পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ! জীবনের যে অঙ্গভূতি কবির অন্তরকে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে তাহাই রচনার মধ্য দিয়া আত্মপ্রকাশ করিতে চায়। কবি যে সৰ্ব্বদা জানিয়া শুনিয়া এই অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করেন তাহা নয়। অনেক সময় তাহার অজ্ঞাত - সারে এই সকল অমুভূতি রচনার মধ্যে ব্যক্ত হুষ্টয়া পড়ে। পাঠকের হৃদয়ে রচনা যখন অল্পরূপ অল্প ভূতি সঞ্চারিত করিতে সমর্থ হয়, স্ৰষ্টfর মনের ভাববস্তু তখনক্ট রস বলিয়া পরিগণিত হয় । সাহিত্য জীবনের ব্যবসায়ী । কিছু জীবনের যে দিক কবি ৪ শ্রষ্টার মনে রসের উদ্বোধন করিতে পারে, জীবনের সেই দিকটুকু মাত্র সাহিন্তোর বিষয় । হয়ত সাঙ্গিত্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য রসের কষ্ট । জীবনকে ব্যক্ত করা সাহিত্যের সম্পূর্ণ উদ্বেগু ন হইলে ও একত্তর উদ্বেঙ্গ বটে। সত্য কথ। বলিতে গেলে জীবন ও সংসার সাহিত্যের উপাদান মাত্র । সংসারের একটি নিজস্ব অস্তিত্ব আছে । ঠিক-যেমন একেবারে তেমনিটি করিয়া সংসারকে তাক৷ বাস্তববাদীর একাপ্ত কাম হুইলেও, তাহা সম্ভবও নয় সাধ্যও নয় । বাহিরের জিনিষ কবির মনের ভিত্তর দিয়া যাত্র-কালে রূপাস্তুর গ্রহণ করে । এই রূপান্তরিত বস্তুষ্ট সাহিত্যে বাস্তব হইয়া আমাদের আনন্দের কারণ হইয়া ૭tછે । ংসারকে আমরা সংসাররূপে চিহিত করি না । সংসারের যে ছবির ছাপ আমাদের মনের উপর পড়িয়াছে, সংসারকে আমরা সেইরূপ করিয়াই আঁকি । কাব্যের রস কবির মনের স্থষ্টি । সাহিত্যে সংসারের স্বরূপ নাই । যাহা আছে তাহ রচয়িভার অগুরে গৃহীত সংসারfচত্ৰ । সাহিত্যের জীবন আমাদের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়া গড়া। রোমান্সে আমরা নিজেদেরই ভয় বিস্ময় কল্পনা আদর্শকে মূৰ্ত্ত করিয়া তুলি । সে স্ববিধ নাই বলিয়া বাস্তব-সাহিত্যে আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়াই বিচিত্র জীবন স্বষ্টি করি । মানুষের কাছে মানবজীবনের মত কৌতুহলের दियघ्र चांद्र कि जोtछ् ? छौद८नञ्च श्रांप्लांकन, छौबटनव्र সাহিত্য ও জীবন (r ব্যাখ্যা, জীবন-সমস্যার মীমাংসা থাকে বলিয়াই সাহিত্য আমাদের এত অাকর্ষণ করে । সে আলোচনা ব্যাথ্য! বা মীমাংসার মূলসূত্ৰ-আমি অথবা আমার জীবন । পরের বলিয়া সাহিত্যে আমরা নিজের জীবন চিত্রিত করি। মনের বিচারালয়ের কাছে সাহিত্য আত্মপক্ষ সমর্থনের লিপিবদ্ধ বক্তৃতা | সাহিত্যে আমরা জীবনের ভুলভ্রাস্তির ক্ষম প্রার্থনা করি, দোষক্রটির ওজর দেখাই, ত কৰ্ম্ম অথবা কুত-কল্পনার ন্যায্যতা প্রতিপাদন করি । সাহিত্য আমাদের জীবনেরই ব্যাখ্য। উপন্যাস অল্পবিস্তর আমাদের আত্মজীবনচরিত। সাহিত্যে আমরা নিজেদের আত্মার প্রতিষ্ঠা করি এবং আত্ম প্রতিষ্ঠা বজায় রাখি । যেখানে সমাজ আমাদের আক্রমণ করিতে চায়, সেখানে সাহিত্যে আমরা আত্মরক্ষা করি । সংসারে যাহা ভোগ করি না, সাহিত্যে তাহা উপভোগ করি । কাল্পনিক হইলেও সাহিত্যে আমাদের কামনা পরিতৃপ্ত হয়। সাহিত্যে আমরা নিজের দাবী সমর্থন করি, নিজের অন্তকুলে যুক্তি প্রদর্শন মরি। সেখানে আমাদের অন্যায় দ্যায় রূপে, আমাদের অপরাধ গৌরব রূপে এবং আমাদের স্বার্থপরতা আত্মচরিভার্থতার রূপে প্রতিভাত হয় । সকল সাহিত্য মমত্ব দিয়া রচিত । সকল কাবাই কলঙ্ক ভঞ্জনের কাহিনী । বড় সাহিত্যিক নিজের স্বল্প জীবনের ব্যাখ্যা করে, ছোট নিজের স্থল জীবনের কথাও বলে । এই ব্যাখ্যা বা মীমাংস যুক্তিতর্কের ভিতর দিয়া পাই না বলিয়াই সাহিত্যে আননের প্রেরণ। লাভ করি । মানবজীবন বৈচিত্রে অনন্ত হইলেণ্ড মূলতঃ অভিন্ন । মানুষের মৌলিক প্রকৃতির ঐক্য বশত: আমার জীবন সকলের মধ্যে এবং সকলের জীবন আমার মধ্যে অনুভব করি । তাই, একটি জীবনের বিবৃতিতে সকলের সহানুভূতি জাগিয় ওঠে । একটি জীবনসমস্তার সমাধানে সকল জীবনসমস্তার সমাধান পাওয়া গেল বলিয়া মনে হয় । একটি জীবনের ব্যাখ্যায় সকল জীবনের অর্থ সরল হইয় ওঠে। এ ব্যাখ্যা তর্কমূলক নয়। সাহিত্যে অখণ্ড রসম্বষ্টি রূপে সমগ্র জীবনকে প্রত্যক্ষ করি, বলিয়া জীবনের অর্থ উপলব্ধি করিতে কষ্ট হয় না।