পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] অসহায় হইয়া পড়িল, তাহারা না আগাইতে পারে, না পায় বদ্ধমানে ফিরিবার পথ। অগত্যা বৃষ্টিকাদাভরা এক ক্ষেতে থামিয়া রহিল। অসন্তুষ্ট আফঘান সৈন্তগণ যুদ্ধে অবহেলা করিল, তাহারা নবাবকে জব্দ করিবার জন্তু ব্যগ্র। দু-একজন বীর শক্রদের আক্রমণ করিয়া প্রাণ দিলেন, কিন্তু তাহাদের অল্পচরগণ কোনরূপ সাহায্য না করিয়া নিরাপদে বসিয়া রহিল, নবাব-সৈন্ত শক্রবাহ ভেদ করিতে পারিল না। এই স্বযোগে মারাঠারা তাহাদের সমস্ত তাম্বু ও সম্পত্তি কাড়িয়া লইল ; যাহার একটু দূরে গিয়াছিল তাহারা মারা পডিল, কেহ কেহ পলাইল । বাকী সৈন্য সেই মাঠে অবরুদ্ধ হইয়া অনাস্তারে সমস্ত রাজি কাটাইল । ফলতঃ আলীবদ্দীর এতদিন প্রধান বল ছিল আফগান সৈন্থগণ । তাহার এখন অবাধ্য এবং অলস হগুয়ায় তাহার উদ্ধার পাইবার কোনই পথ রহিল না । T কেন যে এই সৈন্তগণ অসন্তুষ্ট এবং বিদ্রোহীপ্রায় হয় তাহার কারণগুলি সিয়র ১১৭-১১৮ পৃষ্ঠায় বিস্তারিত দেওয়া ইষ্টয়াছে পাঠকের ইংরেজী অতুবাদ দেখিয়া লইবেন । ] আলীবর্দী এখন একেবারেই . বন্দী হষ্টলেন । কিন্তু সময় লাভ করিয়া দুর হুইজে সাহায্য ডাকিয়া আনিবার অভিপ্রায়ে তিনি আবার ভাঙ্গরের নিকট সন্ধির প্রস্তাব পাঠাষ্টয়া দিলেন । কিন্তু এপন মারাঠারা নিজ বল বুঝিয়াছে, তাহার নবাবের সমস্ত হাতী এবং এক কোটি টাকা কর চাহিল । আলীবর্দী এই অবসরে আফঘানদের প্রধান সরদার মুস্তাফা খার হাতে-পায়ে ধরিয়া নিজের এবং শিশু দৌহিত্রের প্রাণ বাচাইবার জন্য মিনতি করিলেন। মুস্তাফা গার আবেগপূর্ণ বাণীতে আফঘান সৈন্তগণ আবার যুদ্ধে মাতিয়া উঠিল । তথন বাংলার সৈন্ত যুদ্ধ করিতে করিতে কাটোয়ায় অগ্রসর হইল । তাহাদের সমস্ত তাম্বু, খাদ্য ও সম্পত্তি হয় লুষ্ঠিত হইয়াছে, না-হয় বাহুক অভাবে ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছে। প্রতিদিন যুদ্ধ এবং কুচ করিতে কাটে, রাত্রে কোন বড় পুকুরের পাড়ে ঘুমায়, দিবারাজি আহর । জোটে না, দু-চার জন ভাগ্যবান লোক গাছের মূল বা কাচা ফল পাইলে তাহ দিয়া আখপেট ভরায় । বাংলার বগীর হাঙ্গামা Տ ՀG সৈঙ্কদের সঙ্গে তোপ ছিল বলিয়৷ বগী অশ্বারোহীরা কাছে আসিতে পারিত না, জিজেলের গোলা যতদূর বায়ু তাহার বাহিরে অপেক্ষা করিত। নচেৎ সমস্ত নবাবসৈন্ত ধ্বংস হইত। পথের দু-দিকে দশ মাইল জুড়িয়া দেশে মারাঠারা লুটিয়া পোড়াইয়া দিয়াছিল, বাংলার সৈন্তগণ কোন খাদ্য বা আশ্রয় পাইল না । কিন্তু নবাব অদম্য সাহস ও কষ্টসহিষ্ণুতার সহিত দিনের পর দিন পথ চলিয়। দুই সপ্তাহ পরে কাটোয়ায় পৌছিলেন । ৩০এ এপ্রিল ) । তাহারা আশা করিয়াছিলেন যে এখানে আহার গু বিশ্রাম লাভ হইবে । কিন্তু নবাব পৌছিবার পূৰ্ব্বেষ্ট মারাঠারা কাটোয়ায় ঢুকিয়া সব জিনিস লুটিয়া গ্রামটি পুড়াইয়া দিয়া চলিয়। গিয়াছিল । বাংলার সৈন্ত কাটোয়ায় আসিয়া অগত্য সেই আধপোড়। চাউল খাইয়৷ পেট ভরাষ্ট্ৰল । কাটোয়ার পূৰ্ব্ব পাশেষ্ট ভাগীরথী, তাহার পরপারে মুশীদাবাদের রাজপথ । সেই রাজধানী চইতে নবাবের প্রতিনিধি, তাহার অগ্রজ হাজী আহমদ, এখন কাটোয়ায় প্রচুর সৈন্য ভোপ এবং রসদ পাঠাষ্টয়া দিয়া আলীবর্দীর সৈন্সগণকে উদ্ধার করিলেন । তাহারা বিশ্রাম ৪ খাদ্যের সচ্ছলতা পাইল । কিন্তু এ স্কপ বেশী দিন থাকিল না। বদ্ধমানের বাঙ্গিরের যুদ্ধে নবাবের উচ্চ কৰ্ম্মচারী মীর হবিব ঘোড়৷ হষ্টতে পড়িয়া গিয়া মারাঠাদের হাতে বন্দী হয় এবং তাহার পর শত্রুপক্ষে যোগ দিয়া প্রাণপণ চেষ্টায় বঙ্গদেশের সমূহ ক্ষতি করে । ফলতঃ, এই ঘরের শত্রু বিভীষণ না থাকিলে বগীর হাঙ্গামা এত ভীষণ হুইত না এবং আলীবর্দী সহজেই স্থায়িভাবে এই বাৎসরিক আক্রমণ বন্ধ করিয়৷ দিতে সক্ষম হুইডেন। একমাত্র মীর ছবিবের উীক্ষ বুদ্ধি, কৰ্ম্মকুশলতা, অক্লান্ত শ্রমশক্তি এবং আলীৰঙ্গীর প্রতি অজেয় হিংসা ও শত্রুভাই মারাঠাদের বাংলা-অভিযানকে এত সফল এবং দীঘকালব্যাপী করিয়াছিল। স্বতরাং ऊांशब्र छौवनौ दáना कब्र। आवश्रक । ( & ) মীর হবিব পারস্কের শিরাজ নগরে “ জন্মগ্রহণ করে, এবং সেজন্ত লেখাপড়া একেবারে না জানিলেও, জনগল