পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAAMAMSMAAASSSAAASSSAAA SS AASAA S দানের উপর দাড়াইয়া ব্যাকানি থাইতে খাইতে চলিলাম। তবুও একবার চেষ্টা যে না করিয়াছিলাম এমন নয়। কয়েকটা লোক মানা করিল। তাহারা মানা করিতে ঘরোয়া বাংলায় যে শ্লেষ বিন্দ্রপের স্থললিত পদগুলি প্রয়োগ করিল তাহা এখানে লিপিবদ্ধ করা চলে না এবং তাহা শোনার পরও সেই কাজ করিতে পারে এমন লোক দেখিয়াছি বলিয়া ত মনে হয় না । মনে খালি সবিতা দেবীর কথা উদয় হইল । কে এই সবিতা দেবী ? খুজিয়া বাহির করিতেই হইবে। প্রথমে করোনেশন গারলস স্কুলের ঠিকানাট চাই। তাহা নয় পাওয়া গেল, তাহার পর ?--•সে পরের ভাবনা পরে ; মোট কথা এই রসটুকু হইতে যদি নিজেকে বঞ্চিত করি ত বুঝিতে হইবে যে সাহিত্যিক হিসাবে আমার মধ্যে আর পদার্থ নাই।---চমৎকার নামটি—সবিতা ! কি মোলায়েম । আমার রচিতমান দ্বিতীয় গ্রন্থের নায়িকার লবঙ্গলতিকা নামটাও মোলায়েম নিশ্চয়ই, কিন্তু একটু যেন লম্বাটে। বদলাইয়া সবিতা রাখিলে হয় না ? লবঙ্গলতিক—সবিতা, লবঙ্গলতিকা—সবিতা-না, সবিতাটিই একটু যেন বেশী মিষ্ট । তাছা হইলে স্বধু সবিতা দেবী না, সবিতা স্বন্দরী দেবী ?-•• বাড়িতে গিয়া বইটা আবার একটু আড়ালে রাখিতে হইবে—অপর স্ত্রীলোকের নাম পৰ্যন্ত বাড়িতে ঢুকিবার জো নাই ।---আম্বারা দিয়া দিয়া মাথায় উঠিয়াছে সব ! ছিল ভাল সেকালে—দশটা বিশটা করিয়া সতীন—কর কত ঝটপট করিবে••• ७, ७कहूँ चछभनक इझेब्राझि श्राद्र दाफ़ि शफ़ाहेब প্রায় পোয়াটাক রাস্তা আনিয়া ফেলিয়াছে ? “আরে, বাধকে—বাধকে, বাধো !-- শাচ্ছ বেছল ড্রাইভার ত! Vo উপর ঘরে গিয়া আগ্রহভরে বইখানি পকেট হইতে বাহির করিলাম। প্রথম পাতা উন্টাইতেই মিস সবিতা দেবীর নাম পরিচয়াদি লেখা—সে কথা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। খাড়া ইংরেজী লেডি হাও, বেশ প্রাণবস্থ অক্ষরগুলি। अल्लिनांथं ভিক্ষ-কোন রকমে প্রাণপণে একটা শিক ধরিাপ । ®ყ&ყN9 .س তাহার পরের পাতায় লেখকের ‘নিবেদন । তাহাতে প্রকৃত প্রেম সম্বন্ধে চলতি ধারণা হইতে আমার ধারণার কি প্রভেদ তাহার সবিস্তারে আলোচনা করিয়া অবশেষে মামুলি প্রথামত জানাইয়াছি যে, কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের আগ্রহাতিশয্যে পুস্তকখানি ছাপাইতে বাধ্য হইলাম । পড়িলাম—ইহার পাশে ছোট ছোট অক্ষরে লেখা আছে—পোড়াকপাল এমন বন্ধুদের। ইহাতে উৎসাহ বাড়িবার কথা নয় তবে কৌতুহল বাড়িল বটে,—বলে কি ! পরের পৃষ্ঠায় আমার প্রকাশকের একখানি হাফটোন ছবি ছিল —তাহার উপর খুব চাপ দিয়া একটা ঢেরা কাটা ! বলিতে কি, ইহাতে আমার বেশ একটু আনন্দই হইল— এই জন্ত যে প্রকাশকের ছবি বইয়ে থাকা আমার মোটেই রুচিকর হয় নাই। খাটিয়া মরিল লেখক, আর ছবি বাহির হইবে প্রকাশকের ? আর, অমুকের বইয়ের জন্য দেশটা লালায়িত একথাটার একটা সঙ্গত মানে আছে ; কিন্তু কে আর কাহার বদখৎ চেহারা দেখিবার জন্ত আহারনিজ পরিত্যাগ করিয়া বসিয়া আছে ? কথাগুলা স্পষ্ট করিয়া বলিতে পারি নাই বলিয়৷ মনে মনে আপশোষ করিতেছিলাম, এখন অনেকটা তৃপ্ত হইলাম। একবার যদি তাহাকে দেখাইতে পারিতাম তাহার চেহারা সম্বন্ধে মিস্ সবিতা নায়ী কোন এক যুবতীর অভিমতটা কি, আর সে অভিমতটা কিরূপ ক্রুর সঙ্কেতের দ্বারা ব্যক্ত হইয়াছে, তাহা হইলে আর কোন দুঃখই থাকিত না । কিন্তু হায় রে কপাল, এ আনন্দকণিকাটুকুও স্থায়ী হইল না। পরে জানিলাম পাঠিকা, ন-প্রকাশক, না-লেখক, ন-চরিত্রসমষ্টি কাহারও প্রতি সদয় নহেন। উগ্র প্রহরণ হন্তে প্রলয় মূৰ্ত্তিতে নামিয়াছেন পরশুরামের মত ধরণীকে নিক্ষেত্রিয় করা গোছের একটা পক্ষপাতশূন্ত উদ্বেগু লইয়া -সেই দুঃখের কথাই আজ বলিতে বসিয়াছি। আখ্যায়িকার প্রারম্ভটা যদি একবার জমাইয় ফেলিতে পারা যায় ত আর কিছুই দেখিতে হয় না, সে আপনার । বেগে আপনি সমাধানের দিকে অগ্রসর হইতে থাকে ।