পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহলে আমি বই বেছে দিতে পারি। আমি বেছে দিলে তোমার বাবা আর কিছু বলবেন না। একখানা ক্যাটালগ পেলে হত।” - মিহির বলিল, “তা জোগাড় করে আনা যায়। ভারি তৃ পাঁচটা আলমারি মাত্র, তার ক্যাটালগ করতে আর কত সময় লাগে ? আমাদের অঙ্কের স্তর ধিনি, তিনিই ত লাইব্রেরীয়ান, তাকে বলব।” হঠাৎ টুং টুং করিয়া বাজনা বাজিয়া উঠিল। প্রতাপের মন এবার নিতান্তই বিক্ষিপ্ত হইয়া গেল। কে বাজাইতেছে ? মিহিরের দিদি কি ? কেমন তিনি ? কে জানে ? বড়লোকের মেয়ে, মেম ইস্কুলে পড়ে, পিয়ানো বাজায়। এ ধরণের মেয়ের সহিত সাক্ষাৎ পরিচয়, এমন কি চাক্ষুষ পরিচয়ও প্রতাপের ছিল না। গল্পে উপন্যাসে মধ্যে মধ্যে ইহাদের পরিচয় সে পাইয়াছে, হয়ত বা দুই একজনকে পথেঘাটে গাড়ী -করিয়া যাইতে দেখিয়াছে। তখনকার দিনে শিক্ষিতা মহিলারাও পারতপক্ষে পথে বাহির হইতেন না। বাঙালীর চোখ ভদ্রঘরের মেয়েকে প্রকাশ্বস্থানে দেখিতে তখনও অভ্যন্ত হয় নাই। ইহাদের কথা খুব বেশী ভাবিবারই বা তাহার অবকাশ হুইয়াছে কই ? দারুণ অভাবের সঙ্গে সংগ্রাম করিতে করিতে সে নিজের যৌবনকেও তুলিয়া গিয়াছিল। কত আশা, কত কল্পনা, এই সময়ে মাস্থ্য মাত্রেরই বুকে বাসা বাধিয়া থাকে, কল্পনার রথে চড়িয়া মানসভ্রমণে তাহারা দেশ কাল সকলই অতিক্রম করিয়া যায়, কিন্তু হতভাগ্য প্রতাপ এ সকল হইতেই বঞ্চিত ছিল। দিনান্তে এক মুষ্টি অল্প ও মাথা গুজিবার একটা গর্ভের ভাবনায় সে জগতের সকল শোভা, সকল সৌন্দর্ঘ্যের দিকে পিছন ফিরিয়া থাকিতে বাধ্য হইয়াছিল। এমন কি নারীর অস্তিত্ব, যাহা ভোলা -পুরুষের পক্ষে অসম্ভব, তাও তাহার কাছে ছায়ামাত্র হুইয়া উঠিয়াছিল। পিয়ানো বাজিয়া চলিল। ক্রমেই যেন উহা কি এক অপূৰ্ব্ব মায়ায় প্রতাপের চিত্তকে আবিষ্ট করিয়া ফেলিতে লাগিল। কি বাজিতেছিল, তাং সে জানে না, ভাল बांजिटङझ्णि, क् िभक, उोश बूखिदाब्र मठ निकe পৌছিতে লাগিল। তাহার ছিল না, কিন্তু কোন এক অদৃপ্ত স্বয়লোকের সন্ধান যেন তাহার উপবাসী হৃদয়ের ভিতর আসিয়া এ কোন উৰ্ব্বশীর নূপুর-নিৰুণ, তাহার দারিত্র্যের কঠোর ব্রত ভঙ্গ করিতে আসিল ? এমন কি মিহিরও তাহার অস্বাভাবিক বিচলিত অবস্থা লক্ষ্য করিল। বালকের মনোবৃত্তি দিয়া সে জিনিষটাকে একভাবে বুৰিয়া বলিল, “এই এক উৎপাত। রোজই প্রায় লেগে থাকবে, খালি বৃহস্পতি আর শনিবার ছাড়া। ঠিক এই সময়টাতেই যেন দিদির পিয়ানো না শিখলে কিছুতেই চলছিল না।” - প্রতাপ বলিল, “তা এমন কিছু মুস্কিল হবে না, ভাল বাজনাতে কিছু পড়াশোনার ব্যাঘাত হয় না। এই সময়টাতেই তুমি না হয় ট্রানসৃলেশন করে, আমি দেখে দেব। কথা বলার হাঙ্গামা থাকবে না তা হ’লে।” মিহির বলিল, “আচ্ছ, তাই করা যাক। এই বইটার থেকে আমি ট্রান্সলেশন করি। এইটার থেকেই করব ?” প্রতাপ একটু যেন অন্তমনষ্কভাবে বলিল, “আজ তাই কর, কাল আমি আর একখানা বই জোগাড় ক’রে জানব।” মিহির বই খুলিয়া বসিল। প্রতাপ নিবিষ্টচিত্তে বাজনা শুনিতে লাগিল। তাহার মনের ভিতরট একেবারে রূপান্তরিত হইয়া গেল। সে নিজের দারিদ্র্য ভূলিল, দুঃখক্লিষ্ট জীবন ভুলিল, দেশ কাল সবই ভুলিয়া গেল। এই স্বস্বরলহরী যেন মায়াবিনীর মত তাহাকে অদৃষ্টপূৰ্ব্ব কল্পলোকের দ্বারে টানিয়া লইয়া গেল, তাহার মধ্যে প্রতাপ নিজেকে একেবারে হারাইয়া ফেলিল । মাঝে মাঝে বাজনা থামিয়া যাইতেছিল, মৃদুকণ্ঠে কে কি সব বলিতেছিল, তাহার একবর্ণও স্পষ্টভাবে প্রতাপের কানে আসিতেছিল না। কখন আবার বাস্ত আরম্ভ হইবে, তাহারই জন্ত সে আকুল আগ্রহে অপেক্ষা করিয়া থাকিতেছিল। খানিকপরে মিহির বলিল, “এই দেখুন স্তর, একটা প্যাসেজ হয়ে গেছে।” «थठां★ ८जांब्र कब्रिह भनळक किब्राहेब्बां जांनिण । थोडी