পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- tళిషి চেন্না করে খৰমারি হয়েছে। মাষ টেনে নিয়ে সবার সঙ্গে ইন্‌ট্রোডিউল করে দেয়, জঙ্ত্রতা করতে পারিনে।” সনাতন অতীনের কানে কানে কহিল, “এই চাল দিচ্ছে ।” অতীন কহিল, "যে-বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই সে বিষয়ে কোনো মতামত প্রকাশ ক’রো না ।” স্বাকৃ, খুশী হইয়া সবাই মণিলালের ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল, গেল না শুধু বিনোদ, অতীন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী জায় দু-একজন । তারা সেখানেই তক্তপোষে বসিয়া পড়িল । সোসাইটিতে মেশে,—কত কথাই না জানে । কোন মেয়ের কার সঙ্গে বিয়ে ঠিক,—কোন ছেলেট। কার জন্ত ব্যর্থপ্রেমে ঘুরিয়া মরিল, কোন তরুণ ব্যারিটার কিলের জন্ত টু-সিটার মোটর কিনিয়াছে, এই সব । মিসেস অমুকের বাড়ি চ্যারিট পারফৰ্ম্মেন্সের রিহাসেল হইতেছে,—সেদিন নৃত্য-নিপুণ মিস্ নেলীর সঙ্কে টেনিস খেলিয়া মণিলাল স্বেচ্ছায় হরিয়াছে,— বালিগঞ্জে ওদের ক্লাবের হাফ, মুন কার্নিভালে অঞ্জলি মিত্র কি গান গাহিয়াছিল, রেণু হালদার ওর হাসিটাকে ভারী প্লেজেন্ট বলিয়াছিল,—শুনিতে শুনিতে মণিলালের গুণগ্রাহীদের বিস্ময় ও শ্রদ্ধার আর অস্ত থাকে না । মণিলাল পেয়ালাতে এক চুমুক দিয়া কহিল, "একটু ক’রে কেক খাও না। না না, আমার কি কম পড়বে ? কাল ফিরপোর দোকান থেকে এক পাউণ্ড আনা হ’ল । ও: এই কাগজের ব্যাগটা,—না রে ওটা ফিরপোর দোকানের সাধারণ ব্যাগ নয় । ওদের নাম লেখা বাক্স জার ব্যাগ ফুরিয়ে গেছে, তাই শপ-এসিস্ট্যান্টটা বার-বার ক্ষম চেয়ে দুঃখ জানিয়ে ওটাতেই পূরে দিয়েছিল । তা দিলই বা, ব্যাগ তো আর খাব না।” মণিলাল হাসিয়া উঠিল । অন্ত সবাইও । মণিলাল চায়ের কাপটা সরাইল্লা রাখিয়া ঘড়ির দিকে ५कयांद्र क्रांट्ठिग्री कश्लि, "igथन च्षांबीब्र भांभांब्र ७थांप्न একবার যেতে হবে। একটা মোটর পাঠিয়ে দেবার কথা ছিল। কে জানে, যেখানে বাস করি, ড্রাইভার -ৰূমত এসে খুজেস্টুজে ফিরেই গেছে ।” প্রবাসা—শ্ৰাবণ, ১৩৩৮ t৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড । বিনোদ কহিল, “এও হ’তে পারে ধে মামার কোনো দরকার পড়েছে,—গাড়ী নিয়ে বেরিয়ে গেছেন।" মণিলাল হাসিয়া উঠিল । *মামার কি আর একটা মোটর না কি ? নগদ পাচখানা। সবগুলিই দামী । মামাকে বলি, বৃষ্টির দিনের জন্য একটা শস্ত দামের কিন্‌লে হয় না। মামা হেসেই উড়িয়ে দেন, বলেন, “সস্তা জিনিষ আর কিনতে পারব না।” শ্রোতার শ্রদ্ধায় একেবারে ভাঙিয়া পড়িবার জোগাড় । কম বড়লোকের ভাগ্লের সঙ্গে কথা বলিতেছে তাহার। " স্তাকৃরার বিলে ভারী টাকাটা দেখিলে লক্ষপতি প্রেয়সীর নিকট যেমন সোহাগ-পরিস্ফুট আতঙ্কের ভাণ করে তেমনি করিয়া মণিলাল কহিল, “আবার শপাচেক টাকা খরচের দায়ে পড়া গেল ।” বিস্ময়ে বিনোদ কহিল, “পাচ-শ টাকা ?” ঔদাস্ত-ভর কণ্ঠে মণিলাল কহিল, “লুলীকে জন্মদিনে একটা প্রেজেণ্ট দিতে হবে তো । ভাবছি ব্রোচষ্ট একটা দেওয়া যাকৃ। মামাতে-বোন ডলীকে নিয়ে বেরুব বাছতে ” বিস্ময়ে এ ওর মুখের পানে তাকাইতে লাগিল । পাচ-শ টাকার প্রেজেণ্ট—ইহা তাদের কল্পনাকেও ছাড়াইয়া যায় । “লুসীকে দেখলে তবে বুঝতে পারতিস বাঙালীর মেয়ে কতটা সুন্দরী হ’তে পারে । জাত এরিষ্টেক্রিাট ফ্যামিলি,—হবে না কেন ? বব করেছে। কানে মুক্তার স্থল। চমৎকার গলা । গান শুনিয়েই ত জামাকে মুগ্ধ করেছে। হ্যা, বন্ধু তোদের কাছে আর গোপন ক’রে কি হবে, আমরা প্রেমে পড়েছি । না না, দোষ এতে কিছু নেই, সে জামাকে ভালবাসে, আর আমি তাকে । বাকি ব্যবস্থাট। মামীম করছেন। বিনোদ প্রায় নিঃশ্বাস ফেলিতে পারে না । কহিল, “কন—কুনগ্রাটুলেশনস !” মণিলাল সলজ্জ একটু হালিল । “লটি ব্যানাজীকে অনেক কষ্টে এড়ান গেছে । বাপের এক ঝুড়ি টাকা অাছে সত্যি, কিন্তু তার জন্স , আর তাকে বিয়ে করতে পারি না। শাড়ীর সঙ্গে জুতা