পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లe অগ্রসর হইলেন। বালাজী দাউদপুর পৌছিলে নবাব ফুলাম মুস্তাফা খাকে অগ্ৰে পাঠাইয়া দিয়া তাহাকে অভ্যর্থনা করিলেন, এবং নিজে তাৰু হইতে বাহির হইয়৷ কিছুদূর পর্ব্যস্ত হাতীতে চড়িয়া গেলেন। পরস্পরের দেখা হইলে তাহার দু-জনে হাতী হটতে নামিয়া আলিঙ্গন করিলেন এবং একত্রে তাবুতে বসিলেন । কথাবার্ভার পর তিনি বালাজীকে চারিট হাতী, দুইটি মহিষ এবং পাচটি ঘোড়া উপহার দিয়া বিদায় দিলেন । বাংলা দেশ হইতে সরকারী সংবাদ-লেখক দিল্লীর বাদশাহের নিকট যে বিবরণ ( আখ বারাং ) পাঠায় তাহা উপরে দেওয়া হইল। ইংরাজ কুঠার চিঠিতে জানা যায় যে, এই সাক্ষাৎ ৩১এ মাচ্চ পলাশীতে ঘটে, এবং এই আলোচনার ফলে নবাব শাহু রাঙ্গাকে বাংলার জন্ত চেীথ এবং বালাজীকে তাহার সৈন্তদের খরচ বাবতে বাইশ লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হন, আর বালাজীও রঘুজীর সহিত চূড়ান্ত নিম্পত্তি করিয়া দিবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞ করেন । সিয়রের বিবরণ (১৩১ পূ.) কিছু বিভিন্ন —বালাজী মানকরার নিকট সেনানিবাস স্থাপন করেন, এবং প্রথম দিন আলীবর্দী আসিয়৷ র্তাহার সহিত দেখা করেন ও পরদিন পেশোয় নবাবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যান । অসহায় নবাব নগদ চৌধ দিতে বাধ্য হন। তাহার পর দুই মিত্ৰ সসৈন্তে রঘুঙ্গীকে তাড়াইবার জন্য মুর্শীদাবাদ জেলা হইতে রওনা হইলেন। রঘুজী কাটোয় ও বদ্ধমানের মধ্যে র্তাবু খাটাইয়া ছিলেন, শত্রুর আগমনের সংবাদে বীরভূমে পলাইয় গেলেন । দুই-এক দিন কুচ করিবার পর বালাজী বলিলেন যে নবাবের সৈন্তগণ মারাঠাদের মত দ্রুত অগ্রসর হইতে পারে না, স্বতরাং রঘুজীকে ধরিতে হইলে, তাহাকে এক অগ্রসর হইতে হইবে। তাহাই হইল ; পরদিন ১৬ই ( এপ্রিল ) বালাজী দ্রুত কুচ আরম্ভ করিয়া কয়েক দিনের মধ্যে রঘুজীর সৈন্তের নিকট পৌছিয়া তাহাদের পরাজিত করিা প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮

  • আখবারতে বালাজী বাদশাহকে জানাইতেছেন, "রঘুজীর অনেক नर्वाब्र छांशद्र नप्न शक्लिग्न विद्राग्रह, ठांशांबा निजब्र भाषा बूक कब्रिब्राप्इ अक्र अष्ट्रक नाबाळी एकांनात्र फूविद्वात्रिब्राप्इ ।”

[ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড ہے. یہ سے مہمیم-اے-یہ رحمہ --- = পৰ্ব্বতের পথে পলাইতে বাধ্য করিলেন। রঘুজীর শিবির ও সৈন্তদের সম্পত্তি প্রায় সবই পেশোয়ার হস্তগত হইল । [ সিম্বর ১৩১ ] তাহার পর আলীবর্দী কাটোয়ায় ফিরিয়া (২৪ এপ্রিল) শহরের তিন দিকে মুৰ্চা বাধিয়া অজয় নদীর সঙ্গে যোগ করিয়া দিলেন এবং বর্গীদের খবরের অপেক্ষায় বসিয়া রহিলেন । বালাজার দূত আসিয়া সংবাদ দিল যে রঘুজী মানভূম পার হইয় গম্বলপুরের পথে থামিয়াছেন, এবং বালাজী পাচেট হইতে আট ক্রোশ দূরে পৌঁছিয়াছেন। কিছুদিন পর বালাজী গয়ায় গিয়া তীৰ্থকৰ্ম্ম করিয়া নিজ দেশে ফিরিয়া গেলেন, আর রঘুজ ও ভাস্কর মেদিনীপুর অঞ্চলে আবার মাথা তুলিল এবং নবাবের নিকট চেীথ দাবি করিয়া পাঠাইল । বঙ্গে ১৭৪৩ সালের মার্চ হইতে মে মাস পর্য্যস্ত মারাঠাআক্রমণের প্রণালী ও ফল ঠিক পূৰ্ব্ব বৎসরের মঞ্চই । ইংরাজ কুঠার চিঠিতে তাহার এইরূপ বর্ণনা আছে — ‘লুঠ ও ংস করা ভিন্ন আর কিছুই ঘটিল না। অনেক শহর সত্যসত্যই পোড়াইয়া দিল । নবাবের সৈন্যগণও খুব লুঠ করিল। কলিকাতা কাসিমবাজার ও পাটনায় আমাদের কারবার কিছুদিনের জন্য একেবারে বন্ধ হইয়৷ গেল।--কলিকাতায় এক শত বক্সরিয়া সৈন্য নিযুক্ত করা . হইল, এবং ৪ঠা এপ্রিল স্থানীয় সাহেবদের লইয়া এক মিলিশিয়া গঠন করা হইল ---কলিকাতার বণিকগণ প্রস্তাব কfরল যে তাহাদের বাড়িঘর রক্ষা করিবার জন্য তাহারা নিজের খরচে শহর ঘিরিয়া একটা খাল খুড়িবে। আমাদের কাউন্সিল ২৯এ মাচ্চ এই প্রস্তাব মঞ্জুর করিয়া চার জন প্রধান লোকের জামিনে তিন মাসে শোধ দিবার সৰ্ত্তে ২৫,০০০ টাকা ধার দিল । ৩রা ফেব্রুয়ারি ১৭৪৪-এর মধ্যে ঐ থাল ( “মারাঠা ডিচ" ) ফোর্টের দরওয়াজ হইতে হ্রদ (সণ্ট লেক্ )এর দিকে যাইবার বড় রাস্ত পৰ্য্যন্ত সম্পূর্ণ হইয়াছে। এখন গোবিন্দপুরে কোম্পানীর সীমানা পৰ্য্যন্ত তাহা লইয়া যাইবার কাজ আরম্ভ হইয়াছে।” [ ঐ ফোর্ট বৰ্ত্তমান জেনেরাল পোষ্টাপিসের জায়গায় ছিল । ]