্রোতে গা-ঢালান দিয়েচি ৷ কিন্তু সত্য তো কেবলি রসে বৈ সঃ নন, তাই এক সময় আমার ধিক্কার এল—সেই নিমজ্জন দশা থেকে তীরে ওঠাকেই মুক্তি ব’ল বুঝলুম । ভাবের মধ্যে সভোগ, কিন্তু কৰ্ম্মের মধ্যে তপস্তা। এই তপস্তায় সেই মহাপুরুষের আহবান, র্যাকে ঋষি বলেচেন “এব দেবো বিশ্বকৰ্ম্ম মহাত্ম৷ ” কেবল তিনি বিশ্বরস এবং বিশ্বরূপ নন কিন্তু বিশ্বকৰ্ম্ম । বিশ্বকৰ্ম্মে যোগ দিতে গেলেই বিশুদ্ধ হ’তে হয়, বীর্ধ্যবান হ’তে হয়, জ্ঞানী হ’তে হয়। বিশুদ্ধ কৰ্ম্মে সত্য সৰ্ব্বতোভাৰে সপ্রমাণ হন—জ্ঞানে, রসে, তেজে—পূর্ণ মন্থয়ত্বের মধ্যাদা সভ্যকৰ্ম্মে, বিশ্বকৰ্ম্মে ৷ একদা ছেলেবেলায় যখন দুধে বিতৃষ্ণ ছিল তখন ভৃত্যকে ব’লে দিয়েছিলুম ফেনায় পাত্র ভরিয়ে আনতে যাতে পিতা ফাকি না ধরতে পারেন । একদিন অস্তরের মধ্যে বুঝতে পেরেছিলুম, রসের সাধনার অনেকটাই সেই ফেন, বাম্পোচ্ছাস—ধার সাম্নে ধরি তাকেও ফাকি দিই, নিজেকেও । কৰ্ম্মের সাধনাতেও যথেষ্ট চলে—অর্থাৎ দুধে ফেন না মিশিয়ে জল মেশাবার পদ্ধতিও আছে—এমন ব্যবসায়ে অনেকেই পসার জমিয়ে থাকেন । কৰ্ম্মের মধ্য দিয়ে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে ভোলাবার প্রলোভন এসে পড়ে— বোলে আনা খাটি হওয়া সহজ নয়—কিন্তু তৰু মনে জানি ভেজাল বাদ দিয়েও যেটুকু বাকী থাকে সেটা উঠে যাবার জিনিষ নয়। অন্তত আজ এটুকু বুঝেচি কর্মের মধ্যে যে-উপলব্ধি, তাতে মচুৰ্য্যত্বকে সন্মানিত করা হয়—তাতে বাইরে ব্যর্থতা ঘটলেও অস্তরে গৌরবহানি ঘটে না । ইতি ৮ বৈশাখ ১৩৩৮