পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] এদের আলাদা ক’রে শেখানো হয় না। মেয়েকয়টকে দেখে আমাদের দেশের মেয়েদের মতন লাজুক, শাস্ত, নম্র আর ভবা ব’লে মনে হ’ল । বড়ো ঘরের মেয়ে অনেকেই, তবুও দাসদাসীর পাট এখানে বেশী নেই, গৃহকৰ্ম্ম কাপড় কাচা ইত্যাদি নিজেরাই করে। ইস্কুল বাড়ীট খুব বড়ে নয়, তবে গাছপালা চারদিকে বেশ আছে । মাঝেকার একটা বড়ে ঘর নিয়ে এদের ডর্মিটরী বা শোবার ঘর । শিক্ষয়িত্রী আমাদের সব দেখালেন—বিলাসিত কিছুই নেষ্ট, তক্তাপোষের উপরে সাদ। মাদুরই হ’চ্ছে এদের বিছানা, কিন্তু সব পরিষ্কার ঝকৃ-ঝক তক্‌-তক ক’বৃছে । একট। বেশ শুচিতার আবি-হাওয়ার মধ্যে যেন ইস্কুলট । কবির চমৎকার লাগ ল—মঙ্কনগরো আর তার বন্ধুদের এই রকম ভাবে দেশের প্রাচীন সাহিত্য আর শিল্পের সঙ্গে জড়িত, বিলাসিত-বজ্জিত উচ্চশিক্ষা দেবার চেষ্টাকে খুবই সাধুবাদ দিলেন । আঞ্জ বিকালে জুইফুলের গন্ধযুক্ত চ পান করা গেল—এই চা নাকি পালি ধবদ্বীপেই হয়। চায়ের সঙ্গে లిస్రిథి ਾਬ উপকরণ বা অকুপান ছিল—সকরকন্দ আলু লিঙ্ক, নারকম দুধ আর সাগুদানার সঙ্গে এদেশের এক রকম গুড় দিয়ে তৈরী পায়স—এটা এদেশের একটা স্থখাদ্য । প্রথম রাত্রে মঞ্জুনগরোর প্রাসাদের ছোটো মণ্ডপে ছায়াচিত্র-সহযোগে আমার বক্তৃতা হ’ল, ভারতের চিত্রশিল্পের ইতিহাস বিষয়ে । কবি ছিলেন, মঞ্জুনগরে নিজেও ছিলেন। ডাক্তার ই টারহাইম লণ্ঠন আনেন আর ছবিগুলি দেখান, আর আমার ইংরেজী বক্তৃতার ডচ অনুবাদ করেন দ্রেউএস । মঞ্জুনগরে নিজের জন পঞ্চাশেক আত্মীয় আর বন্ধুকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন । আহারাদির পরে রাজকুমার কুহুমায়ুধ-র বাড়ীতে যবদ্বীপের বৈশিষ্ট্য ছায়াচিত্রাভিনয় দেখতে গেলুম । এই fisfazi ş’tē fgsirrs Wajang Poerwa “suforts পূৰ্ব্ব’ – প্রাচীন ইতিহাসের কাহিনী নিয়ে ছায়াভিনয়। এই জিনিসটার সম্বন্ধে কিছু বলা দরকার। ( ক্রমশ: ) ট্রাজেডি শ্ৰীহেমচন্দ্র বাগচী মহাকাশে রাত্রি এল ; এল যেন তিমির-জোয়ার লঙ্ঘিয়া কালের বাধা ধরিত্রীর দীর্ঘ উপকূলে ! এস আরও কাছে সরে—মোর হাতে হাত দা ৪ অfজ – শুনিছ না, ছুয়ারে তোমার লাগিছে নিশার স্রোত ? শব্দহীন সেই বেগ—থরথর আঘাতে তাহার কঁাপিছে তোমার ঘর—তরী, যেন উঠিয়াছে ছলে— এ আদিম অন্ধকারে দুটি প্রাণী করিছে বিরাজ– "নোয়া’ বুঝি ভাসায়েছে বৰ্ম্মসম অর্ণবের পোত ! এল শুনি দুইজনে ধরণীর হিন্দোলার গান, আঁচল ছড়ায়ে রাতি বসিয়াছে শিয়রে তাহার— সে ভাষা বুঝি না মোরা—শুধু সেই গাঢ়তম স্বর মর্শের জন্তরে পশি তুলি ধরে কাহার গুণ্ঠন ! তোমারও শিহর জাগে ?—ষেন তীব্র বিদ্যুতের বাণ চকিতে ছিড়িয়া দিল অতীতের মহা পারাবার – দেখ কি বিষণ্ণ আলো !—ভেসে যায় দূর হতে দূর— , ‘আদম ইভা’র জ্যোতি কা’রা যেন করিছে লুণ্ঠন ৷ মনে হয় আজ রাতে ওই মাঠে কে যেন কঁাদিছে— কায়াহীন যত ছায় একসাথে করিয়াছে ভিড়, . চেনে না প্রিয়ারে যেই, প্রিয়ারে যে দেয় বিসর্জন, প্রিয়ারে যে বধ করে রুধি তার স্বরভি-নিঃশ্বাস, সব ধেন আসিয়াছে—হির্মরাতে শিশিরে ভাসিছে তাদের বঞ্চিত আশা ; শোন ধ্বনি গভীর কিল্লীর নিয়তির পরিহাসে ক্ষীণ হ’ল যাদের জীবন,— · তাদের ছায়ায় দেখ ভরে গেল রাত্রির জাকাশ ! .