পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ৷ হিন্দু মুসলমাণ 86×Y আগোচরেও সেটা অন্তঃকরণের মধ্যে থেকে যায়। ধৰ্ম্ম "আমাদের মেলাতে পারে নি, বরঞ্চ হাজারখানা বেড়। গড়ে তুলে সেই বাধাগুলোকে ইতিহাসের অতীত শাশ্বত বলে পাকা করে দিয়েচে । ইংরেজ নিজের জাতকে हेषrब्रज बाणहे भब्रिकद्र cनञ्च । वनि दन्ड धूडान, उाश्रण ষে ইংরেজ বৌদ্ধ বা মুসলমান বা নাস্তিক তাকে নিয়ে রাষ্ট্রগঠনে মাথা-ঠোকাঠুকি বেধে যেত। জাম্বাদের প্রধান পরিচয় হিন্দু বা মুসলমান। একদলকে বিশেষ পরিচয়কালে বলি বটে হিন্দুস্থানী, কিন্তু তাদের হিন্দুস্থান বাংলার বাইরে । কয়েক বছর পূৰ্ব্বে আমার ইংরেজ বন্ধু এও দ্রকে নিয়ে মালাবারে ভ্রমণ করছিলুম। ব্রাহ্মণ-পল্লীর সীমানায় পা বাড়াতেই টিয়া-সমাজভূক্ত একজন শিক্ষিত ভদ্রলোক আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করে দৌড় দিলেন । এগুজ বিস্মিত হয়ে তাকে গিয়ে ধরলেন, এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাতে জানলেন, এ পাড়ায় তাদের জাতের প্রবেশ নিষেধ। বলা বাহুল্য, হিন্দুসমাজ বিধি অনুসারে এণ্ড জের আচারবিচার টিয়া ভদ্রলোকের চেয়ে অনেক গুণে অশাস্ত্রীয় । শাসনকৰ্ত্তার জাত বলে তার জোর আছে, কিন্তু হিন্দু বলে হিন্দুর কাছে আত্মীয়তার জোর নেষ্ট । তার সম্বন্ধে হিন্দুর দেবতা পৰ্য্যস্ত জাত বঁচিয়ে চলেন, স্বয়ং জগন্নাথ পৰ্য্যন্ত প্রত্যক্ষ দর্শনীয় নন । বৈমাত্র্য সস্থানও মাতার কোলের অংশ দাবী করতে পারে,— বিশ্বমাতার এত ভাগ কেন ? অন:স্বীয়তাকে অস্থিমজ্জায় আমরা সংস্কারগত করে বেখেছি অথচ রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে তাদের আত্মীয়তা না পেলে আমরা বিস্মিত হই । শোনা গিয়েছে, এবার পূৰ্ব্ববঙ্গে কোথাও কোথাও হিন্দুর প্রতি উৎপাতে নমশুদ্রিরা নিৰ্দ্দয়ভাবে মুসলমানদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল । ভাবতে হবে না কি, ওদের দরদ হ’ল না আত্মীয়তার দায়িত্বে বাধা পড়ল কোথায় ? এই অনাত্মীয়ভার অসংখ্য অস্তরাল বহু যুগ ধরে প্রকাতে আমাদের রাষ্ট্রভাগ্যকে ব্যর্থ করেছে এবং আজও ভিতরে ভিতরে আমাদের দুঃখ ঘটাচ্চে । জোর গলায় যেখানে বলচি, আমরা এক, স্বল্প স্বরে সেখানে で言エ কোলে কেন, অন্তৰ্য্যামী আমাদের মর্শ্বস্থানে বলে বলচেন, ধর্শ্বেকৰ্ম্মে चाकां८ब्र विकांरब्र ७क झ्याग्न भएल खेदांर्षT ८खांयांtनब्र নেই। এর ফল ফলচে ; আর রাগ করচি ফলের উপরে, বীজ বপনের উপরে নয় । যখন বঙ্গবিভাগের সাংঘাতিক প্রস্তাব নিয়ে বাঙালীর क्रिख बिक्रूक उभन बाद्धांजौ यशङा यन्त्रकऐ-नौडि चवजचन করতে চেষ্টা করেছিল । বাংলার সেই ছুদিনের স্থযোগে বম্বাই মিলওয়ালা নিৰ্ম্মমভাবে তাদের মুনফার অঙ্ক বাড়িয়ে তুলে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টাকে প্রতিহত করতে কুষ্ঠিত হননি। সেই সঙ্গে দেখা গেল বাঙালী মুসলমান সেদিন আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে দাড়ালেন। সেই যুগেই বাংলা দেশে হিন্দু মুসলমানে লজ্জাজনক কুৎসিত কাণ্ডের সূত্রপাত হ’ল । অপরাধটা প্রধানত কোন পক্ষের এবং এই উপদ্রব অকস্মাৎ কোথা থেকে উৎসাহ পেলে সে তর্কে প্রয়োজন নেই । আমাদের চিন্তা করবার বিষয়টা হচ্ছে এই যে, বাংল। দ্বিখণ্ডিত হ’লে বাঙালী জাতের মধ্যে যে পঙ্গুতার স্বষ্টি হ’ত, সেটা বাংলা দেশের সকল সম্প্রদায়ের এবং বস্তুত সমস্ত ভারতবর্যেরই পক্ষে অকল্যাণকর, এটা যথার্থ দরদ দিয়ে বোঝবার মত একাত্মকতা আমাদের নেই বলে সেরিন বাঙালী হিন্দুর বিরুদ্ধে অনাত্মীয় অসহযোগিতা সম্ভব হয়েছিল । রাষ্ট্রপ্রতিমার কাঠামো গড়বার সময় এ কথাটা মনে রাখা দরকার । নিজেকে ভোলানোর ছলে বিধাভাকে ভোলাতে পারব না । এই ব্যাপারে সেদিন অনেকেই রাগারাগি করেছিলেন । কিন্তু ফুটে কলসীতে জল তুলতে গেলে জল যে পড়ে যায় তা নিয়ে জলের উপরে বা কলসীর উপরে চোখ রাঙিয়ে লাভ কি ? গরজ আমাদের যতই থাক ছিদ্রট। স্বভাবত ছিদ্রের মতই ব্যবহার করবে । কলঙ্ক আমাদেরই, আর সে কলঙ্ক যথাসময়ে ধরা পড়বেই, দৈবের রুপায় লজ্জ নিবারণ হবে না । কথা হঘুেচে ভারতবর্ষে একরাষ্ট্রশাসন সা হয়ে যুক্ত রাষ্ট্রশাসননীতির প্রবর্তন হওয়া চাই । অর্থাৎ একেবারে জোড়ের চিহ্ন থাকবে না এতটা पूर्व्वं মিলে যাবার মত ঐক। আমাদের দেশে নেই এ কথাটা মেনে নিতে হয়েচে । আমাদের রাষ্ট্রসমস্যার এ একটা