১ম সংখ্যা ] 8. S. চাই না ত তোমার তা হ’লে ? এই রাধু, তুই নিয়ে যা ত এগুলো, তোকে দিলাম।” রাধুরও বিলিতি জিনিষ লইবার তত ইচ্ছা ছিল না, কারণ ক্লাসের মেয়েরা তাহা হইলে তাহাকে অত্যন্ত হেয় জ্ঞান করিবে, কিন্তু মামার ভয়ে তখন আর সে কথা বলিতে সাহস করিল না, রেশম স্বতা সব উঠাইয়া লইয়া চলিয়া গেল । স্ত্রীকে খুশী করিবার জন্য রমাপতি পয়সা খরচ করিয়া জিনিষগুলি কিমিয়াছিল । সেগুলির ভাগ্যে এই রকম অভ্যর্থনা জোটাতে লে অভ্যন্তই চটিয়া গেল। তরু তাহাকে খাবার গুছাইয়া দিতেই সে আবার স্বরু করিল, “যাদের নিজেদের এক পয়স আনবার ক্ষমতা নেই, তারা টাকার দামও বোঝে না । এতগুলো টাকা যে জলে গেল, তা খেয়ালই নেই ।” তরু বিরক্তভাবে বলিল, “তোমায় হাজার বার বলেছি যে, বিলিতি জিনিষ আমার জন্যে এনে না, তবু যদি আন তা কার দোষ সেটা ?” রমাপতি বলিল, “হাজার বার লাখবার বলার কথ। হচ্ছে না। অত স্বাধীনতা থাটাতে গেলে চলবে না । স্বামীর ঘর করতে হ’লে, স্বামীর মতে চলতে হয়, এ আক্কেলটা তোমার থাকা উচিত ।” তরু বলিল, “স্বামীর ঘরে থাকৃছি ব’লে কি আমি একটা মাস্থ্য নয় ? আমার কি একটা মতামত থাকতে নেই ?” রমাপতি বলিল, “মতামত রাখবার মুরোদ সব মানুষের থাকে না। নিজের পেটের ভাত, পরনের কাপড়ও যার অন্ত লোকে দেয়, তার আবার মতামত কি ? ভাইটি ত মোট বয়ে দেশোদ্ধার করছেন, তুমি এবার লেকচার দিতে বেরোও, তা হলেই চারপোয় পূর্ণ হয়। কোনদিন আমার চাকরিটির মাথা ভোমরা খাবে দেখছি।” তরু বলিল, “ন গো না, তোমার চাকরি অক্ষয় হয়ে থাকৃবে। শালার অপুরাধুে তোমার অপরাধ তোমার প্রভুরা নেবে না, ত লেকৃচার ဇ{s हेिनि, দিই যদি ত তোমার ঐ বসে দেব না ।” বিষে বিষক্ষয় রমাপতি বিদ্রুপ করিয়া বলিল, “বিষ-নেই-সাপেরই কুলোপান চক্র হয় । এই সব ডেপোনী আমি দুচক্ষে দেখতে পারি না । ভালমন্দ বিচার করবার ক্ষমতা যাদের নেই, তাদেরষ্ট অন্ত লোকে বাদর নাচায় ।” তরু ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । রাগে দুঃথে তাহার দুই চোখ দিয়া জল পড়িতেছিল। সে এমন কি অপরাধ করিয়াছে, যে, এই অপমান লাইন নিতু তাহাকে সহ্য করিতে হইতেছে ? দুমুঠ ভাত, দুর্থানা কাপড় সংগ্রহের ক্ষমতা কি সত্যই তাহার নাই ? তাহার পথের বাধা যাহার, তাহারাষ্ট আবার তাহার অক্ষমতা লইয়া তাহাকে বিদ্রুপ করে । তাছার ইচ্ছা করিতে লাগিল, গায়ের জোরে সকল বাধা ঠেলিয়। সে বাহির হইয়া যায় । কিন্তু হায়, যাইবে কোথায় ? যাইবার স্থান তাঙ্গার নাই । এই বাড়ির চারিটা দেওয়ালের ভিতর তাহার যেন দম বন্ধ হইয়। আসিতেছিল। কোথাও অল্পক্ষণের জন্য পলাইতে পারিলে সে বাচিয়া যায়। শাশুড়ীর কাছে গিয়া অভ্যন্ত মিনতিপূর্ণ স্বরে সে বলিল, “ম, একবার ও-বাড়ি যাব ? বাবার শরীরটা ভাল নেই শুনছিলাম, তাকে একবার দেখে আসিব ।” শাশুড়ী অপ্রসন্ন মুখে বলিলেন, “কে বললে, তোমার . ভাই বুঝি ? অসুখ আবার কোথায়, এই ত দেখলাম কাল আপিস যাচ্ছে । ত ফাগু বাছা, আমি বারণ করব না, মনে মনে শাপ গাল দেবে ত ? দেথে যেন রাভ করে এসো না একেবারে, কেণ্ঠে তাঙ্গ’লে সব পিণ্ডি বানিয়ে রাখবে ।” তরু কেষ্টোকে একটু দাড়াইতে বলিয়া তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া পড়িল । বাপের বাড়ি পৌছিয়া দেখিল, ঘরে বিশেষ কেহই নাই, মা একল রান্নার জোগাড় করিতেছেন। তাহাকে দেখিয়া বলিলেন, “কি রে, এমন সময়ে যে ” তরু বলিল, “এই এলাম একটু, আসতে কি নেই ? ৰাবা কোথায়, দাদা, বিল্প, চারু এর সব কোথায় ?” তাহার মা বলিলেন, “তোমার বাবা কবে আবার এমন সময় বাড়ি গ্রাঞ্জ" নীহার জার বিহু কোt সভা
পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।