পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } AMMMeAMSMMAM AAAA AAAA S SAA AAA L AAAA AAAAMAAA AAAA AAAMA AMS MMMS CC সরকারী বেসরকারী নানা কাজে. দরকার পড়ায় নানা প্রদেশে আমাদের চাকরি ওকালতী ইত্যাদির স্বষোগ হইয়াছিল। ইংরেজী শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে যদি আমরা প্রথম হইতে আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও অধিক মন দিতাম তাহা হইলে ভাল হইত। কিন্তু গতামুশোচনা নিষ্ফল । ১৯১১ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্ষ্যস্ত বঙ্গের রাজধানী কলিকাতা ভারতবর্ষেরও রাজধানী ছিল । ইহাও বাঙালীর প্রভাববিস্তারের অন্যতম কারণ। এই কারণ কুড়ি বৎসর লুপ্ত হওয়ায় বাঙালীর প্রভাবও সেই পরিমাণে কমিয়াছে । কয়েক বৎসর আগে পর্য্যন্ত কংগ্রেসের সব কাজ ইংরেজীতে হইত। ৰাঙালীদের মধ্যে ইংরেজী-জানা লোক বেশী থাকায় ও র্তাহাদের মধ্যে ধনী বুদ্ধিমান ও বাগ্মী লোক কতকগুলি থাকায় কংগ্রেসে বাঙালীর প্রতিপত্তি ছিল। কংগ্রেসে সাক্ষাৎভাবে ধনীর প্রতিপত্তি এখন না থাকিলেও, কংগ্রেস চালাইবার জন্ত, আন্দোলনের জন্ত, এমন কি সত্যাগ্রহের জন্তও, টাকার দরকার থাকায় পরোক্ষ ভাবে ধনীর মধ্যাদা আছে। কিন্তু তাহা জমিদারীর মধ্যাদা নহে, নগদ টাকা ওয়ালার এবং নগদ টাকা দিবার সামর্থ্যের মর্য্যাদা । স্বতরাং ধনের পরোক্ষ ( যদিও খুবই প্রকৃত ) যে প্রতিপত্তি কংগ্রেসে এখনও আছে, তাহা মাড়োয়ারী ও ভাটিয়া টাকা-দেনেওয়ালা ধনীদের । বাঙালীর এখানে কোন স্থান নাই । বাঙালীরাই ভারতীয়দের মধ্যে একমাত্র বুদ্ধিমান জাতি নহে। অন্য জাতির বুদ্ধিমান লোকদের মধ্যে }ংরেজীর চর্চা যেমন বাড়িয়াছে এবং তাহারা যেমন যেমন ইংরেজীতে বাগ্মী হইয়াছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসে তাহাদেরও প্রতিপত্তি বাড়িয়াছে। এই জন্য, যত বৎসর কংগ্রেসে ইংরেজীরই চলন ছিল, তাহার শেষের দিকে বাঙালীর প্রভাব ও কাৰ্য্যকারিতা বিশেষ ভাবে কমিয়াছে। ইহাতে কেবল ষে বাঙালীর প্রভাব ও কাৰ্য্যকারিতাই কমিয়াছে, তাহা নহে ; কংগ্রেসেরও ক্ষতি হইয়াছে। মহাত্মা গান্ধী বুদ্ধিমান লোক ও খুব মহৎ লোক। কিন্তু কোন মানুষ যত বড়ই হউন, সকল চিন্ত৷ ভাৰ বুদ্ধির আকর তিনি হইতে পারেন না। বিবিধ প্রসঙ্গ—বাঙালীর লিী শেখা উচিত ×ჯvS) সকল প্রদেশের লোকদের চিন্তা ভাব বুদ্ধির সমবেত শক্তির দ্বারা চালিত হইলে তবে কংগ্রেস ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্র শক্তিশালী হইতে পারে। ইহা এখন সৰ্ব্বত্র শক্তিশালী নহে । কংগ্রেসের র্যাহারা বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যাপারে কস্তৃত্ব করেন, বঙ্গে তাহাদের প্রভাব ও কাৰ্য্যকারিত যত বেশ্যই হউক না কেন, সমগ্র ভারতীয় ব্যাপারে তাহাধের প্রভাব বিশেষ ভাবে অমুভূত ইয়ু না । সমগ্রভারতীয় ব্যাপারে তাহাদের কায্যকারিতা কম হুইবার একটি কারণ যে তাহাদের হিনীজ্ঞানের অভাব বা অল্পতা, তাহাতে সন্দেহ নাই । ংগ্রেসের কাজে কয়েক বৎসর হইতে হিন্দীভাষী ও ও গুজরাতী ভাধা লোকদের অধিক কাৰ্য্যকারিভার একমাত্র কারণ এ নয়, যে, ঐ দুই প্রদেশের লোকের হঠাৎ খুব বুদ্ধিমান ও কম্মিষ্ঠ হুষ্টয়া গেলেন এবং অন্যান্ত প্রদেশের লোকেরা হঠাৎ অকৰ্ম্মা ও নিৰ্ব্বোধ হইয়৷ গেলেন । মহাত্ম। গান্ধী গুজরাতী হইলেও সব গুজরাতী মহাত্মা গান্ধী নহে । হিন্দীভাষা প্রদেশগুলির কার্ধ্যকারিতা বুদ্ধির একটি কারণ কংগ্রেসে হিন্দীর প্রচলন । গুজরাতীর সংখ্যাবহুল জাতি নহে । সেই কারণে এবং তাছাদের সাহিত্যাভিমান বাঙালীর সাহিত্যাভিমানের মত নহে বলিয়া, তাহারা মহাত্মাজীর দৃষ্টাস্তে শুদ্ধ ও অশুদ্ধ হিন্দী খুব বলিতেছে। ংগ্রেসওয়ালা বাঙালীর ঘদি কংগ্রেসে নিজ নিজ বুদ্ধিবিদ্যার প্রয়োগ করিয়া দেশের সেবা করিতে চান, তাহা হইলে তাহাদিগকে শীঘ্র হিন্দী শিখিয়া ফেলিতে হইবে । মান্দ্রাজীর চতুর জাতি । ইতিমধ্যেই কোন কোন মান্দ্রাজী কংগ্রেসওয়াল হিন্দী শিখিয়াছেন । মাদ্রাজীদের চেয়ে বাঙালীর পক্ষে হিন্দী শেখ সোজা। রোজ দুই এক ঘণ্টা সময় দিলে শিক্ষিত বাঙালীরা পাচ-ছয় মাসে হিন্দী শিথিয়া ফেলিতে পারিবেন। . - ইহাতে কেবল যে কংগ্রেয়ে কাজ করিবারই জুবিধা হইবে তাহা নহে। সমগ্রভারতীয় হিন্দুমহাসভা প্রভৃতি "অন্ত যে-সব নিখিলভারতীয় প্রতিষ্ঠান আছে, হিন্দী জানিলে তাহাতে কাজ করিবারও সুবিধা হুইবে । ভারতবর্ষে স্বরাজ স্থাপিত হুইলে তাহার ব্যবস্থাপক সভার