পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড SAASASAAA AAAA AAAA AAASAAAA SSASAS SS SAAAAAMAAAS S ASAA AA ASA AAAAAS SAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAAAS S AAAA AAAA AAAA AAAA MAAA AAAA AAA M MA MA T M MMM MM AAAAA দেপিতে দেখিতে আরও অনেকগুলি দিন কাটিয়া গেল। পাড়ার লোকে মাঝে দিন কতক একটা কুসংবাদ লইয়া খুব আলোচনা করিল, তাহার পর সেটাও আবার কালক্রমে চাপা পড়িয়া গেল। তরঙ্গিণী না কি বাপের বাড়িতে আত্মহত্যা করিয়া মরিয়াছে। স্বামী তাহাকে ত্যাগ করিয়াছে, ইহা ছাড়া আয়ও কিছু দুঃপের কারণ জাহার ঘটয়াছিল কি-না তাহা বিশেষ কিছু জানা গেলনা, তবে তরঙ্গিণী যে আর নাই, সেটা নানা জনেই নানা ভাবে প্রচার করিল। কান্তিচন্দ্র লোক-দেখানে শ্রাস্ক একটা করিতে বাধ্য হইল, একদিনের জন্ত তরঙ্গিণী অন্ততঃ তাহাকে স্বামীর কৰ্ত্তব্য कब्रिटङ वाक्षा कब्रिज । লীলা ঘরে দ্বার দিয়া অনেকক্ষণ কাদিল । তরঙ্গিণীর কোনো একটা স্মৃতিচিহ্ন তাহার কাছে নাই, ইহা ভাবিয়া বুকের ভেতর তাহার অশ্রুয়াশি কেবলই ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতে লাগিল। একখানি ছবি কেন চাহিয়া লয় নাই, মনে করিয়া নিজেকে কেবলই ধিক্কার দিতে লাগিল ; জমিদার-বাড়িতে তরঙ্গিণীর কত সুন্দর স্বনীর ছবি সে দেখিয়াছে, সে সকলই হয়ত স্বাস্তাকুড়ে আশ্রয় লাভ করিয়াছে। হায়, হায়, তাহাকে যদি এক্ষপান কেহু জুনিয়া দিত । বিবাহের পর চার বৎসর কাটিয়া গেল, কিন্তু নূতন বউ স্বধারাণী এখন পৰ্য্যস্ত কোষ্ঠী এবং হাতের রেখার মৰ্য্যাদা রক্ষা করিতে পারিল না । বাড়িতে আবাব কোলাহল সুরু হইল। একদিকে গ্রহশাস্তি, দৈবজ্ঞের স্রোত, অন্যদিকে ডাক্তার ধাত্রীর চোটে বাড়ীতে রীতিমত সাড়া পড়িয়া গেল । পঞ্চম বৎসরে স্বখবর শোনা গেল, বড় তরফের বংশলোপ হুইবার আর ভয় नाङ्गे । কিন্তু এ পাড়াতে মা ষষ্ঠীতে এবং যমরাজেতে বিবাদ যেন সনাতন রীতি হইরা দাড়াইয়াছিল। পাঁচ ছয় বৎসর পরে লীলারও আবার একটি পুত্ৰ জন্মগ্রহণ করিল, কিন্তু মায়ের মনে অতৃপ্ত স্নেহের তুফান জাগাইয়া অকালেই সে বিদায় গ্রহণ করিল। লীলা চোখের জগ ফেলতে লাগিল—শুধু স্থত শিশুকে স্বরণ করিয়া নয়, বিদেশবাসী স্বামীকে এবং পরলোকগতা সখীকেও উদ্দেশ করিয়া । কেবলই তাহার মনে হইতে লাগিল গরীবের ঘরে ষত্ত্বের অভাবেই যেন তাহার শিশু অভিমান করিয়া চঙ্গিয়া গেল। ভাল করিয়া সারিয়া উঠিবারও তর সয় না, দরিদ্রের ঘরের অভাব, অভিযোগ অস্কন্ধতাকে উপহাস করিয়া দূরে তাড়াইয়া দেয়। লীলা মাস ফিরিতে-ন-ফিরিতে আবার উঠিয় কাজে লাগিয়া গেল, শরীর ধন্তই বিকল হউক, শাশুড়ীর ক্ষুরধার রসনা ষে একটু বিশ্রাম পাইল, তাহাতে সে আরাম বোধ করিল। সকালে উঠিয়া ব্লাল্লাঘর নিকাইভেছে এমন সময় বৃদ্ধ। তাহাকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘বলি ওগো বাছ', খোজ নাও ত একটু, জমিদার-বাড়িতে কি হল। কেবল ছুটিtছুটি, গোলমাল, মোটরকার করে একটার পর একটা ডাক্তার আসছে, টুপি মাথায় একটা ডাক্তারণী ও এল দেখছি। ভাল মন কিছু হল নী-কি কুভন বউটার ?” নূতন বউয়ের খবর জানিতে লীলার বিশেয কিছু উৎসাহ ছিল না, তবু একেবারে খোজ না করিয়াও পারিল না । হাজার হউক মেয়েমানুষ ত ? তাহাদের একটা দিন অস্ততঃ আসে যখন নারীমাত্রেরই সমবেদন জাগিয়া উঠে। লীলাও পাশের বাড়ির খুকী রাজুকে হাতে একটু চিনি ঘুষ দিয়া জমিদার বাড়ির রাধুনী বামাঠাকরুণের কাছে পাঠাইয় দিল । রাজু চটপটে মেয়ে, চিনির হাতটা ভাল করিয়া চাটিয়া লইয়া, ছেড়া চৌখুপী শাড়ীটা কোমরে জড়াইয়া ভো করিয়া এক দৌড়ে রাস্ত পার হুইয়া গেল। ছোট্ট এক রক্তি মেয়ে, বয়স যদিও নয় বৎসর, কোন ছিদ্র পথে ভিতরে ঢুকিয়া যাইত, তাহা দেউড়ীর দরোয়ান পৰ্য্যস্ত টের পাইত না। মিনিট পাচের ভিতরেই সে ফিরিয়া আসিয়া খবর দিল, “ওদের বউরাণীর ছেলে হবে গো, তিন দিন হ’ল বেদনা উঠেছে ” ছোট মেয়ের মুখে পাকা পাকা কথা, লীলা হাসিয়া उtश्iं बाङ्ग ५ब् ििन झि। विक्षि नििश्च। नििश । শাশুড়ী চক্ষু কপালে তুলিয়া বলিলেন,"ওমা, তিন দিন ধরে