পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থের ফল (क्लिब ) স্ত্রীরামপদ মুখোপাধ্যায় এবারকার তীর্থযাত্রায় আমরা সৰ্ব্বস্বন্ধ ছিলাম দশ জন । র্যহাদের আগ্রহাতিশয্যে এই যাত্র, তাহারা সকলেই অন্তঃপুরচারিণী—এ কথা বলাই বাহুল্য। ‘সমধুরে’র পিকুলু ছিলেন না-কাসর ছিলেন ; এবং আর র্যাহারা ছিলেন তাহারা কোন স্বরগ্রামের পধ্যায়ে পড়েন না, স্বতরাং কাসরের বান্তটা এবার সেরূপ শ্রুতিমধুর হয় नांझे । রাঙামামীর সংসারে দুই পুত্র, পুত্রবধূ এবং অনেকগুলি পৌত্র পৌত্রী। বয়স ষাটের কাছাকাছি। স্বামীবিয়োগের পর হইতেই আজ পনের বংসর যাবৎ পুণ্যসঞ্চয় ও শোক-নিবারণের উদ্বেপ্তে তীর্থযাত্রার আয়োজন করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু যাত্রার পূর্ব মুহূৰ্ত্তে একটা-নাএকটা বিঘ্ন ঘটয় তাহার আশা পূর্ণ হয় নাই। এবার পাড়ার আর পাঁচ জনকে বাহির হইতে দেখিয়া পণ করিলেন—যেমন করিয়াই হউক পুণ্যসঞ্চয় করিবেনই করিবেন । যাত্রার কয় দিন পূৰ্ব্ব হইতেই নাতিনাতিনীগুলিকে কাছে বসাইয়া নিজের হাতে খাবার খাওয়াইয়া দিতে লাগিলেন। কত খেলানা কিনিয়া দিলেন ও দিবারাত্র আদর-চুম্বনে তাহাদের কচি মুখগুলিকে রাঙা করিয়া তুলিলেন। ছেলেদের বার-বার আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, পুত্রবধূদের সংসার সম্বন্ধে কত স্নেহসতর্ক উপদেশ দিলেন । অবশেষে যাত্রা-দিনে পোটুলাপুটুলী লইয়৷ কাদিতে কাদিতে আমাদের সঙ্গে ট্রেনে আসিয়া উঠিলেন। অপর সহযাত্ৰিণীদের চক্ষুও শুষ্ক ছিল না। আত্মীয়वबनबिटव्हयन गकरणझे किहूकरभग्न जष्ठ बिबयान श्ब्र রছিলেন । e ট্রেন চলিতে লাগিল । ঘন্টাখানেকের মধ্যে ক্ষণপূর্বের আচ্ছন্ন ভাবটা কাটিয়া গেল। পরম্পর পরম্পরের মুখদু:খের তত্ত্ব লইতে লাগিলেন। মুখদু:খের কাহিনী ক্রমেই উচু পর্দায় উঠতে লাগিল । ট্রেন না হইলে অনায়াসে ভাব যাইত এটা একটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীমণ্ডপ । জাতিপাতের পূর্বস্থচন। স্বরূপ গ্রামপতিদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলিয়াছে ঘোর রবে। সেই কলরব কোলাহল ভেদ করিয়া শুধু কয়েকটি কথার সারমর্থ আমার শ্রুতিগোচর হইল,—সংসারটা মোটেই স্বখের স্থান নহে। যে যাহার স্বার্থ লইয়া সৰ্ব্বক্ষণ সতর্ক এবং গুরুজনদের সমীহ করিয়া চলিবার প্রবৃত্তি এই কালের কোনও কল্যাণীয়দের মনেই জাগে না! সকলেরই পুত্র, পুত্রবধূ অথবা দূর নিকট সম্পৰ্কীয় আত্মীয় আত্মীয়া এই সকল ভাল মানুষগুলিকে জালাইয়া পেড়াইয়া দিবারাত্র অতিষ্ঠ করিয়া তুলিতেছেন। কালের দোষ ছাড়া আর কি ? একটি বন্ধু আবক্ষ ঘোমটা টানিয়া এই-সব পূজনীয়াদের পরম রুচিকর আলাপ আলোচনা শুনিতেছিল এবং কোলের ছোট ছেলেটির পানে চাহিয়া হয়ত বা মনে মনে ভাবিতেছিল—আমার মন্টর বউ হইলে কখনই আমি এমন করিতে পারিব না। আমার বড় আদরের ছেলে, তার বউ—মাগো ! - বধু হয়ত জানিত না, তার স্বামীর বাল্যকালে এইসব বর্ষীয়সীরা ঠিক এইরূপই মনে করিতেন। তাহারাও এক সময়ে নবীনা মা ছিলেন এবংসস্তানকে প্রাণের অধিক ভালবাসিতেন। কিন্তু গোল ওই প্রাণের সঙ্গে ভালবাসাবাসির মধ্যেই বাসা বাধে। মায়েরা মনে কবেন—ছেলে তার নিজস্ব সম্পত্তি। কাল্পনিক বধুর উপর যথেষ্ট স্নেহমমতা দেখাইলেও রক্তমাংসের শরীর লইয়া বধু যেদিন সংসারে পদার্পণ করে, সেদিন অধিকাংশ ম-ই এই সম্পত্তিকে