পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Ե আর কারও এই নক্শার কাপড় পরার অধিকার আগে ছিল না । এর পরে কোপারব্যাগের সঙ্গে তার Java Instituut-এর বাড়ীতে গেলুম। কোপ্যারব্যার্গ এইখানেই থাকেন। এখানে Dr. Pigeaud পিঝে ব’লে একটী ডচ যুবকের সঙ্গে আলাপ হ’ল। ইনি ঘবদ্বীপের মধ্যযুগের হিন্দুধৰ্ম্ম সম্বঙ্গে একখানি ঘবদ্বীপীয় ভাষার বই সম্পাদন আর তার অঙ্কুবাদ ক’রে হুলাণ্ডের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর উপাধি পেয়ে, কিছুকাল হ'ল যবদ্বীপে এসেছেন, যবদ্বীপীয় ভাষার একখানি বড়ো অভিধান সঙ্কলনের কাজে হাত দিয়েছেন। এর সঙ্গে বেশ শীঘ্রই আমার আলাপ আর হৃদ্যত জ’মে উঠল ; পরে এর সঙ্গে নানা বিষয়ে জামার আলাপ আলোচনা হয়—ঘবদ্বীপীয়দের হিন্দু সংস্কৃতিতে ইন্দোনেসীয় উপাদান কতটা, সে বিষয়ে কথা হয়,–ছু একটা নোতুন কথাও শুনি এর কাছ থেকে। কোপ্যারবার্গ Java Instituut-এর তরফ থেকে কবির জন্য কতকগুলি সেকেলে ঘবদ্বীপীয় শিল্পদ্রব্য উপহার দিলেন—নাটকে ব্যবহৃত গয়না, ওষুধ রাখবার জন্য সাবেক কালের কাঠের ছোটো বাক্স, চামড়ার ওয়াইয়াং পুতুল, এই সব । ছুপুরে খ্ৰীযুক্ত স্বযান বিদায় নিয়ে স্বরাবায়ায় ফিরলেন —তিনি এখান পৰ্য্যস্ত এসে কবিকে প্রত্যুদগমন ক’রে গেলেন । বিকালে শহরে আমাদের - অর্থাৎ স্বরেনবাবুর ধীরেনবাবুর আর আমার—প্রাচীন মণিহারী জিনিসের সন্ধানে অভিযান হল । "ক্রাতন’ বা রাজপ্রাসাদের ( স্বনানের প্রাসাদের ) একটা ফটকের রাইরে হরেক রকম জিনিসের হাট বা বাজার বসে, খসখানটাও ঘুরে এলুম। ক্রাতনের ভিতরে অনেকগুলি মহল ; এর বাইরেকার দু একটি মহুলও উপর-উপর জকটু দেখে এলুম। স আজ রাত্রে স্বম্বহুনানের প্রাসাদে Bedojo "বেডয়ো" ইথচ দেখতে যাবে।-ডিনারের পরে। কালো রেশমী সাচকান জার টুপী পরে আমরা তৈরী হলুম। এার পূর্বে মঞ্জুনগরো কালকের মত আজও তার Kraton প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রাসাদের ছোট মণ্ডপে নাচ দেখালেন । কালকের মেয়ে ছুটি আজও নাচলে—তবে আজ পুরুষের বেশ পরে, আর মুখে সঙের মুখস পরে। আজ কেবল নাচ হ’ল না—অভিনয় হ’ল ; এই সঙ-সাজা মেয়ে দুটির সঙ্গে অভিনয় ক’রলে একটি পুরুষ অভিনেতা- এরও মুখে সঙের মুখস । ব্যাপারটা যে খুবই হাস্যরসাশিত হ’চ্ছিল তা শ্রোতাদের ঘন ঘন হাসির রোল থেকে বোঝা যাচ্ছিল । মঞ্জুনগরোর রাণী আজ এই নৃত্য বা অভিনয় সভায় তার সহচরী পরিবৃত হয়ে এসেছিলেন, আর তা ছাড়া রাজবাড়ীর বিস্তর ছেলে বুড়ো আর মেয়ে ছিল— সবাই মগুপের উপরে ভূয়ে বসেছিল আসর করে । এই নৃত্যাভিনয়ের নাম শুনলুম Tembem ‘তেন্ধেম। আর Batjak-dojok ‘ntsto-coso So I মঞ্ছনগরোর বাড়ীতে প্রায় পৌনে নটা পৰ্য্যম্ভ এই নৃত্যাভিনয় দেখবার পরে আমরা স্বস্বহুনানের প্রাসাদে গেলুম। সেখানকার “বেণ্ডয়ো’ নৃত্যের কথা আর ষবদ্বীপের রাজ-দরবারের কথা পরে ব’ল্বে। ১৪ই সেপ্টেম্বর, বুধবার – প্রাতরাশের পরে কোপারব্যাগ সঙ্গে আমরা রাজপ্রাসাদের ফটকের লাগোয়া বাজারে পুরাতন জিনিসের দোকানে থানিকক্ষণ ঘোরাঘুরি করলুম, কতকগুলি ভালো জিনিসও সংগ্ৰহ হ’ল । বাতিক কাপড়ের অনেক রকমের স্বন্দর ইন্দর নকৃশার পিতলের ছাপ যোগাড় করা গেল। তারপরে শূৰ্বকৰ্ত্তর মিউজিয়মে নিয়ে গেলেন কোপারব্যার্গ। প্রাচীন যবদ্বীপীয় পাথরের মূৰ্ত্তি আর ব্ৰঞ্জের মূৰ্ত্তি কতকগুলি আছে,যবদ্বীপীয় কীৰ্ত্তির শ্রেষ্ঠ নিদর্শন এগুলি। ঘবদ্বীপের আধুনিক কৃষ্টির পরিচায়ক নানা বস্তু এখানে আছে—‘ওয়াইয়াং’-এর চামড়ায় কাটা পুতুল, নাটকে ব্যবহৃত মুখস, নানা রকম বাড়ীর আদর্শ, মাটির পুতুলে দেশের নানা শ্রেণীর লোকের চেহারার জার কাপড়-চোপড়ের আদর্শ, ইত্যাদি। মিউজিয়মের কৰ্ম্মচারীর বিশেষ সৌজন্তের পরিচয় দিলেন, আর আমাদের ঘবদ্বীপীয় ভাষায় মুদ্রিত মিউজিয়মের সচিত্র ক্যাটালগও উপহার দিলেন । মধ্যাহ্ন ভোজনের সময়ে জীযুক্ত Moens মুনল নামে