পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ধ্রুবা ミ>Q --سس۔۔۔۔۔۔۔م۔--سال مسسہ দত্তদেবী আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে বলিলেন, “সকলে একে একে সম্রাটের শয্যাপ্রান্তে যাও, দেখতে পাবে যে দত্তার রাজাহীন পুত্র শুষ্কনেহে পিতার আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ করতে গেছে । চল, আমিও যাই।” চতুর্থ পরিচ্ছেদ বাগদত্তা পাটলিপুত্র নগরপ্রান্তে বিস্তীর্ণ উদ্যানমধ্যে ধর-বংশের প্রকাণ্ড প্রাসাদ গঙ্গার উত্তর তীর হইতে দেখা যাইত । ধর-বংশ গুপ্ত-সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সময় হস্ততেই প্রসিদ্ধ ও সম্রাস্ত। যেদিন সন্ধ্যাকালে মহানায়কবর্গ সমুদ্রগুপ্তের নিকট শেব বিদায় লইতে গিয়াছিলেন, তাহার পরদিন গুপ্ত-সাম্রাজ্যের যুবরাজ ভট্টারকের বাগদত্ত পত্নী ও মহানায়ক রুদ্রধরের কঙ্কা কুমারী ধ্রুবদেবী উদ্যানে সিয়া ছিলেন । গঙ্গাতীরে একটি ক্ষুদ্র সরোবরে অসংখ্য মুণাল ফুটিয়াছিল, সেই সরোবরের শুভ্ৰ মৰ্ম্মর নিৰ্ম্মিত সোপানাবলীর উপরে একটি বহুদূরবিস্তৃত যুথিকালত ছায়া বিস্তার করিয়াছিল । উদ্যানপাল বহুধত্বে যুথিকা লতাটিকে বিজ্ঞানে পরিণত করিয়াছিল। সেই যুথিকা বিজ্ঞানের নিম্নে, সৰ্ব্বোচ্চ সোপানের উপরে, উভয় দিকে এক একটি ক্ষুদ্র শুভ্ৰ মৰ্ম্মরের বেদী ছিল । বামদিকের বেীর উপর বসিয়া ধ্রুবদেবীর সখী নাগশ্ৰী ফুল সাজাইতে ছিলেন এবং ধ্রুবদেবী নিজে উদণনের নানাস্থান হইতে নানiজাতীয় ফুল সঞ্চয় করিতেছিলেন। ফুল সাজাষ্টতে সাজাইতে নাগই অবিরাম আপন মনে কথা বলিয়া যাইতেছিলেন, ধ্রুবদেবী তাহা কখনও শুনিতেছিলেন, কখনও বা অস্তমনস্ক হইতেছিলেন । নাগ শ্ৰী হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন, “কত রকম গুজবই যে উঠে, ধ্রুব ! আমায় আঙ্গ বলে গেল রামগুপ্ত নাকি যুবরাজ হবে । সেটা একট। মাতাল, লম্পট—” ধ্রুবা। তা হলে চন্দ্রগুপ্ত বোধ হয় বনে গিয়েছেন। নাগ। রামগুপ্তের মত রত্ব যে স্বামীরূপে কার ললাটে উদয় হবেন, ভগবান জানেন । সে নারী না জানি কত তপস্তাই করেছে ! এলা। রহস্ত নয়, নাগিনী, রত্ব হয়ত তোর ললাটেই È szą i নাগ । তাহলে আমাকে তখনই আত্মহত্যা করতে হবে । এই সময় বৃদ্ধ মইল্লিকা আসিয়া ধ্রুবদেবীকে বলিল, *প্রব, তোর আযাপুত্র এসেছে ।” এই মহল্লিকা শৈশবে ধ্রুবকে লালনপালন করিয়াছিল, স্বতরাং সে ধ্রুবার মাতৃস্থানীয়াই হুইয়। উঠিয়াfছল । ধ্রুবদেবী ব্যস্ত ইহঁয়া অঞ্চলের ফুলগুলি নাগশ্ৰীৰ সম্মুখে ফেলিয়। দিয়া বলিলেন, “তুই তাকে নিয়ে এtল না কেন ? fতনি আবার কবে থেকে অকুমতি নিতে আরম্ভ করলেন ? আমি যে বড় উৎকণ্ঠায় তার জন্তে অপেক্ষা করছি । সম্রাট কেমন আছেন, শুনেছিস ?” মহfল্লক। বলিল, ”ঞব, যুবরাজ আজ সত্যসভাই তেfমার অথমতির প্রতীক্ষায় ছুয়ার দা:ড়য়ে আছেন । আমি যখন বললাম ধে এ গৃহ আপনার, কারণ আপনি ধ্রুবার স্বামী আর আমার ভবিষ্যৎ প্রভু, তখন তিনি বললেন যে কালের পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।” ধ্রুবা। মহfল্পকা, তোর কথা শুনে একটা অজ্ঞাত আশঙ্কায় আমার হৃদয়ের অস্তঃস্তল পর্যাস্ত কেঁপে উঠছে । তুই যা, শীঘ্র আযপুত্রকে এইখানে ডেকে নিয়ে আয় । নাগিনী, তুইও যা, আমার প্রাণ বড় উত্তল হয়েছে। মংfল্ল ক ও নাগশ্ৰী চলিয়া গেল ॥ ধ্রুবদেবী ভাবিতে লাগিলেন, কেন এলেন না,—কি হ’ল ? একদিনে এমন কি পরিবর্তন হতে পারে ? তবে কি আযfপুত্রের মনেভাবই পরিবর্ভুিক্ত হয়েছে ? না, চন্দ্র গুপ্ত তেমন মাগুধ নয় । রামগুপ্তের মত পশুর পক্ষে ত সম্ভব হতে পারে, কিন্তু দত্তদেবীর পুত্রের পক্ষে অসম্ভব । এমন সময় মহfমক ও নাগ ই চন্দ্রগুপ্তের সঙ্গে ফিরিয়া আসিল । বেদী হইতে বহুদূরে দাড়াইয়া শুল্কমুখে চন্দ্রগুপ্ত বলিলেন, "দেবি, বিদায় নিতে এসেছি ।” এবদেবী তাঙ্কার দিকে ছুটয় গেলেন, কিন্তু মুগের ভাব দেখিয়া, সাহস করিয়া স্পর্শ করিতে পাfরলেন না । তিনি ধ্যাকুল হুইয়া জিজ্ঞাপ করিলেন, “বিলায় ? এ কি অশুভ কথা, আৰ্য্যপুত্র r আপনার এ বেশ কেন ? আপনি