পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পত্রধার। 8❖ፃ আসনেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে বলবার উপায় রাখিনে । ষার আমাকে ভক্তি করতে চায় তাদের পদে পদে খটকা লাগে । আমার এই চঞ্চলত যদি না থাকৃত তবে কোনদিন হয়ত হাল-আমলের একজন অবতার হয়ে উঠে ভক্তব্যুহের মধ্যে বন্দী হয়ে পড়তুম। অবতারশিকারে যাদের সখ তার কাছাকাছি এসে নাক সিটকে চলে যায়। তুমি আমার লেখা পড়তে চেয়েচ, পড়ে। কিন্তু কবির লেখা বলেই প’ড়ো। অর্থাৎ আমি সকলেরই বন্ধু, সকলেরই সমবয়সী, সকলেরই সহধাত্রী। আমি কিন্তু পণ্ডিত নই। পথ চলতে চলতে আমার যা-কিছু সংগ্ৰহ । ষা-কিছু জানি তার অনেকখানি আন্দাজ । বতখানি পড়ি, তার চেয়ে গড়ি অনেক বেশী । -ইতি ১৯ বৈশাখ ১৩৩৮ । শুভাকাঙ্ক্ষী . ঐরধীন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়ান্থ রঙীন ভাবরসবাম্পের মেঘমগুলে নিবিড় ক’রে ঘেরা একটি জগতে তুমি বাস কর—তোমার চিন্তা চেষ্টা তোমার আকাঙ্ক্ষা অভিরুচি সেইখানকারই রঙে রঙানো রসে রসানো, সেইখানকারই উপাদানে তৈরি । তোমার চিঠিগুলি থেকে সেইখানকার বাৰ্ত্ত পাই ; সেইখানকার ভাষারও পরিচয় পেতে থাকি। বুঝতে পারিনে তা নয়, কিন্তু সেই সঙ্গে এ-ও বুৰি আমি ও-জায়গার মানুষ নই। তোমাদের জীবনের লক্ষ্যকে একটি বিশেষ রূপে মূৰ্ত্ত ক’রে প্রতিষ্ঠিত করেচ, একটি স্বনিদিষ্ট কক্ষপথে বিষিধ উপচার. সহ তাকে প্রদক্ষিণ করচ । ওখানে বাস বঁাধবার মত প্রকৃতিই আমার নয়। তুমি মনে করতে পার যে, তার কারণ আমার মন ব্রাহ্মসংস্কারে চালিত—একেষারেই নয়, নূতন বা পুরাতন কোনো প্রচলিত সংস্কারে আমাকে কোনোদিন বাধেনি। মাঝে মাঝে ধরা দিতে গিরে ছিন্ন ক’রে বেরিয়ে চলে এসেচি—আমার জায়গা ছয়নি । কোনো সনাতন বা অধুনাতন ছাচে-ঢালা উপজগতের মধ্যে নিজেকে ধরাতে পায়লুম না। আমি কেবলই চলতে চলতে পাই এবং পেতে প্লেতে চলি, এমনি ক’রেই এতদিন কেটেচে। তুমি যে পাকা ইটের প্রাচীর তোলা রসলোকে বাস করচ আমার পথের এক অংশে ७कना आभि डाब्र भ८थाe cथcदल क८ब्रह्नूिभ-किरू আমার ঘে-পথ আমাকে সেইখানে নিয়ে গিয়েছিল সেই পথহ আমাকে সেখান থেকে বের ক'রে নিয়েও এল— যদি ওখানে মামাকে কোনো কারণে থাকতেই হ’ত— বাসিন্দা হয়ে থাকতে পারতুম না, বন্দী হয়ে থাকতুম। আমি যাকে পাই বা পেতে চাই কেবলই এগিয়ে গিয়ে তাকে পেতে হয়, আডড গেড়ে বসলেই গ্রস্থিটাকে পাই সোনাটাকে ফেলে দিয়ে। নানারকম চিহ্ন দিয়ে চেহারা দিয়ে কাহিনী দিয়ে সঙ্গরের গেট ও খিড়কির প্রাচীর দিয়ে তোমাদের পাওয়াটাকে খুব পাক ক’রে নিয়ে তোমরা ভোগ করতে চাও—আমি দেখি আমার থিমি পাওয়ার ধন ঐ সমস্ত পাকা প্রাচীরই তার পালাবার বড় রাস্তা। মন্দির থেকে দৌড় মারবার জন্তেষ্ট তার রথধাত্রা । আমার সম্পদকে নিদিষ্ট মুরক্ষিত করবার জন্যে আমি আমার পিতামহদের লোহার সিন্ধুকটাকে কাজে লাগতে চাইনে, ওজনজরে সে সিন্ধুক যতই ভারী ও কারিগরিতে ষজ্ঞই দামী হোক না। আমার সম্পদ রয়ে গেল আকাশে আলোতে বাতাসে আর অন্তরাকাশে, আর তার পরিচয় র ল পুথিবীর সকল কবির কাব্যে, কলারসিকের চিঞ্জে, নৃত্যে গানে, মনাধীর মননে, কৰ্ম্মীর কৰ্ম্মে, পৃথিবীর সকল বারের বায্যে, ত্যাগার ত্যাগে । এরা ষে চলেচে র্তারঙ্গ সঙ্গে যুগে যুগে তারই পথে পথে । কোনো বাধা বাক্যে তারা ধরা দেয় ন, বাধ মতে আটক পড়ে না, বাধ। রূপের শিকল পরে ন। একজন যদি বা পথরোধ ক'রে ইাকতে থাকে চরমে এসেচি, আর একজন অট্টহাস্তে লে বাধা চুরমার করে দের। এটা অত্যুক্তি হবে বদি বলি কোনো ৰাধা মতে আমাকে পেয়ে বসে না-কিন্তু সে-সব বাধনের গ্রন্থি আলগা—ঘথন টান পড়ে তখন আপনিই খোলে, গলায় ফাস লাগায় না। তুমি লিখেচ আমার সম্বন্ধে এক সময়ে তোমার ও তোমাদের অনেকের একটা বিরুদ্ধত ছিল। এই বিরুদ্ধতা প্রচ্ছন্ন ও প্রকাশ্যভাবে আমার দেশের ভিতরেই