পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سياوt Sڅ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৮ যদি আজ আমি প্রতি পাউণ্ডে পনর টাকা হিসাবে ইংলণ্ড হইতে কোন মাল ক্রয় করি এবং যখন একমাস পরে মাল আসিয়া পৌছিবে, তখন যদি আমাকে পনর টাকার স্থলে বিশ টাকা দিতে হয় তাহা হইলে আমাকে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হইবে । এইরূপ অনিশ্চয়ের মধ্যে ব্যবসা ভালরূপে চলিতে পারে না বলিয়াই একটা নির্দিষ্ট হারে এক্সচেঞ্জ বাধা হয় । ১৮৯৩ সন হইতে ১৯১৬ সন পৰ্য্যস্ত প্রতি টাকার এক্সচেঞ্জের হার ছিল এক শিলিং চার পেন্স । বিগত মহাযুদ্ধের সময় প্রত্যেক দেশষ্ট নিজেদের আর্থিক অবস্থা সুরক্ষিত রাখিবার জন্য স্বর্ণের রপ্তানি বন্ধ করিয়া দেয় । সেই সময় ইংলণ্ড, ফ্রান্স এবং আমেরিকার যুক্তরাজ্যে ভারতবর্য হইতে অধিক পরিমাণ মাল রপ্তানি হইস্তে থাকে, অথচ তাহারা যুদ্ধে ব্যাপুত থাকায় আমাদের দেশে উপযুক্ত মাল পাঠাইতে পারে নাই । স্বর্ণের রপ্তানি বন্ধ করায় আমাদের প্রাপ্য টাকা রৌপ্য দ্বারা মিটাঙ্গতে তাহারা বাধ্য হয় । এই কারণেই রৌপ্যের মূল্য অসম্ভব বাড়িতে থাকে। ১৯১৫ সনে লগুনে রৌপ্যের দর ছিল প্রতি আউন্সে ২ ; পেনি, ১৯১৬ সনের এপ্রিল মাসে দাম বাড়ে ৩৫2 পেনি, ডিসেম্বর মাসে হয় ৩৭ পেনি । ১৯১৭ সনের আগষ্ট মাসে ইহার মূল্য ৪৩ পেনির উদ্ধে উঠে। যদি প্রতি আউন্স রূপার মুল্য ৪৩ পেনি হয়, তাহা হইলে এক শিলিং চার পেনি হিসাবে উহাতে যতটুকু রূপা আছে তাহার মূল্য ষোল আনা হয় । ইহার উদ্ধে উঠিলে টাকার মূল্য ষোল আনার অধিক হয় । ১৯১৭ সনের সেপ্টেম্বর মাসে রূপার দাম হয় পঞ্চার পেনি ৷ রূপার দামের বুদ্ধির সঙ্গে গভর্ণমেণ্ট ও নিম্নলিথিত হারে এক্সচেঞ্জের হার বাড়াইতে থাকেন । তারিখ tests.B.3% of: ৩রা জানুয়ারি, ১৯১৭ ১—৪ঠু পেনি ২৮শে আগষ্ট, ১৯১৭ 2, 4-כ ১২ই এপ্রিল, ১৯১৮ ۵- وو وك ১৩ই মে, ১৯১৯ د---bج ,, ১২ই আগষ্ট, ১৯১৯ و • لا-اس-د ১৯ই সেপ্টেম্বর, ১৯১৯ ২২শে নভেম্বর, ১৯১৯ ১২ই ডিসেম্বর, ১৯১৯ yo وج صحسد جة 39 جصصط ج o 8 كساج [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড তিন বৎসরের মধ্যে সরকার এক্সচেঞ্জের হার আট বার পরিবর্তন করেন । ১৯১৯ সনে সরকার একটি কারেন্সি কমিটি নিযুক্ত করেন । এই কমিটি ১৯২০ সনে এক্সচেঞ্জের হার দুই শিলিং নিৰ্দ্ধারণ করেন। বোম্বাক্টর শ্ৰীযুক্ত দাদিবা মেরোয়ানজি দfলাল এই কমিটির একমাত্র ভারতীয় সদস্য ছিলেন । তিনি ইহার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং পৃথক রিপোটে অতি সুন্দর যুক্তিপূর্ণ মত ব্যক্ত করেন । র্তাহার প্রতিবাদ অগ্রাহ করিয়া যদিও দুই শিলিং হার স্থির করা হয়, তথাপি কিছুদিন পরে আসল রূপার দাম সি হইতে লাগিল । তখন দেখা গেল, উপরোক্ত হার বহাল রাখা সম্ভবপর নয়। স্তর ম্যালকম হেলী, যিনি অধুনা যুক্তপ্রদেশের লাঢ়, তিনি তখন ভারত সরকারের রাজস্ব সচিব ছিলেন । এশেঞ্জে নিদিষ্ট হার দুই শিলিং বজায় রাখিবার জন্ত এখান হইতে কোটি কোটি টাকার 'fর ভাস বিল বিএয় করা হয় এবং তাই মিটাই বার জন্য বিলাতে আমাদের "কারেন্সি রিজাল্লে’র তহবিল হইতে যে সব "সিকিউরুটি’ কেনা ছিল, সেগুলি বাধ্য ঈয়া ধ1 ত। মূলো বিক্রয় করিতে হয় । ফলে ভারতের অনেক কোটি টাকার লোকসান হয় । ইহা সত্ত্বে ঃ যখন এক্সচেঞ্জকে বাগ মানান গেল না, তখন ১৯২৬ সনে আবার একটি কারেন্সি কমিশনের নিয়োগ করা হয় । ভারতীয় বণিকসম্প্রদায়ের পক্ষ ইষ্টতে একমা এ হত্যুর পুরুষোত্তমদাস ঠাকুরাণস চহার সদর ছিলেন । এই কমিশন দুষ্ট শিলিং এর পরিবস্তে এক শিলিং ছয় পেনি হার নিদ্ধারণ করেন এবং এখন ও ইহাঙ্গ বজায় আছে । স্ট্যর পুরুষোত্তমদাস ইহার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং এক শিলিং চার পেনি, যাহ। ১৮৯৩ সন ইষ্টতে ১৯১৬ সন পধ্যস্ত বহাল ছিল, তাহার পক্ষে নিজের যুক্তিপূর্ণ সুচিস্তিত মত জানান । এবারেও একমাত্র ভারতীয় বণিকসম্প্রদায়ের সদস্যের প্রতিবাদ অগ্রাহ করিয়া ব্রিটিশ সদস্যদের মত বজায় রহিল । তখন হইতে আজ পর্য্যস্ত এই বিযয়টি লষ্টয়া আমাদের সহিত সরকারের বাদামুবাদ চলিতেছে, আমরা বলি যে, উক্ত হারের ফলে দেশের অনেক প্রকার আর্থিক দুরবস্থা ঘটিয়াছে।