বিষে বিষক্ষয় শ্রীসীতা দেবী "আঃ, কি জালাতন ! এখানে কি একটা জিনিষ ঠিকমত পাবার জো নেই ? এর সব আছে কি করতে ?” রমাপতির ক্রুদ্ধ গর্জনে তখনই ফল ফলিল । বড় শুইবার ঘর হইতে একটি যুবতী একট। শেলাই হাতে বাহির হইয়া আসিল। পাশের ছোট ঘর হইতে একজন বৃদ্ধ খোড়াইতে খোড়াটতে বাহির হইয়া আসিয়া বলিলেন, “মিথ্যে না বাছ। । সকাল থেকে যে টেগমোচ স্বঙ্ক হবে তা সারাদিন চলতে থাকবে । হাতের জিনিষ হাডের কাছে গোছান পাবার জে কি ? সরাrদন আছে নিজের বিবিয়ান। নিয়ে । আমারও পোড়া দশা, পা নিয়ে কি নড়তে পারি ? নইলে আমি কি কারও ধার ধারি । ছটে। সংসারের কাজ এক হাতে করেছি, ছেলেপিলেও মানুষ কবেছি । সে সব এদের হাড়ে হবে ?” বলিয়াই আবার তিনি খোড়াইতে খোড়াইভে ধরে চুৰিয়া গেলেন । শাশুড়ীর ঘরের দরজার দিকে একবার ভাকাইয়া যুবতী বিরক্তিপূর্ণ চাপ-গলায় বলিল, “হয়েছে কি যে সকালেই টেচেয়ে বাড়ি মাখায় করছ ?” রমাপতি দতে খিচাইয়া বলিল, “হয়েছে কি ? এতক্ষণে খোজ নিতে এলেন । বলি মজিনটা ঠিক ক’রে মুখ ধোবার জায়গায় রাখতে তোমায় কতবার বলেছি ? બફેફ উপকার আর তোমার দ্বার হবার নয় । একটা কথা শুনলে কি তোমার মাথা কাট। যায় ?” তঙ্কবাগারও মেজাজ চড়িয়া উঠিল । সে বলিল, “মাজন ত তৈরি করা রয়েইছে, দেরাগের উপর । একটু নিয়ে এলেই ত হ’ত, না-হয় চাইভে৪ ত পারতে ? সবার জাগে চীংকার জুড়তে পারলে আর চাও ন কিছু।” রমাপতি আরও চটয়া গেল। খলিল, “সকল জ্যাঠ সহ হয়, মেম্নে-জ্যাঠা সহ হয় নাg .আমাকে এলেন উপদেশ দিতে। গায়ের রক্ত জল ক’রে সংগ নিয়ে আসি, বসে বসে সব পায়ের উপর পা দিয়ে খান, আর একটা কথা বললে দশ গজী লেক্চার ঝাড়েন । মেয়েম হুষকে বাড়ানে। কিছু না, একেবারে মাথায় চ’ড় বসে ।” তরু কি যেন বলিতে যাইতেছিল, কি স্থ শাশু চী আবার রণক্ষেত্রে আবিভূত হইছেছেন । দপিয়। সে সরিয়া গেল। স্বামীর সঙ্গে অন্ততঃ মুখোমুপি জবাব দেওয়া যায়, কিন্তু শাশুড়ী মুখ ছটাহলে নিত স্তু চক্ষুলজ্জার খাতিবেই তাহাকে চুপ করিয়া যাইতে হয় । বয়স যদিও তাহার কুড়ি বৎসর, তবু বিবাহ হইয়াছে মাত্র তিন বৎসর, কাজেই এখনও সে লজ্জা সঞ্চেচ একেবাবে তা "গ করে নাই । শাশুড়ী ত নিত্য তাহার “শহবে বিfবধান।", ‘জ্যাঠামি’ ‘কুড়েমি’র ব্যাখ্যায় বাস্ত থাকেন, সেগুলি শুনিতে তরুর কিছুমা এ শ্রুতিমধুর লাগে না । এ তরাং বুদ্ধকে মুখ ছুটাই বার স্বযোগ না লিতেই সে যথাসাপ। চেষ্টা করে। ধরের ভিতর একটি দশ-বারো বৎসরের ছেলে বই খfতা লইয়া পড়া করিতেছিল, আর এক কোণে বসিয়া একটি বছর নয়েকের মেয়ে উল এবং কাটা লইয়। মোজা বুনিবার বুখ চেষ্টা করিতেfছল। তরু fভ হবে ঢুকিতেই ছেলেটি বলিল, “মামী, আমায় এ অঙ্কট। আজ ব’ঙ্গে দিতেই হবে, নইলে স্তর আমাকে বে তপেট করবে ।” মেয়েট ও তৎক্ষণাং স্বর ধরিল, “আময়ে ত শেলাইট দেখিয়ে নিলে না, মাষ্টারণী মেম আমাকে .ট্রলে দাড় করিয়ে দেবে i* - নিজের হাতের শেলাইট একট। দেরাজের ভিতর রাখিয়া দিয়া তরু বালল, “ভোর মামাবাবুকে বলগে যা প্রাইভেট টিউটার রাখতে, আমি স্কুবেগা তোদের পড়াতে পারব না। আমি যাচ্ছি রাণাঘরে, কেটে এখনও বাজার" থেকে আগেfন, ডাল পুড়ে গেলে এখনই ভোদের দিদিমা আমার পিওি চটুকাতে বসবে।”
পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।