পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] পোর্ট-আধারের ক্ষুধা ఆx يـمـمخصبـيــــد ‘বান্‌জাই’ হাকিতে উদ্যত হই, অমনি এই মারাত্মক অন্ত্রের সংহারের বfাটা দিয়া আমাদিগকে কাটাইতে স্থরু করে ; তার ফলে দেখিতে দেখিতে মড়ার ঢিপি ও পাহাড় রচনা হইয়া যায়। তাইপোশানের যুদ্ধের পর শত্রুর এলাকায় আমাদের এক সৈনিকের দেহ পাওয়া স্বায়, তার নাম হোদে, সে দ্বিতীয় দলের একজন "ক্ষীণআশা” সম্প্রদায়ের চর। তার দেহে সাতচল্লিশটা গুলি, কেবল ডান হাতেই পচিশটা ! অপর এক রেজিমেণ্টের সনিকের গায়ে সত্তরটার বেশি গুলি লাগিয়াছিল । এখানে শত্রুর চার পাচটি যুদ্ধের কুকুর নিহত দেখিতে পাই । বলিষ্ঠ, গায়ে ছোট ছোট বাদামী রোস্বা, মুখের চেহারা চালাক চতুর । আমাদের গুলিতে তার মরিয়াছে –ষ্টভর প্রাণী হইলেও যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্মানের ভাগ লইয়াছে । যুদ্ধে ব্যবহার করিবার জন্তই রুশের এই কুকুরগুলিকে তালিম দেয়, নানা কাজে এদের নিযুক্ত করে শুনিতে পাই কখনও কখনও হস্তারা চরের কাজও করিয়া থাকে | এই যুদ্ধের পর আমাদের দলের লোক একখানি পত্র কুড়াইয়া পায় । সেখানি রুশ-নায়ক জেনারেল ফকের লেখা । তাহাতে লেখা ছিল— “জাপানী সৈন্তদল ‘মাৰ্চ’ করিতে জানে কিন্তু পিছু হটিতে জানে না । কোনো জায়গা একবার আক্রমণ স্বরু করিলে ভীষণ একরোখা ভাবে লড়িতে থাকে । এটা নয় অনুমোদন করিলাম, কিন্তু যখন অবস্থাগতিকে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব হয়, তখন কখনও কখনও পিছু হটিলেও লাভ হইতে পারে । কিন্তু বিপদ যতই থাক জাপানীরা আক্রমণ চালাইবেই, কিছুতেই ক্ষাস্ত হইবে না । হয়ত জাপানী লড়াইয়ের কায়দা র্যারা রচনা করিয়াছেন তারা পিছু হটার কায়দা সম্বন্ধে চিন্তাই করেন নাই ।” » ፃ প্রাথমিক শুশ্রীষী-শিবির যুদ্ধের উত্তেজনায় আর কিছু ভাবিবার সময় পাই নাই, এখন বন্ধু ডাক্তার স্বাস্থইয়ের কথা মনে পড়িল । তিনি নিরাপদে আছেন ত ? সেদিন সন্ধ্যার আকাশে ঘনঘটা, আমি তাইপোশানের তলায় ছোট একটি স্রোতস্বতীর ধারে ধারে “উইলো’ গাছের তলায় একলা বেড়াইতেছি । ভাবিতেছিলাম, আহতের শুশ্ৰুযায় ডাক্তার নিশ্চয়ই খুব ব্যস্ত । এমন সময় হঠাৎ সেনানায়কের জুতার শব্দ কানে পৌছিল, ফিরিয়া দেখি, তিনি পাশে আসিয়া দাড়াইয়াছেন । “ডাক্তার য়্যাস্থই !” “লেফটেন্যান্ট সাকুরাই !” “বেশ ভালো আছেন ?” পরস্পরে সানন্দে করমর্দন করিলাম। উভয়ের কৃশতার উল্লেখের পর সম্প্রতিকার যুদ্ধের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলাম । কাপ্তেন মাৎস্কমারু আহত হইয়াছিলেন, তিনিও আসিলেন । র্তার কাধে সেই গুলির ঘায়েলাক, ফলকে-গোল-জানালা-ফুটানো তলোয়ার। তিনিও সাগ্রহে আমাদের কথাবাৰ্ত্তায় যোগ দিলেন । ডাক্তার Hiro orofoo oil-fitfox (first aid station ) নিখুত বর্ণনা করিতে লাগিলেন— যুদ্ধের সময় প্রায়ই শত্রুর গোলা চীনাদের বাড়ির কাছে পড়িত । আমাদের সাময়িক শুশ্ৰুষ-শিবিরেব সঙীন অবস্থা। একবার একটা মস্ত “শেল ছাত ফুড়িয়া উঠানে ফাটিয় ষাওয়ার ফলে অনেক আহত সৈনিক টুকর টুকরা হইয়া গেল। বাড়ির দেওয়ালে ও থামে তাদের রক্ত মাংসের ছাপ পড়িল । আর একবার বাহকের বহুকষ্ট্রে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একটি আহত সৈনিককে আনিয়া সবে উঠানে নামাইয়াছে, এমন সময় শত্রুর একটা গুলি ছিটকাইয়া আসিয়া বেচারাকে শেষ করিয়া দিল । শুশ্ৰুষা-শিবিরের সেসব হৃদয়-বিদারক দৃশু বর্ণনা করা যায় না । নরকের বিভীষিকার সঙ্গে তার তুলনা করিতে ইচ্ছা করে । একজন আহত লোককে আনিলেই, তা সে কৰ্ম্মচারীই হোক আর সাধারণ সেনাই হোক, ডাক্তার ও হাসপাতালের লোকেরা তার. প্রাথমিক শুশ্ৰুষার ব্যবস্থা করে। যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাগুলির প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আহতের সংখ্যাও ক্রত থেকে দ্রুততর