যাদবপুর যক্ষা-চিকিৎসালয় শ্রীসুন্দরীমোহন দাস যক্ষ্মা পদমৰ্যাদার অপেক্ষ রাখে না । কি রাজপ্রাসাদে কি পর্ণকুটীরে, কি জরায়, কি যৌবনে, সকল স্থানে, সকল অবস্থায় ইহার প্রাদুর্ভাব । তবে দরিত্রের কুটারেই ইহার অধিক গতিবিধি, যৌবন ও যুবতীর উপরে ইহার আক্রোশ অতিরিক্ত। পনের হইতে কুড়ি বৎসর বয়স্ক যুবকের ঐ রোগে মৃত্যু হাজারে ১/১ ; ঐ বয়স্ক যুবতীদের মৃত্যু ৬.৬, অর্থাৎ ৬ গুণ। অন্ত বয়সে ঐ রোগে যত মৃত্যু হয়, কুড়ি হইতে চল্লিশ বৎসরের ভিতর মৃত্যু ইহার দ্বিগুণের অধিক । আলোক-বাতাসহীন গৃহে যাহারা অবরুদ্ধ, তাহাদের মৃত্যু সৰ্ব্বাপেক্ষা अक्षिक । কলিকাতায় এই রোগে প্রতি বৎসর প্রায় ভিল কাজীৱ লোক মারা যায়, সমুদয় বাংলায় এক লক্ষ। মৃত্যুই যে একমাত্র ভয়ের কারণ তাহা নহে । কলিকাতায় ত্রিশ হাজার এবং সমস্ত বাংলায় প্রায় দশ লক্ষ জীবিত ব্যক্তি এই রোগ ছড়ায় । রোগীর খুখুর ভিতর এই রোগের বীজাণু ধূলা ও মাছি এই রোগ ছড়ায় । যেখানে সেখানে থুথু ফেলা, রোগীর উচ্ছিষ্ট খাওয়া কিম্ব। ব্যবহৃত পাত্রে খাওয়া, বহুলোক লইয়া এক আলো-বাতাসহীন ঘরে শয়ন, ইত্যাদি নানা কারণে রোগ ব্যাপ্ত হয় । 曾 রোগব্যাপ্তি নিবারণের প্রধান উপায় রোগীকে স্বতন্ত্র রাখা কিম্বা হাসপাতালে পাঠাইয়া দেওয়া । কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই প্রকার রোগীর প্রকৃত চিকিৎসালয় কলিকাতার নিকটে এক যাদবপুর ব্যতীত আর কোথাও নাই। প্রত্যেক রোগীর বিশুদ্ধ বায়ু স্থধ্যালোক সম্ভোগের বিশেষ ব্যবস্থা চাই । আনন্দের রিষয়, ডাক্তার ক্রযুক্ত কুমুদশঙ্কর রায় এবং বিধানচন্দ্র রায় প্রভৃতির নিঃস্বার্থ যত্নে যাদবপুরে একটি আদর্শ যক্ষ্মী চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হুইয়াছে। ব্যক্তিবিশেষের মৃত্যুশয্যায় এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম । স্বকিয়া ষ্টীটের একটি প্রকোষ্ঠে বিংশবর্ষীয় একজন যুবক শয্যাশায়ী হইয়া মৃত্যুর দিন গণনা করিতেছিলেন । ভ্রাত প্রভূতি আত্মীয়স্বজন থাকিতেও জগতে তিনি একাকী । সেবা করিতেছে অপরে। অর্থের অভাব নাই । তাহার পিত ৮চন্দ্রমোহন ঘোষ কলিকাতার একজন প্রসিদ্ধ ডাক্তার ছিলেন । পিতার সাধ ছিল পুত্র তাহার পদাঙ্ক অমুসরণ করে । বিলাতে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে গিয়া প্রভাসচন্দ্র ক্ষয়ুরোগে আক্রান্ত হইয়া দেশে ফিরিয়া আসেন। তিনি যখন আপনাকে সকল চিকিৎসার অতীত মনে করিলেন, তখন তাহার চিকিৎসক ঐযুক্ত ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের নিকট কোন হাসপাতালে দানের ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । বিধানবাবু অস্তুরোধ করিলেন ঐ • সাংঘাতিক যন্ত্রারোগ চিকিৎসার্থ • একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করিতে। যক্ষ্মাসম্বন্ধীয় চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য ১,৭৪,৩৭৫২ টাকার বিষয় দান করিয়ু সেই উদারপ্রাণ যুবক জীবনের শেষ মুহূৰ্বে শান্তিলাভ করিলেন । কিন্তু মৃত্যুও আত্মীয়-স্বজনের বিষয়কলহজনিত । মনোমালিন্য দূর করিল না। - তাহার সৎকারের জন্য কেহ আসিল না। দেশের কল্যাণের জন্ত - প্রায় ছুইলক্ষ টাকা যে অকাতরে বিতরণ করিয়া বংশের মুখ উজ্জল করিল, রজনীর অন্ধকারে ঘোর দুধ্যোগে সেই ব্যক্তির মৃতদেহ ডাক্তার বিধানচন্দ্রের যানের উপর স্থাপিত করিয়া শ্মশানघाd जड़ेब्रा बाeब्रा श्झेल । अबिब्रल त्रुडिथाब्रा । भट्न झहेल দাতার উপরে বিধাত কৃপাবারি বর্ষণ করিলেন। প্রভাসচক্সের আত্মা সোয়াসে দেখিতেছেন, তাহারই দান উপলক্ষ্য করিয়া আট বৎসর পূৰ্ব্বে যাদবপুরে চারিজন
পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।