পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্ৰধারা _ (পূৰ্ব্বাহুবৃত্তি ) जैथेब्रदौट्द्रनाथ ठांकूद्र এক শাস্তিনিকেতন এতটুকু একটুখানি জর রক্তের মধ্যে লুকোচুরি করে বেড়াচ্চে—ডাক্তার তাকে চিনে উঠতে পারে না। দাঞ্জিলিঙের হাওয়ায় তাকে ঝাড়িয়ে নেবার জন্তে পরামর্শ দিচ্চে। অবশেষে হার মেনে সেইদিকে পা বাড়িয়েচি । কাল রবিবারে কলিকাতায় যাত্র করব । তার পরে দুই-একদিন ডাক্তাররা নানাবিধ যন্ত্রের দ্বারা সওয়াল জবাব ক’রে দেহটার কাছ থেকে তার গোপন অপরাধের বিষয় ও আশ্রয়টার কথাটা কবুল করিয়ে নেবার চেষ্টা করবে। জানি পারবে না। অবশেষে হিমাচলের উপর ভার পড়বে শুশ্রীষীর। আমার মধ্যে বৈষ্ণবকে তুমি খোজো। সে পালায় নি। কিন্তু তার সঙ্গেই আছে শৈব,--ভিখারী এবং সন্ন্যাসী। রসরাজের বাশিও বাজে নটরাজের মৃত্যও হয়—যমুনায় নৌকা ভাসান দিয়ে শেষকালে পড়ি গিয়ে সেই গঙ্গায় যে-গঙ্গা গৈরিক পরে চলেচেন সমুদ্রে। छ्हें দাঞ্জিলিং তোমার চিঠিগুলিতে খাটি বাঙালী ঘরের হাওয়৷ পাই। হাসি পায় যখন তোমার চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ কর যে আমার রাগ হচ্চে। তুমি কি মনে কর মতামতের দ্বন্দ্ব নিয়ে গদাযুদ্ধ করা আমার স্বভাব ? যেখানে আমি রস পাই, সেখানে তর্কের বিষয়টা আমার কাছে গা-ঢাকা দেয়, সেখানে কিছুই আমার পক্ষে বেগানা নয়। বৈষ্ণব যেখানে বোটম নয় সেখানে আমিও বৈষ্ণব, থষ্টান যেখানে থেষ্টান নয় সেখানে আমিও খৃষ্টান। আমাদের দেবপূজায় বিদেশী ফুলের স্থান নেই, কিন্তু আমার মনের কাছে সব ফুলই ফুল, সোলার ফুল ছাড়া । নিজের মধ্যে যা খাটি বিশ্বের সত্যকে তা স্পর্শ করে। ঘন মেঘ ক’রে বৃষ্টি এল, এইবার চিঠি বন্ধ করা যাক্ । ইতি ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ ख्ब्मि দাঞ্জিলিং বাহির থেকে যতটা পীড়া পাও তাই ধথেষ্ট, কিন্তু অন্তর থেকে স্বরচিত পীড়া তার সঙ্গে যোগ ক’রে না । বিধাতা যেখানে দাড়ি টেনে দেন তোমার মনকে ব’লে তার পিছনে মোট কলমে আরও একটা দাড়ি টেনে খতম ক’রে দিতে। আমাদের দেশে অস্ত্যেষ্টি সংকারের তত্ত্বট। ঐ—মৃত্যু ধখন দেহটাকে সংহার করে তখন সেটাকে কবরে জমাবার চেষ্ট না করে আগুন জালিয়ে সেটার উপসংহার করাই শাস্তির পথ। সংসার আমাদের অনেক কিছু দিয়ে থাকে, কিন্তু তার চরম দান হচ্চে বঞ্চিত হবার শিক্ষা দান। ঘা পাওয়া যায় তার উপরে একান্ত নির্ভর করার অভ্যাসেই আমাদের সাংঘাতিক ফাকি দেয়, যা হারায় বা না পাওয়া যায় সে র্যাকির মধ্যে প্রবঞ্চনা নেই,—সেটার উপলক্ষ্য সংসারে পদে পদেই ঘটে তবু তাকে সহজে গ্রহণ করবার শিক্ষাটা কিছুতেই পাকা হ’তে চায় না। ধেখানে আপিল খাটে না সেখানে নালিশ করার মত অপব্যয় কিছুই নেই। অস্তরের মধ্যে ক্ষতিপূরণের একটা ভাণ্ডার আছে— কিন্তু আমরা সেই ভাণ্ডারের কুলুপে মরচে ধরিয়ে ফেলি, তাই সত্ত্বনার সম্পদকে অস্তরে আবদ্ধ রেখে তাকে পাইনে। আমাদের উৎস আছে তার মুখে পাথর চাপানে—সংসারের নিষ্ঠুরতা বার-বার কঠোর কণ্ঠে এই কথাই বলে, ঐ পাথরটাকে ঠেলে সরিয়ে দাও। বাহিরট।