১ম সংখ্যা | সোভিয়েট নীতি و لألا বণিক-সম্প্রদায়,—বিত্ত খাটিয়ে লাভ করাটাই যাদের মুখ্য ব্যবসায়,—তারা সমাজে ছিল পতিত। যেহেতু তখন ধনের বিশেষ সন্মান ছিল না, এইজন্য ধন ও অধনের একটা মস্ত বিভেদ তখন ছিল বর্তমান । ধন আপন বৃহৎ সঞ্চয়ের দ্বারা নয়, আপন মহৎ দায়িত্ব পূরণ করে তবে সমাজে মৰ্য্যাদা লাভ করত, নইলে তার ছিল লজ্জা । অর্থাৎ সম্মান ছিল ধৰ্ম্মের, ধনের নয়। এই সন্মান সমর্পণ করতে গিয়ে কারও আত্মসম্মানের হানি হ’ত না । এখন সেদিন গেছে ব’লেই সামাজিক দায়িত্বহীন ধনের প্রতি একটা অসহিষ্ণুতার লক্ষণ নানা আকারে দেখা যাচ্চে । কারণ ধন এখন মানুষকে অর্ঘ্য দেয় না, তাকে অপমানিত করে । যুরোপীয় সভ্যতা প্রথম থেকেই নগরে সংহত হবার পথ খুজেছে । নগরে মামুষের স্বধোগ হয় বড়, সম্বন্ধ হয় খাটো । নগর অতি বৃহৎ, মানুষ সেখানে বিক্ষিপ্ত, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য একান্ত, প্রতিযোগিতার মথন প্রবল । ঐশ্বধ্য সেখানে ধনী নিধনের বিভাগকে বাড়িয়ে তোলে এবং চ্যারিটির দ্বারা যেটুকু যোগসাধন হয় তাতে সান্থন নেই, সন্মান নেই। সেখানে যার ধনের অধিকারী এবং যারা ধনের বাহনু তাদের মধ্যে আর্থিক যোগ আছে, সামাজিক সম্বন্ধ বিকৃত অথবা বিচ্ছিন্ন । এমন অবস্থায় যন্ত্রযুগ এল, লাভের অন্ধ বেড়ে চলল অসম্ভব পরিমাণে। এই লাভের মহামারী সমস্ত পৃথিবীতে যখন ছড়াতে লাগল তখন যারা দুরবাসী অনাত্মীয়, যার নিধন, তাদের আর উপায় রইল না, চীনকে খেতে হ’ল আফিম, ভারতকে উজাড় করতে হ’ল তার নিজস্ব, আফ্রিকা চিরদিন পীড়িত, তার পীড়া বেড়ে চলল। এ তো গেল বাইরের কথা, পশ্চিম মহাদেশের ভিতরেও ধনী निषप्नब्र बिछात्र चाज चङास कt*ाब्र L.जैौबनषांजाब्र আদর্শ বহুমূল্য ও উপকরণবহুল হওয়াতে ছুই পক্ষের ভেদ অত্যন্ত প্রবল হয়ে চোখে পড়ে। সাৰেক কালে, অন্তত আমাদের দেশে, ঐশ্বর্ধ্যের আড়ম্বর ছিল প্রধানত সামাজিকু দানে ও কৰ্ম্মে, এখন ইয়েছে ব্যক্তিগত ভোগে । তাতে বিস্মিত করে, আনন্দিত করে না, ঈৰ্ষা জাগায়, প্রশংসা জাগায় না। সব চেয়ে বড় কথাটা হচ্চে এই যে, তখন সমাজে ধনের ব্যবহার একমাত্র দাতার স্বেচ্ছার উপর নির্ভর করত না, তার উপরে ছিল সামাজিক ইচ্ছার প্রবল প্রভাব । স্বতরাং দাতাকে নম্র হয়ে দান করতে হ’ত, उवंरुब्बी ८मब्र६, ५हे कथॉफैँ थाई ऊ । মোট কথা হচ্চে আধুনিক কালে ব্যক্তিগত ধনসঞ্চয় ধনীকে যে প্রবল শক্তির অধিকার দিচ্চে তাতে সৰ্ব্বজনের সম্মান ও আনন্দ থাকতে পারে না । তাতে একপক্ষে * অসীম লোভ, অপর পক্ষে গভীর ঈর্ষা, মাঝখানে দুস্তর পার্থক্য । সমাজে সহযোগিতার চেয়ে প্রতিযোগিতা অসম্ভব বড় হয়ে উঠল। এই প্রতিযোগিতা নিজের দেশের এক শ্রেণীর সঙ্গে অন্ত শ্রেণীর, এবং বাহিরে এক দেশের সঙ্গে অন্ত দেশের । তাই চারদিকে সংশয়হিংস্র অস্ত্র শাণিত হয়ে উঠচে, কোনো উপায়েই তার পরিমাণ কেউ খৰ্ব্ব করতে পারচে না । আর পরদেশী যারা এই দুরস্থিত ডোগরাক্ষসের ক্ষুধা মেটাবার কাজেনিযুক্ত তাদের রক্তবিরল কৃশতা যুগের পর যুগে বেড়েই চলেচে। এই বহুবিস্তৃত কৃশতার মধ্যে পৃথিবীর অশান্তি বাসা বাধতে পারে না, একথা যারা বলদপে কল্পনা করে তারা নিজের গোয়ার্জমির অন্ধতার দ্বারা বিড়ম্বিত। যারা নিরস্তর দুঃখ পেয়ে চলেচে সেই হতভাগারাই দুঃখ-বিধাতার প্রেরিত দূতদের প্রধান সহায়, তাদের উপবাসের মধ্যে প্রলয়ের আগুন সঞ্চিত হচ্চে । বৰ্ত্তমান সভ্যতার এই অমানবিক অবস্থায় বলশেভিক নীতির অভু্যুদয়। বায়ুমণ্ডলের এক অংশে তন্থত্ব ঘটলে ঝড় যেমন বিদ্যুদস্ত পেষণ ক’রে মারমূৰ্ত্তি ধরে ছুটে আলে এ-ও সেই রকম কাণ্ড । মানবসমাজে সামঞ্জস্ত ভেঙে গেছে বলেই এই একটা অপ্রাকৃতিক বিপ্লবের প্রাদ্বর্তীৰ। সমষ্টির প্রতি ব্যটির উপেক্ষ ক্রমশই বেড়ে উঠছিল ব’লেই সমষ্টির দোহাই দিয়ে আজ ব্যষ্টিকে বলি দেবার আত্মঘাতী প্রস্তাব উঠেচে । তীরে অগ্নিগিরি উৎপাত বাধিয়েচে ৰ’লে সমুদ্রকেই একমাত্র বন্ধু ব'লে এই ঘোষণী । তীয়হীন সমূত্রের রীতিমত পরিচয় যখন পাওয়া যাবে তখন কুলে ওঠবার জন্তে আবার জাকুপাকু করতে হবে। সেই बा४ि-दकिंठ गभङ्किं चबाखवड कथनहे भाश छिब्रनिन সইৰে, নং: থেকে লোভের দুর্গগুলোকে জয়
পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।