পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ථෂH [ ১৬ ] পূরকভয় শেষ তিন দিন । ১৫ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার – ŝTF fitwi ( Dr. Theodor Gautier Thomas Pigeaud ) ঘবদ্বীপের প্রাচীন ধৰ্ম্ম ও ভাষা নিয়ে আলোচনা করছেন । এর বয়স আল্প, কিন্তু এর মধ্যে আলোচ্য বিদ্যায় বেশ কৃতিত্ত্ব দেখিয়েছেন। হিন্দু ধর্মের আর হিন্দু পুরাণ-কাহিনীর উৎপত্তি-বিষয়ে এর সঙ্গে কিছু কিছু আলোচনা করি, আর সেই আলোচনায় আমি বেশ প্রীত হই। ভারতের হিন্দুধৰ্ম্ম আর সভ্যতা এ সব দেশে এসে সহজেই এতটা বিস্তার লাভ ক’রলে, তার কারণ হ’চ্ছে কতকটা এই যে, হিন্দু ধর্মের আর সভ্যতার নিজেরই মূলে অনেক বিষয়ে অস্টিক্‌ জাতির আহৃত উপাদান আছে । ডাক্তার পিঝে মনে করেন যে রামায়ণের গল্প আখ্য-পূৰ্ব্ব যুগের, খুব সম্ভব মূল জাখ্যানটীর উদ্ভব হয়েছিল এই জাসটিক জাতির মধ্যে ; পরে এটাকে সংস্কৃত ক’রে বাল্মীকি প্রভৃতি কবিদের সহায়তায় ব্রাহ্মণগণ কর্তৃক গৃহীত হয়, হিন্দু বা ব্রাহ্মণ্য সভ্যতার অঙ্গ হিসাবে দাড়িয়ে যায়। রামায়ণ আর মহাভারতের মূল কথা আধ্য-পূৰ্ব্ব যুগের ভারতের স্বসভ্য অনাৰ্য্য জাতির মধ্যে উদ্ভূত হওয়া অসম্ভব নয় । তবে রামায়ণের আখ্যানবস্তুভে একাধিক বিভিন্ন কথা মিলিত হ’য়ে গিয়েছে, এইটাই বেশী সম্ভব । এ বিষয় নিয়ে-রামায়ণ মহাভারত আর পুরাণ কাহিনীগুলিতে, অনায্য-উপাদান কতটা আছে, তাই নিয়ে আলোচনা কিছু-কিং হচ্ছে, আরও বেশ করে হবে। হলু সভ্যতার মূলে ধাদ জনাৰ্য্য প্রভাব এতট। বেশী থাকে, তা হ'লে রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণেও ধে থাকবে তার আর আশ্চৰ্য্য কি। ডাক্তার পিঝো আমাদের আলাপের স্মারক স্বরূপে একটা মূল্যবান উপহার wiarą fazsia–Tantu Panggelaran W’toi zsiðR ঘবদ্বীপীয় পুরাণ-কথার গ্রন্থ। বইখানি গদ্যে লেখা, হিন্দু স্বষ্টিকথা, দেবদেবীদের কাহিনী আর ঘবদ্বীপের প্রাচীন হিন্দুধৰ্ম্ম আর আস্থঠান সম্বন্ধে নানা কথায় ভরা ; এটা মূল পুথি থেকে, ভূমিকা ডচ অনুবাদ আর টীকাটিপ্পনী সমেত রোমান অক্ষরে ছাপিয়ে তার লাইডেন বিশ্ব প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিদ্যালয়ের ডক্টরেট-ধৗসিস্ হিসাবে ডক্টর পিঝে} প্রকাশিত ক’রেছেন ; সঙ্গে সঙ্গে ডচ ভাষায় খান তেরেী প্রাচীন যবদ্বীপীয় পুরাণ-গ্রন্থের পরিচয়ও দিয়েছেন – যথা—দেবশাসন, রাজপতিগুগুল (?), প্রতস্তি ভুবন (?), ব্ৰতিশাসন, ঋষিশাসন, শিবশাসন, শীলকম, সারসমুচ্চয়, আদিপুরাণ, ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ, অগস্ত্যপৰ্ব্ব, চতুঃপক্ষোপদেশ, কৌরবাশ্রম । জহুরূপ বা সমনামের সংস্কৃতি বইয়ের সঙ্গে এগুলি মিলিয়ে দেখা উচিত। এই রূপ তুলনা-মূলক আলোচনায় আমাদের অতীতের কোনও না কোনো অজ্ঞাত রহস্ত বেরিয়ে প’ড়বে নিশ্চয়ই । সকালে মঞ্ছনগরে কবিকে পাহাড়ের উপরে তার এক বাগান-বাড়ীতে নিয়ে গেলেন । সঙ্গে আমরা সকলেই ছিলুম, দ্রেউএস, কোপ্যারব্যাগ, ধীরেন বাবু, পিঝে; আর আমি । থালি স্বরেন বাবু যান নি, তিনি ডচ বা স্থশিল্পী Karsten কাস্টেন-এর সঙ্গে মোটরে ক’রে উত্তরে সেমারাঙ, শহরে সারাদিনের মতন গেলেন, সেখানে এই শিল্পী ঘবদ্বীপীয় বাস্তু-রীতির আধারের উপর নোতুন অনেকগুলি বাড়ী করেছেন, তাই দেখতে গেলেন । সুরেনবাবু চিত্রকর তো বটেন, তিনি সৌষ্ঠবময় গৃহরচনায়ও সিদ্ধহস্ত ; শাস্তিনিকেতনে আর ঐনিকেতনে অতি মনোহর যে একটা বস্তু-রীতি গ’ড়ে উঠছে, যাতে ভারতীয় ভাব পুরো বজায় আছে অথচ ভারতীয় বাস্ত্রশিল্পের একটা নবীন অভিব্যক্তি ফুটে উঠছে, সেই বাস্ত-রীতির উদ্ভবে স্বরেনবাবুর অনেক থানি কুতিত্ব আছে । এ জায়গাটায় লোকের বসতি কম। চমৎকার দৃপ্ত এখানকার, কেবলি বলিদ্বীপের কথা মনে হ’fচ্ছল । কতকগুলি সহজ চড়াই পথ বেয়ে’ আমাদের *irât crisi arta Karang Pandan “sisis. পাদান’ ব’লে একটি গ্রাম পড়ে ; এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য খুবই উপভোগ্য । ইউরোপীয়দের জন্য এখানে একটি হোটেল আছে । আমরা মঞ্জুনগরোর পাহাড়ের উপরকার বাড়ীতে গিয়ে সেখানে খানিকক্ষণ কাটিয়ে” জাবার কারাঙ-পান্দান-এ এলুম। সেইখানেই আমাদের