পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা : এইরূপে বগীদের চিন্ধাহা পার - করিয়া দাক্ষিণাত্যে তাড়াইয়া দিলেন (ডিসেম্বর )। তাহার পর কিছুদিন কটকে কাটাইয়া আলীবর্দী খাঁ ১৭৪৩ সালের ফেব্রুয়ারির ৯ই ১০ই মুশীদাবাদে ফিরিলেন। ( . ) ইতিমধ্যে বাংলার এক অভাবনীয় বিপদ উপস্থিত হইয়াছিল । বগীর স্থ থম আক্রমণে আলীবদ্ধী দিল্লীর বাদশাহের নিকট সাহায্য চাহিয়া দরখাস্ত পাঠান। বাদশাহ তাহার অযোধ্যার স্ববাদার সফদর-জঙ্গকে গিয়া বিহার প্রদেশ রক্ষা করিতে আজ্ঞা দিলেন। সফদর-জঙ্গ নিজ রাজধানী ফয়জাবাদ হইতে রওনা হইলেন। সঙ্গে ছ-হাজার পারসীক সৈন্ত ( ইহারা নাদির শাহের রক্তপিপাস্থ পূৰ্ব্বতন অল্পচর ), দশ হাজার পরিপক্ক হিন্দুস্থানী অশ্বারোহী, এবং বড় বড় তোপ । কিন্তু তাহার সেনারা ঘোর উচ্ছ স্থল, কাহাকেও মানিত না। তাহার বিহারের লোকদের উপর নানা অত্যাচার করিতে লাগিল ; ( ৭ষ্ট ৮ই ডিসেম্বর পাটনায় আগমন )। গুজব রটল ষে বাদশাহ সফদর-জঙ্গকে বাংলা বিহারের স্ববাদারীর সনদ দিয়াছেন । সফ দর জঙ্গও পাটনায় পৌছিয়া যেন তিনিই ঐ দেশের প্রভূ এরূপ ব্যবহার করিতে লাগিলেন, সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ করিলেন । আলীবদীর মহা বিপদ, এদিকে দক্ষিণে মারাঠাদের ঠেকাইয়া রাখিতেছেন, আর তখন বন্ধুভাবে আগত এক শক্র পশ্চিমে র্তাহার রাজ্য কাড়িয়া লইতে চাহিতেছে। তিনি সফদর-জঙ্গকে লিখিলেন ষে উাহার মুর্শীদাবাদের দিকে আসার আবশ্যক নাই, কারণ আলীবর্দী একমাত্র ঈশ্বরের উপর নির্ভর করেন, বঙ্গী তাড়াইবার জন্য • কোন মানবের সাহায্য চান না । বাংলার সৌভাগাক্রমে সফদর-জজেরও দুটি প্রবল ভয়ের কারণ ছিল। এলাহাবাদের বাদশাহী মুবাদার তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী ও শক্র, অযোধ্যার বিদ্রোহী সামন্তদিগকে তলে তলে উত্তেজিত করিতে উদ্যত। আর, বাদশাহের আহানে পেশোয়া বালাজী রাও রঘুজীকে তাড়াইবার জন্ত বিহারে জাসিতেছেন ; সফ দর-জজের गश्ङि हैशंब नषक बकूरदब्र दिनबौङ । इङब्रार चयनि বগার -হাঙ্গামা হইয় ছিলেন । bశివె মুনেরের নিরন্ট-গঙ্গা পার হইয়া তিনি নিজ প্রদেশে ফিরিয়া গেলেন ( জানুয়ারি ১৭৪৩-র মাঝামাঝি ) । পাটনার লোকদের প্রাণ বাচিল । ( v ) ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বালাজী ৪• হাজার সৈন্ত লইয়া বিহারে প্রবেশ করিলেন। পথে যে কর বা ভেট দিল সেই বাচিল, আর যে না দিল তাহার সৰ্ব্বস্ব লুঠ হইল। যাহার নিজসম্পত্তি রক্ষার চেষ্টা করিল, তাহার। যুদ্ধে মারা পড়িল । কিন্তু বালাজী পাটনা শহরে আসিলেন না ; দাউদনগর হইতে টিকারী গয়া মানপুর ও বিহার হইয়া বাংলার পথ ধরিলেন এবং মুঙ্গের ভাগলপুর দিয়া অগ্রসর হইয়। জঙ্গল পৰ্ব্বত পার হইয়া বীরভূমে দেখা দিলেন এবং তাহার * মুর্শদাবাদের দিকে রওনা হইলেন। ইতিমধ্যে ভাস্করের আহবানে যুঞ্জী রামগড়ের পথে আবার কাটোয়ায় জাগিয় উপস্থিত ( মার্চ, ১৭৪৩ ) । বাংলায় দুইটি প্রকাও এবং পরস্পর-বিরোধী মারাঠা সৈন্যদলের সমাবেশ হুইল । ইহাদের সংঘর্ষ কি ভীষণ এবং ইহাদের সম্মিলিত আক্রমণ হইলে কি ভীষণতর বিপদ এই প্রদেশের উপর আনিয়া দিবে! আলীবর্দী খাঁ আমিনাগঞ্জে মুর্চা বাধিয়া সতর্ক সেখান হইতে পাচ ক্রোশ অগ্রসর হইয়া শুনিলেন যে বালাজী আরও পাচ ক্রোশ দূরে গঙ্গাতীরে পৌঁছিয়াছেন । নবাব অমনি নিজ জমাদার ঘুলাম মুস্তাফা এবং বালাজী রাওএর নিকট হইতে আগত দূত গঙ্গাধর রাও ও অমৃত রাওকে পেশোয়ার অগ্রগামী সেনার অধ্যক্ষ পিলাজী যাদবের নিকট পাঠাইলেন। পিলাজী আসিয়া নবাবের সহিত দু-ঘণ্ট। আলোচনা করিয়া এবং পরস্পর বন্ধুত্বের শপথ ও আশ্বাসবাণী বিনিময় করিয়া বিদায় লইল । তাহার পর তিন ক্রোশ অগ্রসর হইয়া নবাব লাওয়া নামক গ্রামে শিবির স্থাপন করিলেন, সেখান হইতে বালাঙ্গীর শিবির তিন ক্রোশ দূরে। এই দুই স্থানের মধ্যে উভয়ের সাক্ষাতের জন্ত তাৰু খাটান হইল। বালাজী, পিলাঙ্গী যাদব, মলহার হোলকার এবং

  • अछाछ जब्रजांब्लष्णब्र गरज लझेब्रां भिणह्नन्न हांप्नब्र मिट्टक