পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

άΨ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড


بستمه یحیی جیمحیح

বউয়ের উপর বেশী জোর জবরদস্তি খাটাইতে পারিভেস না। তবু ধমক দিয়া বলিলেন, "চুপ কর বেসরম ছড়ি । বউ মানবের এত লম্বা জবান কেন ?" লীলা থর খর করিয়া ঘরের ভিতর ঢুকিয় গেল । म८ब्राग्नान झडङन्न श्ध्न थॉनिक मैंप्लाझेब्र! ब्रश्लि । তাহার পর ফিরিয়া গেল । বউয়ের চতুর্দশ পুরুষ উদ্ধার করিডে করিতে বৃদ্ধ আবার শুইয়া পড়িলেন । লীলার অদৃষ্টে সেদিন নিশ্চিস্তে স্নানাহার লেখা ছিল না । স্বান সারিয়া সবে হাড়ি হইতে খোরায় ভাত ঢালিতে বসিয়াছে, এমন সময় এক অভাবনীয় ব্যাপার ঘটিয়া বসিল। জমিদার-বাড়ীর মস্ত সেডান গাড়ীখানা আসিয়া তাহীদের ঘরের সম্মুখে দাড়াইল, এবং তাহার ভিতর হইতে দাসীর সাহায্যে র্হাপাইতে হাপাইতে বাহির হইয়া আসিলেন স্বয়ং জমিদার-গৃহিণী । শাশুড়ীর চোখ প্রায় ঠিকৃরাইয়া বাহির হইয়া আসিতেছে দেখিয়া লীলা তাড়াতাড়ি ছুটিয়া আসিল । গৃহিণী বোধ হয় এক মিনিটের বেশী এক সম্বে দাড়াইয়া থাকার অভ্যাস বহুদিন ত্যাগ করিয়াছেন, লীলা ভাবিয়াই পাইল না, কোথায় তাহাকে বসাইবে । গরীব মাহুষের ঘর, সোফাকুরগীর বালাই নাই। একথানা ভাঙ্গা তক্তাপোষ • আছে, শাশুড়ী তাহাডে শোন, নিজে সে মাটিতেই বিছানা করিয়া শোয় ৷ তক্তপোধের উপর তাহার একমাত্র গায়ের কাপড় জয়পুরের ছাপ দেওয়া চাদরট পাতিয়া দিয়া বলিল, “এইখানেই বক্ষন, আমাদের ত আর বসতে দেবার জায়গা নেই।” গৃহিণী বলিতে পাইয়া বঁচিয়া গেলেন, একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “হঁাটাচলার অভ্যেস একেবারে গেছে। নিতান্ত দায়, তাই এলাম। তুমি ত বাছ ডেকে পাঠালেও ধাবে না ।" লীলার শাশুড়ী এতক্ষণে সামলাইয়া উঠিয়াছিলেন । তিনি বলিয়া উঠিলেন, “আজকালকার মেয়ে সব স্বাধীন, কারও কথার ধার ধারে ওরা ? আমরাই ভাবেদারীতে আছি। তা গরীবের কুঁড়েয় আজ যে রাণীমা পা रिजन ?” রাণীমা বলিলেন, “কি করি বল ? এত কষ্টের ধন, বংশের এক ছেলে, শিবরাডের সলতে, আর ত নেই ? তার প্রাণটা ত রাখতে হবে ? অামার বৌয়ের কথাত শুনেছ ? : বাছার উপর কার যে ভর হ’ল জানি না। চারদিকে শত্তর মা, কাকে বলব । তা নাতিটাও যেতে বসেছে । দশ বারোদিনের বাচ্চা, একফোটা মায়ের জুধ পেল না, কিসে তার জীবন টেকে বল ত ? ডাক্তার বলছে, আর কিছু খাওয়ালে টিকৃবে না। তা বাছা, তুমিও বামুনের মেয়ে, ডোমারটা ত কোল শুন্তি করে গেল। খোকাটাকে যদি একটু দুধ দাও ত বেঁচে যায় । টাকা দিতে আমরা পেছপী নই ৷ একশ চাও একশ পাবে, দুশো চাও দুশে পাবে । থাকৃবার ঘর পাবে, একটা ফুটে ভাঙতে হবে না, পায়ের উপর পা দিয়ে श्रृंi२tरा ” শাশুড়ী কিছু বলিবার আগেই লীলা বলিয়া উঠিল, “সে অামি পারব না । গরীব বলে আমাদের মান সঙ্গম cनशे न कि ?” জমিবার-গৃহিণী জন্মে এমন কথা শোনেন-নাই । র্তাহার বাড়িতে গেলে মান-সম্বম ধাইবে ? অঙ্ক সময় হইলে কি ঘটিত বলা যায় না, কিন্তু গরঙ্গ বড় বালাই, ক্টাহাকে রাগ চাপিয়াই যাইতে হইল। বলিলেন, • "মান সন্ত্রম কেন যাবে মা ? অামার ঘরে মেয়ের মত থাকৃবে, কেউ একটা কথা যদি বলে, ঘাড়ে তার মাথ৷ থাকৃবে না। য। চাও তা তুমি পাবে মা, ছেলেটাকে বঁাচাও । এতে তোমার পুণ্যি হবে ।” লীলা কথা কহিল না। গৃহিণী বলিলেন, "আচ্ছা একটু ভেবে দেখ বাছ, আমি তবে আসি। ঘণ্টাখানেক পরে গাড়ী পাঠাব, যেয়ে । নিজেও ছেলের মা তুমি, কচি ছেলে গল শুকিয়ে মরূবে, তাকে একটু দুধ দেবে না ?” কথাটা লীলার প্রাণে লাগিল। ছেলের মূল্য সে কি বোঝে না ? কিন্তু ভরগিণীর বিষন্ন মুখ যেন তাহার পথে অলঙ্ঘ্য বাধা তুলিয়া দাড়াইল । তাহারই হত্যাকারীকে শেবে সে সাহায্য করিতে যাইবে ? কাস্তিচক্সের শাস্তি ত পাওনাই আছে, সে কেন মাঝে পড়িয়া তাহা ঠেকাইতে যাইবে ? সে ধীরে ধীরে গিয়া