* . প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ ঠিক-মত বিচার করা আমার পক্ষে সম্ভবপর নয় । অতীতকালে ভারতবর্ষের কি পরিমাণ ধন ব্রিটিশ দ্বীপে চালান গিয়েছে, এবং বর্তমানে কি পরিমাণ অর্থ বর্ষে বর্ষে নানাপ্রণালী দিয়ে সেক্টদিকে চলে যাচ্চে তার অন্ধ-সংখ্যা নিয়ে তর্ক করতে চাইনে। কিন্তু অতি স্পষ্টই দেখতে পাচ্চি, এবং অনেক ইংরেজ লেখকও তা স্বীকার করেন যে, আমাদের দেশের রক্তহীন দেহে মন চাপা পড়ে গেছে, জীবনে আনন্দ নেই, আমরা 'অস্তরে বাহিরে মরচি —এবং তার root cause বে ভারতবাসীরই মৰ্ম্মগত অপরাধের সঙ্গে জড়িত, অর্থাৎ কোনে গবমেণ্টই এর প্রতিকার করতে নিরতিশয় অক্ষম এ অপবাদ আমরা একেবারেই স্বীকার করব না । একথা চিরদিনই আমার মনে ছিল যে, ভারতের সঙ্গে ষে পরদেশবাসী শাসনকৰ্ত্তার স্বার্থের সম্বন্ধ প্রবল এবং দরদের সম্বন্ধ নেই, সে গবমেণ্ট নিজের গরজেই প্রবল শক্তিতে বিধি ও ব্যবস্থা রক্ষা করতে উৎসাহপরায়ণ, কিন্তু যে-সকল ব্যাপারে গরজ একান্ত আমাদেরই, যেখানে আমাদের দেশকে সৰ্ব্বপ্রকার বাচিয়ে তুলতে হবে, ধনে মনে ও প্রাণে,—সেখানে যথোচিত পরিমাণে শক্তি প্রয়োগ করতে এ গবমেণ্ট উদাসীন । অর্থাৎ এ সম্বন্ধে নিজের দেশের প্রতি শাসনকৰ্ত্তাদের ষত সচেষ্টতা, যত বেদনাবোধ, আমাদের দেশের প্রতি তার কিয়দংশও সম্ভব হয় না। অথচ আমাদের ধনপ্রাণ তাদেরই হাতে, ষে উপায়ে, যে উপাদানে আমরা বিনাশ থেকে রক্ষা পেতে পারি, সে আমাদের হাতে নেই। এমন কি, একথা যদি সত্য হয় যে, সমাজ-বিধি সম্বন্ধে মূঢ়তাবশতই আমরা মরতে বসেচি তবে এই মূঢ়তা ষেশিক্ষা ষে-উৎসাহ দ্বার দূর হতে পারে সেও ঐ বিদেশী গবমেন্টেরই রাজকাবে ও রাজ-মজিতে। দেশব্যাপী অশিক্ষাজনিত বিপদ দূর করবার উপায় কমিশনের পরামর্শমাত্র দ্বারা লাভ করা যায় না-সে সম্বন্ধে গবমেণ্টের তেমনি তৎপর হওয়া উচিত যেমন তৎপর ब्रि*ि* श्रवाश* निकब्रहे इ'ऊ बनि आहे जयत्र बिछैन দ্বীপের হত। সাইমন কমিশনকে আমাদের প্রশ্ন এই ষে, ভারতের অজ্ঞতা অশিক্ষার মধ্যেই এত বড় মৃত্যুশেল [ ७s* छांनं, *ञ थ७ নিহিত হয়ে এতদিন রক্তপাত করচে এই কথাই যদি সত্য হয়, তবে আজ একশো ষাট বৎসরের ব্রিটিশ শাসনে তার কিছুমাত্র লাঘব হ’ল না কেন ? কমিশন কি সাংখ্য-তথ্য যোগে দেখিয়েছেন পুলিসের ভাও জোগাতে ব্রিটিশ-রাজ ষে খরচ ক’রে থাকেন তার তুলনায় দেশকে শিক্ষিত করতে এই স্থদীর্ঘকাল কত খরচ করা হয়েচে । দূরদেশবাসী ধনী শাসকের পক্ষে পুলিসের ডাগু অপরিহার্ধ্য, কিন্তু সেই লাঠির বশঙ্গত যাদের মাথার খুলি, তাদের শিক্ষার ব্যয়বিধান বহু শতাব্দী মুলতবী রাখলেও কাজ চলে যায় । রাশিয়ায় পা বাড়িয়েই প্রথমেই চোখে পড়ল সেখানকার যে চাষী ও শ্রমিক সম্প্রদায় আজ আট বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতীয় জনসাধারণেরই মত নিঃসহায় নিরন্ত্র নির্ধাতিত নিরক্ষর ছিল, অনেক বিষয়ে যাদের দুঃখভার আমাদের চেয়ে বেশী বই কম ছিল না, অন্তত তাদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার এ অল্প কয় বৎসরের মধ্যেই ষে-উন্নতি লাভ করেচে দেড়শো বছরেও আমাদের দেশে উচ্চশ্রেণীর মধ্যেও তা হয়নি। আমাদের দরিদ্রাণাং মনোরথাঃ স্বদেশের শিক্ষা সম্বন্ধে যে জুরাশার ছবি মরীচিকার পটে অঁাকতেও সাহস পায়নি এখানে তার প্রত্যক্ষ রূপ দেখলুম দিগন্ত থেকে দিগন্তে বিস্তৃত। নিজেকে এ প্রশ্ন বার-বার জিজ্ঞাসা করেছি—এত বড় আশ্চর্ষ্য ব্যাপার সম্ভবপর হ’ল কি ক’রে ? মনের মধ্যে এই উত্তর পেয়েছি যে লোভের বাধা কোনোখানে নেই। শিক্ষার দ্বারা সব মাছুষই যথোচিত সক্ষম হয়ে উঠবে একথা মনে করতে কোথাও খটকা লাগচে না । দূর এশিয়ার তুর্কমেনিস্তানবাসী প্রজাদেরও পূরোপুরি শিক্ষা দিতে এদের মনে একটুও ভয় নেই, প্রত্যুত প্রবল আগ্রহ আছে। তুর্কমেনিস্তানের প্রথাগত মুঢ়তার মধ্যেই সেখানকার লোকের সমস্ত দুঃখের কারণ এই কথাটা রিপোর্টে নির্দেশ করে উদাসীন হয়ে বলে নেই। , কোচিন-চায়নায় শিক্ষাবিস্তার সম্বন্ধে শুনেচি কোনো ফরাসী পাণ্ডিত্যব্যবসায়ী বলেচেন যে, ভারতবর্ষে हेश्रब्रजब्राख cनी ८णाक्टक त्रिक श्रिङ रिव्र cय फूल
পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।