পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতৃঋণ ষ্ট্রীসীতা দেবী & রবিবার দিন সকালবেলাট চাকুরিজীবীর পক্ষে পরম রমণীয়। বিছানা ছাড়িয়া সহজে কেহ উঠিতে চায় না, আজ আপিস আদালত বা স্কুলের তাড়া নাই, একটুখানি মধুর আলপ্ত উপভোগ করিবার অধিকার তাহাদের আছে। কাটা গেল। ততক্ষণে রোজ উঠা পড়াতে শীতের উৎপাত অনেকখানি কমিয়া গেল। দূর হইতে গ্রেসের বাড়ির খোলা দরজার দিকে একদৃষ্টে তাকাইতে তাকাইতে সে অগ্রসর হইতে লাগিল। ম্যানেজার বীরেশ্বরবাৰু আসিলে প্রায়ই সদর দরজার ফাকে তাহাকে স্পষ্ট দেখিতে যখন খুনী উঠবে, যখন খুলী খাইবে, আজকার মত এ পাওয়া যায়, দরজার ধারেই তাহার টেবিল চেয়ার, জুনিয়ায় তাহারা কাহারও অধীন নয়। কিন্তু রবিবার উপভোগ করিবার মত অদৃষ্ট লইয়াও, গ্ৰতাপ জন্মগ্রহণ করে নাই। সকালে চোখ চাহিয়াই তাহার মনে হইল, কাল মণি অর্ডার না করিতে পারিলে, গ্রামের বাড়িতে পাচ ছয়টি প্রাণী শুকাইয়া থাকিবে। চারিটি টাকা মাত্র তাহার জুটিয়াছে, আজ সারাটা দিন তাহাকে প্রাণপণে চেষ্টা করিতে হুইবে, যদি আরও দু-চার টাকা জোগাড় করিতে পারে। স্কুল আজি নাই বটে, কিন্তু বিকালে মিহিরের কাছে যাইতে হইবে, তাহাকে বেড়াইতে লইয়া যাইবার জন্য। সকাল এবং দুপুরটা সে ঘুরিতে পারে, নিজের কাজে । বিছানা ছাড়িয়া উঠিয়া জলযোগ ইত্যাদি সারিতে তাহার ঘণ্টাখানিক কাটিয়া গেল। তাহার পর ছেড়া জুতায় পা চুকাইতে চুকাইতে ভাবিতে লাগিল, কোথায় - সে প্রথমে যাইবে । প্রেলেই একবার যাওয়া যাউক, যদিই ম্যানেজারবাবুর শুভাগমন হইয়া থাকে । তাহার পর অক্ষত্ৰ চেষ্টা করিয়া দেখিৰে । . . বাড়ি হইতে বাহির হইয়া ইটির চলিল। উঃ, এখনও কি তীব্র শীত, উত্তরের হাওয়াটা যেন তাহার জীর্ণ বক্ষপঞ্জর ভেদ করিয়া বাহির হইয়া যাইতে লাগিল। পৃথিবীতে দরিত্রের প্রতি প্রকৃতিও যেন নির্দয় । রাস্তার জন্ত । লোকগুলির দিকে চাহিয়া গ্রতাপের মনে হইতে লাগিল, তাছাদের যেন তত কষ্ট হইতেছে না। झु-बाहेल अर्थ अख्किर्ष रुटिङ डाशब्र घफेोथानिक বপুখানিও এমন যে, এক মাইল দূর হইতেই চোখে পড়ে। কিন্তু দরজা হা করিয়া খোলা বটে, বীরেশ্বরবাবুর মত কাহাকেও ত চোখে পড়ে না। আশাহীনের আশা লইয়াই প্রতাপ অগ্রসর হইয়া চলিল। বীরেশ্বরবাৰু আসেন নাই, আসিবার কোনো সম্ভাবনাও নাই, কারণ আজই তাহার ভগিনীর বিবাহ । কাল সন্ধ্যায় একবার আসিলেও আসিতে পারেন। প্রতাপ বুঝিল, এখানে দাড়াইয়া কোনই লাভ নাই, তবু মিনিটকয়েক সেখানে হতবুদ্ধির মত দাড়াইয়া রহিল। প্রেলে যাহার কাজ করিতেছে, সকলেই তাহার পরিচিত, কিন্তু তাহাদের কাছে কোনো কথা সে মুখ ফুটিয়া বলিতে পারিল না। যতই কেন-না মনকে বুঝাইতে চেষ্টা করুক যে আত্মসন্মানরক্ষা প্রভৃতি তাহার কাছে অতি মিথ্যা কল্পনা মাত্র, সে-সবের স্বপ্ন দেখিবারও তাহার অধিকার নাই, তবু সেই অলীক সম্মানবোধই যেন তাহার গলা টিপিয়া ধরিল। ইহাদের কাছে কি বলিবে সে ? সব ত তাহারই মত ४नछनैउि, अङबथप्छ गण। भाषाब्र घाम श्रोत्इ ফেলিয়া ষে যাহার অল্পমুষ্টির জন্ত প্রাণপণে সংগ্রাম করিতেছে, সে ইহাদের কাছে ভিক্ষা চাহিবে কোন লজ্জায় ? ফিরিয়া যদি ইহাদের ভিতর কেহ তাহার কাছে ধার চায়, সে কি একটা পয়সাও কাহাকেও দিতে পারিৰেr তবে চাহিবার মুখ তাহার কোথায় ? প্রেল হইতে বাহির হইয়া বন্ধক্ষণ এদিক-ওদিক খুরিয়া বেড়াইল, কোথাও কিছু স্থবিধা হইল না। অবশেষে