পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । হইয়াছিল অপর্ণার মৃত্যুর পূৰ্ব্বে । জাজ আট বৎসর হইতে চলিল—এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আর কোনো দিন দেখা হয় নাই । প্রথমেই দেখা হইল লীলার ভাই বিমলেন্দুর সঙ্গে । সে আর বালক নাই, খুব লম্বা হইয়া পড়িয়াছে, মুখের চেহারা অন্ত রকম দাড়াইয়াছে। বিমলেন্দু প্রথমটা ধেন অপুকে চিনিতে পারিল না, পরে চিনিয়া বৈঠকখানার পাশের ঘরে লইয়। গিয়া বসাইল । দু-পাচ মিনিট এ কথা ও কথার পরে অপু যতদূর সম্ভব সহজস্বরে বলিল— তারপর তোমার দিদির খবর কি—এখানে, ন শ্বশুরবাড়ী ? বিমলেন্দু কেমন একটা আশ্চৰ্য্য করে বলিল—ও, ইয়ে আম্বন আমার সঙ্গে—চলুন । কেমন একটা অজানা আশঙ্কায় অপুর মন ভরিয়া উঠিল, ব্যাপার কি ? একটু পরে গিয়া বিমলেন্দু রাস্তার মোড়ে দাড়াইয়া নীচু স্বরে বলিল—দিদির কথা কিছু শোনেননি আপনি ? অপু উদ্বিগ্নমুখে বলিল-না-কি ? লীলা আছে তো ? —আছেও বটে, নেই ৪ বটে। সে সব অনেক কথা, আপনি ফ্যামিলির ফ্রেগু বলে বলচি । দিদি ঘর ছেড়েচে । স্বামী গোড়া থেকেই ঘোর মাতাল—অতি কুচরিত্র । বেণ্টিঙ্ক ষ্ট্রীটের এক ইহুদী মেয়েকে নিয়ে বাড়াবাড়ি আরম্ভ করে দিলে—তাকে নিজের বাসাতে রাত্রে নিয়ে যেতে স্বরু করে দিলে । দিদিকে জানেন তো ? তেজী মেয়ে, এ সব সহ করার পাত্র নয়—সেই রাত্রেই ট্যাক্সি ডাকিয়ে পদ্মপুকুরে চলে আসে নিজের ছোট মেয়েটাকে নিয়ে। মাস দুই পরে এক দিন দাদাবাবু এল, মেয়েকে সিনেমা দেখাবার ছুতো করে নিয়ে গেল জব্বলপুরে— আর দিদির কাছে পাঠায় না । তারপর দিদি ষা করেচে সে যে আবার দিদি করতে পারত তা কখনো কেউ ভাবে নি । হীরক সেনকে মনে আছে ? সেই ষে ব্যারিষ্টার হীরক সেন, আমাদের এখানে পার্টিতে দেখেচেন অনেকবার। সেই হীরক সেনের সঙ্গে দিদি এক দিন নিরুদেশ হয়ে গেল। এক বৎসর কোথায় রইল—আজকাল ফিরে এসেচে, কিন্তু হীরক সেনকে ছেড়েচে । একা অপরাজিত SAAAAAA AAAA AAAA AAAA SMAAA AAAA AAASAAASAAA AAAA AAAAS AAAAA AAASA SAAAAS && SAAAA SAAAAA AAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SAAAAS AAA AAAAA বালিগঞ্জে বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকে। এ বাড়ীতে তার নাম चाब्र शव्रबाब्र ऐश्रीश्च cनहॆ । ब। आभ्रौषाग्निौ श्रधष्ठिन, আর আসবেন না । . কথা শেষ করিয়া ৰিমলেন্দু নিজেকে একটু সংঘত করার জন্তেই বোধ হয় একটু চুপ করিয়া রহিল। পরে বলিল, হীরক সেন কিছু না—এ শুধু তার একটা শোধ তোলা মাত্র, সেন তো শুধু উপলক্ষ্য । আচ্ছ, তবে জাসি অপূৰ্ব্ব বাবু, এখন কিছু দিন থাকৃবেন তো এখানে ? বিমলেন্দু চলিয়া যায় দেখিয়া অপু কথা খুজিয়া পাইল, তাড়াতাড়ি তাহার হাতখানা ধরিয়া অকারণে বলিল, শোনো, শোনো, হা, লীলা বালিগঞ্জে আছে তা হ’লে ? এ প্রশ্ন সে করিতে চাহে নাই, সে জানে এ প্রশ্নের কোনো অর্থ নাই। কিন্তু এক সঙ্গে এত কথা জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা হইতেছিল—কোনটা সে জিজ্ঞাসা করিবে ? বিমলেন্দু বলিল, এতে জামাদের যে কি মৰ্ম্মাপ্তিৰ— বৰ্দ্ধমানে আমাদের বাড়ীর সেই নিস্তারিণী বিকে মনে আছে ? সে দিদিকে ছেলেবেলায় মাকুব করেচে, পূজোর সময় বাড়ী গেছলুম, সে ভেউ ভেউ করে কাদতে লাগল। সে বাড়ীতে দিদির নাম পৰ্য্যস্ত করবার জো নেই। রমেন-দ। আজকাল বাড়ীর মালিক, বুঝলেন না 7 দিদিও স্বখে নেই, বলবেন না কাউকে, আমি লুকিয়ে যাই, এত কাদে মেয়ের জন্তে ! হীরক সেন দিদির টাকাগুলো দুই হাতে উড়িয়েচে, আবার বলেছিল বিলেত বেড়াতে নিয়ে যাবে । সেই লোভ দেখিয়েই নাকি নাকি টানে— দিদি আবার তাই বিশ্বাস করত ! জানেন তো দিদির ঝোক আছে, চিরকাল ইউরোপের বড় আট গ্যালারী গুলো দেখবার । বিমলেন্দু চলিয়া যাইতে উদ্যত হইলে অপু আবার গিয়া তার হাত ধরিয়া বলিল—তুমি মাঝে মাঝে কোন সময়ে যাও ? বিমলেন্দু বলিল রোজ ষে ঘাই তা নয়। বিকেলে - দিদি মোটরে বেড়াতে আসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনের মাঠে, ঐখানে দেখা করি। . বিমলেন্দু চলিয়া গেলে অপু অস্তমনস্কভাবে হাটিতে ইাটিতে রসারোডে অসিয়া পড়িল—কি ভাবিতে ভাবিতে সে শুধুই ঠাটিতে লাগিল। পথের ধারে একটা পার্ক,