পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বলিলেন—“তুমি বাপু, একখানা পুরী বাজাও ত ” হরসিত ঘোর প্যাচের মানুষ নয়, জবাব সোজা করিয়াই দিল—“হুকুম-টুকুম চলবে না মশাই, যা বাজাই শুনে ষান—আমার সাহেববাড়ির কল ।” অতএব সাহেববাড়ির কলের যেরূপ অভিপ্রায় হইল, হরিপুরের সমুদয় শ্রোতা তটস্থ হইয়া তাহা শুনিতে লাগিল—ইহা আমীর খাঁ ওস্তাদের মজলিস নয় যে, ফরমায়েস খাটিবে। অকস্মাৎ—ঘটর ঘটর ঘাস। গান থামিয়া গেল । কলের কোথায় কি কাটিয়া গেছে। এতগুলি শ্রোতা বিরসমুখে ধসিয়া রহিল। যন্ত্রপাতি বাহির করিয়া হরসিত কাঠের বাক্সটা খুলিয়া আলগা করিয়া ফেলিল । কলের বাঘ . ᎽᏬ☾ ভিতর মাস্থ্য নাট, কেবল লোহালক্কড় । হরসিত অনেক চেষ্টা করিল, কিন্তু মেরামত হইল না। তখন থালা হইতে বায়নার টাকা ও পেলার পয়সা তুলিয়া লষ্টয়া উন্টার্গাটে ভাল করিয়া গুজিয়া সে বলিল,—“রাত্তিরে আর নজর চলে না মশাই ! সকালেই ঠিক্‌ ক’রে বাকী গানগুলো শুনিয়ে দেব, কিরূপ ক'রে মশাইয়া সকলে পদধূলি দেবেন /* ঠাকুরবাড়িতে গ্রামস্থ সকল মহাশয়েরই সকালে যথাসময়ে ভিড় হইল, কিন্তু হুরসিত নাচ, কলের গান নাই, এমন কি নেত্য ঠাকুরুণের পিতলের ধটাটিও নাই । জল খাইবার জন্ম হরসিতকে ধটাটি দেওয়া হইয়াছিল । করাচীতে জাতীয় মহাসভা মঞ্চের উপর অভ্যর্থনী-সমিতির সভাপতি ডাঃ চৈধরাম পি গিল্ড ওয়ানি বক্ততা করিতেছেন