পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

36:8 কোনো উপস্থৰ ঘটেনি। জামার বিশ্বাস তার প্রধান কারণ আমার সঙ্গে আমার মুসলমান প্রজার লম্বন্ধ সহজ “ও বাধাহীন । এ কথা আশা করাই চলে না যে, আমাদের দেশের ভিন্ন ভিন্ন সমাজের মধ্যে ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের মতবিশ্বাসের ভেদ একেবারেই ঘুচতে পারে , তবুও মন্থন্তত্বের খাতিরে আশা করতেই হবে আমাদের মধ্যে মিল হবে । পরম্পরকে দূরে না রাখলেই সে মিল আপনিই সহজ হতে পারবে । সঙ্গের দিক থেকে আজকাল হিন্দু-মুসলমান পৃথক হয়ে গিয়ে সাম্প্রদায়িক অনৈক্যকে বাড়িয়ে তুলেছে, মহন্তত্ত্বের মিলটাকে দিয়েছে চাপা । আমি হিন্দুর তরফ থেকেই বলছি, মুসলমানের ক্রটি বিচারটা থাকৃ—আমরা মুসলমানকে কাছে টানতে যদি না পেরে থাকি তবে -সে জন্তে যেন লজ্জা স্বীকার করি । অল্পবয়সে যখন প্রথম জমিদারী সেরেস্তা দেখতে গিয়েছিলুম, তথন দেখলুম আমাদের ব্রাহ্মণ ম্যানেজার যে তক্তপোষে গদিতে বসে দরবার করেন সেখানে একধারে জাজিম তোলা, সেই জায়গাটা মুসলমান প্রজাদের বসবার জন্তে, জার জাঞ্জিমের উপর বসে হিন্দু প্রজারা । এইটে দেখে আমার ধিক্কার জন্মেছিল । অথচ এই ম্যানেজার আধুনিক দেশাত্মবোধী দলের । ইংরেজরাজের দরবারে ভারতীয়ের অসম্মান নিয়ে কটুভাষ ব্যবঙ্গার তিনি উপভোগ করে থাকেন, তবু স্বদেশীয়কে ভদ্রোচিত সম্মান দেবার বেলা এত রুপণ । এই কৃপণতা সমাজে ও কৰ্ম্মক্ষেত্রে অনেক দূর পর্যাস্ক প্রবেশ করেছে, অবশেষে এমন হয়েছে যেখানে হিন্দু, সেখানে মুসলমানের দ্বার সঙ্কীর্ণ, যেখানে মুসলমান সেখানে হিন্দুর বাধা বিস্তর। এক্ট আন্তরিক বিচ্ছেদ যতদিন থাকবে ততদিন স্বার্থের ভেদ যুচবে না এবং রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় এক পক্ষের কল্যাণ-ভার অপর পক্ষের হাতে দিতে সঙ্কোচ অনিবাৰ্য্য হয়ে উঠবে। আজ সম্মিলিভ নির্বাচন নিয়ে যে দ্বন্দ্ব বেধে গেছে তার মূল তো এইখানেই । এই দ্বন্দ্ব নিয়ে যখন আমরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠি তখন এর স্বাভাবিক কারণটার কথা ভেবে দেখি না কেন ? ইতিমধ্যে বাংলা দেশে অকথ্য বৰ্ব্বরতা বারে বারে প্রবাসী—শ্ৰাবণ, ఫిలిeb* [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমাদের সহ করতে হয়েছে । জার-শাসনের আমলে ५lहे ब्रकम जङTांकांद्र ब्रालिब्राम्र «थांच्च घछैड । ब€षांन বিপ্লবপ্রবণ পলিটিক্যাল যুগের পূৰ্ব্বে জামাদের দেশে এ রকম দানবিক কণও কখনো শোনা যায়নি । ব্রিটিশশাসিত ভারতে বহু গৌরবের law and order পদার্থটা বড় বড় শহরে পুলিস পাহারার জাগ্রত দৃষ্টির সামনে স্পৰ্দ্ধা সহকারে উপরি উপরি অবমানিত হতে লাগল ঠিক এই বিশেষ সময়টাতেই । মারের দুঃখ কেবল আমাদের পিঠের উপর দিয়েই গেল না, ওটা প্রবেশ করেচে বুকের ভিতরে । এটা এমন সময়ে ঘটল ঠিক যখন হিন্দু মুসলমানে কণ্ঠ মিলিয়ে দাড়াতে পারলে জামাদের ভাগ্য স্বপ্রসন্ন হ’ত, বিশ্বসভার কাছে আমাদের মাথা ইেট হ’ত না । এই রকমের অমাছুষিক ঘটনায় লোকস্মৃতিকে চিরদিনের মত বিষাক্ত করে ভোলে, দেশের ডান হাতে বঁ। হাতে মিল করিয়ে ইতিহাস গড়ে তোলা দুঃসাধ্য হয় । কিন্তু তাই বলেই তো হাল ছেড়ে দেওয়া চলে না, গ্রস্থি জটিল হয়ে পাকিয়ে উঠেছে বলে ক্রোধের বেগে সেটাকে টানাটানি করে আরও অঁাট করে তোলা মূঢ়ত । বৰ্ত্তমানের ঝাজে ভবিষ্যতের বীজটাকে পধ্যস্ত অফলা করে ফেলা স্বাঞ্জাতিক আত্মহত্যার প্রণালী । নানা আগু ও স্বদূর কারণে, অনেক দিনের পুঞ্জিত অপরাধে হিন্দু মুসলমানের মিলন-সমস্ত কঠিন হয়েছে, সেইজন্যেই অবিলম্বে এবং দৃঢ় সঙ্কল্পের সঙ্গে তার সমাধানে প্রবৃত্ত হতে হবে । অপ্রসন্ন ভাগ্যের উপর রাগ করে তাকে দ্বিগুণ হন্তে করে তোলা চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার মত । বৰ্ত্তমান রাষ্ট্রিক উদ্যোগে বম্বাই প্রদেশে আন্দোলনের কাজটা সবচেয়ে সবেগে চলতে পেরেছিল তার অন্ততম কারণ সেখানে হিন্দু মুসলমানের বিরোধ বাধিয়ে দেবার উপকরণ যথেষ্ট ছিল না। পার্সিতে হিন্দুতে দুই পক্ষ খাড়া করে তোলা সহজ হয়নি । কারণ পালি-সমাজ সাধারণত শিক্ষিত সমাজ, স্বদেশের কল্যাণ সম্বন্ধে পালিরা বুদ্ধিপূর্বক চিস্তা করতে জানে, তা ছাড়া তাদের মধ্যে ধৰ্ম্মোন্মত্ততা নেই। বাংলা দেশে জামরা আছি জতুগৃহে, আগুন লাগাডে বেশীক্ষণ লাগে না । বাংল৷