পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ঝুমাপতি তোয়ালে দিয়া মুখ হাত মুছতে মুছিতে ঘরে চুকিয়া বলিল, “কই, চা কই ? না, সেটাও আমি নিজে ক’রে খাব ?” তরু বলিল, “আল্‌চি গে। আনচি । আঁতুড় ঘবে তোমার মুখে মধু দিতে কি ধাই মাগী ভুলে গিয়েছিল ?” বলিয়াই সে উৰ্দ্ধশ্বাসে নীচে পলায়ন করিল, রমাপতিকে উত্তর দিবার আর সময়ই দিল না । রমাপতি বসিয়া বসিয়া রাগে ফুলিতে লাগিল । তরুকে লইয়া তাহার হইয়াছে মহা জ্বালা । বহুদিন পধ্যস্ত সে বিবাহ করে নাই। মা অনেক কান্নাকাটি করিয়াণ্ড ছেলের মত করাইতে পারেন নাই । বিয়ের কথা তুলিলেই সে বলিত, “এই ভ মাইনে, নগদ একশোটি টাকা । এর ভিতর তুমি আছ, আমি আছি, রাধু রয়েছে, কালু রয়েছে । আবার একটা বউ যে নিয়ে আসব, সে পাবে কি ?” ম। বলিভেন, "ওম, তা একশে টাকা আয় ধাদের, তারা কি আর কোনো জন্মে বিয়ে করে না ? তোর বাপের ত ষাট টাকা আয় ছিল, তাই ব’লে কি সংসার করেনি ?” 劍 ছেলে বলিত, , “তখন সস্তাগণ্ডার দিন ছিল, তার উপর তোমর। ত থাকৃতে পাড়াগায়ে । কলকাতার শহরে অত কমে চলে কখনও বাড়িভাড় দিতেই ত মাইনের অৰ্দ্ধেক চলে যায়।” দিন কাটিতে লাগিল । রমাপতির বয়স বাড়িয়া চলিল, মায়ের আঞ্চ শেষও বাড়িয়া চলিল । সঙ্গে সঙ্গে রমাপতির মহিলাটা ৪ বাড়িতেছিল তাই রক্ষা । অবশেষে তাহরে যখন চৌত্রিশ বৎসর বয়স, তখন আর মায়ের সঙ্গে পারিয়া না উঠিয়া সে সপ্তদশ তরুবালার পাণিগ্রহণ করিয়া বসিল । অবগু তাহার নিজের প্রাণেও কিছু সখ ছিল না বলিলে ঠিক সত্য কথা বল। इश्च न । তরু এক পাড়ারই মেয়ে । গলি দিয়া গিয়া চার পাচ- . থানা বাড়ি পরে তাহাজের বাড়ি । রমাপতির মা মধ্যে মধ্যে তরুদের বাড়ি যাইতেন । মেয়েটিকে তাহার তখনকার নজরে ভালই লাগিত। এমন কিছু আহ। বিষে বিষক্ষয় 8© а н“, в че ors w# : , یہ جھیs - :rs মরি স্বন্দরী নয়, তবে চেহারায় বেশ একটা শ্ৰী আছে । স্কুলে পড়ে, সেলাই জানে, গান জানে, আবার ঘরের কাজও জানে। আর না জানিলেই বা কি ? রসিবাম্নীর হাতে পড়িলে মাটির ঢেলা কাজ করিতে বসিয়া যায়, তা তরুত জলজ্যাস্ত মাহুষ । রাসমণি নিজে ক্রমেই অক্ষম হইয়া পড়িতেছিলেন, এখন একটি বয়স্থা বধূর বিশেষ দরকার। তাহাকেই কে দেখে তাহার ঠিক নাই, তা ভিনি আবার সংসার দেখিবেন, ম-মরা নাতিনাতনীকে মাহুষ কfরবেন ? জামাইটাও আবার তেমনি কশাই । না-হয় স্ত্রীই মরিয়াছে, ভাই বলিয়া ছেলেমেয়েও কি পর হহয়। গিয়াছে ? একবার বাছাদের দেপিতে মৃদ্ধ আসে না। এমন ছোটলোকের ধরে ও তিনি মেয়ের বিবাহ দিয়াছিলেন । রমাপভি ও তরুবালাকে দেখিয়াছিল । বেশ মেয়েটি । স্কুলের লম্বা গাড়াটা ধখন আসিয়া দাড়ষ্টত, সহিস যখন হাক দিত, “গাড়ী আয় বাবা,” ভথম ভাংরি আরসিক মনটাও ধেন কেমন আন্‌চন কfরয়া উঠিত, চোখ দুইট। তাহার অজ্ঞাতসারেই গাড়ীর দরজা গিয়া ধরণ দিত । এহ মেয়েটি হইলে কিন্তু বেশ হয় । কি স্থ উ&ারা কি রমাপতিকে কণ্ঠ সম্প্রদান করিতে রাজা হুইবে ? উহাদের নিশ্চয়ই উচ্চাকাঙ্ক আছে, এভ কfরস্থা মেথেকে । গানবাজনা, লেখাপড়া শিথাইতেছে । রমাপতি মাত্র আই-এ পাস, ন হয় পিতৃপুণ্যফলে এখন পণ্ডদাগfর আপিপে দুশো টাকা মাহুিনার কাজই করিতেছে । কিন্তু কপাল ভাইর অনেক দিকেই ভাল ছিল । জরুবালার ম৷ বাবার উচ্চাকাঙ্গা হয়ত ছিল, কিন্তু পয়সা ছিল না। কাজেই রাসমণি ধখন ঘাচিয়। প্রস্তাব করিলেন, পণের টাকা-মৃদ্ধ ধাইবেন না কথা *িলেন, তখন তাহার। দু-একদিন ইতস্ততঃ করিয়া রঞ্জিী হইয়াই গেলেন । ম৷ বলিলেন, “সাধা সম্বন্ধ কথন ৪ ফেরাতে নেই, তাতে মঙ্গল হয় না।” 象 বাপ বলিলেন, “ছোকৃর। পাপ বেশ করেনি বটে, কিন্তু বুদ্ধিমুদ্ধি বেশ আছে, দেখ ছ -ন এরই মধ্যে দুশো টাকা মাইনে, ক্রালে আরও কত হবে । আমরা कडझे च्षाद्भ পেতাম, টাকার ক্টোর না ৰূকলে সে