পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা শ্ৰীমনোজ বস্তু উড়ো খবর নয়—পোষ্ট্রকার্ডের চিঠি, স্বধীর নিজ হাতে লিখিয়াছে। “বাবা, বহু দিন আপনাদের কুশল-সংবাদ না পাইয়া চিস্তিত আছি। শনিবার বারোটার গাড়ীতে বাড়ি পৌছিয়া শ্রীচরণ দর্শন করিব এবং বিস্তারিত সাক্ষাৎ মতে নিবেদন করিব।” শনিবার অর্থাং আগামী কাল । নিবারণ তাড়াতাড়ি বাড়ির মধ্যে গবর জানাইলেন । পুরা দুইটি বছর আস্তে ছেলে বাড়ী আসিতেছে । ছুটি পায় নাই বলিয়। নহে, বরঞ্চ এতদিন ছুটি ছিল দিবা-রাত্রি চব্বিশ ঘণ্টাই । চাকুরির উমেদারীতে এ-যাবৎ যুক্ত হঁাটাহঁাটি করিয়াছে লগুণব সমষ্টিতে বোধ করি পদব্রজে ভারতবর্ষ হইতে ল্যাপল ও অবধি পরিভ্রমণ সাব। ইষ্টয়া যায় । উক চাকরি ছুটয়া৬ে, ভাল চাকবি এবং প্রথম ছুটি । পাজি খুলিয়। নিবারণ মনোযাগ সহকারে শনিবার তারিখটাৰ গোড়া হইতে ভাগ অবধি পড়িয়া ফেলিলেন, একটা কিছু পূজাপাৰ্ব্বণ চোখে পড়িল না। ছুটিটা কিসের সাব্যস্ত হইল না । বুধবারে ইদের বন্ধ আছে বটে, চিঠির তারিখটা শনিবার কি বুধবার লিখিয়াছে— দৃষ্টি-বিভ্রম হটতে পারে, ভাল করিয়া আর একবার মিলাইয়া দেখিতে বালিশের নীচে হাত দিলেন, তারপর বিছানা উন্টাইয়া ফেলিলেন, তবু চিঠি পাওয়া গেল না। যতদূর মনে পড়ে, বালিশের তলায় রাখা ছিল, তবে যায় কোথায় ? চিঠি তখন চলিয়া গিয়াছে উত্তরের ঘরে বাদামতলার দিককার জানালার কাছে। চোরে চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছে – চোর কিরণমালা। চার পাচ লাইনের क्रि,ि किरू भूकौत्र छालाग्र रूथ कब्र श्ञि श्ब्र পড়িবার জো আছে ? খাব দিয়া ধরিতে যায়। অবশেষে এই शश्। ছোট ননদ পটলীকে অনেক খোসামোদ করিয়া তাহার কোলে খুকীকে পাড়ায় পাঠাইয়া দিল। তারপর কিরণ এদিক ওদিক তাকাইয়া আর একবার সবেমাত্র কাপড়ের ভিতর হইতে বাহির করিয়াছে, আবার বিপদ ! শাশুড়ী আসিয়া ঢুকিলেন। কিরণ চিঠি ঢাকিয়৷ ফেলিল। শাশুড়ী সেকেলে মাতুষ, অতশত দেখেন नl ; আসিয়াই বলিলেন—বেীমা, বিছানার চাদর ওয়াড়টোয়াড়গুলো খুলে দাও ত শীগগীর—এখন গারে গেছ ক’রে রাখি, ভোর থাকৃতে থাকৃতে কেচে দেব—কেমন ? বধু সায় দিয়া বলিল,- হ মা, কি রকম বিচ্ছিার ময়লী ইয়ে গেছে, দেথ না— শাশুড়ী বলিলেন-থোকা বারোটার গাড়ীতে যদি আসে তার আগেই সব কেচে দেব। নোংরামি মোটে সে দুচক্ষে দেখতে পারে না। আর তোমাকেও বলে দিচ্ছি মা, এরকম পাগলীর মেয়ের মত বেড়াতে পারবে না-কালকে সকাল-সকাল নেয়ে ফিটফাট থেকে : ঘে যেমন চায় তেমনি থাকৃতে হয় শহরে বাজারে থাকে, বোঝ না ? আনন্দে কিরণের বুকের ভিতরে কেমন করিতে লাগিল, হাসিও পাইল । খোকা- বুড়ে থোকা— অতবড় গোফওয়াল ছেলে, এখনও মা কিনা খোৰ। বলিয়া ডাকেন ! এদিকে বাহিরে নিবারণের গল। উচ্চ হইয়া উঠিয়াছে । ঘটনাটা এই—নটবর কামার বছর পাচ সাত জাগে একখানা বঁটি গড়িয়া দিয়াছিল, তাহার দরুণ এখনও তিন আনার পয়সা বাকী। উক্ত পয়সার তাগাদ করিতে আসিয়া এমন ভাবে চাপিয়া ধরিয়াচে C, তৃতীয় ব্যক্তি কেহ উপস্থিত থাকিলে নিশ্চয় মনে ভাবিত, ঐ তিন আনার পয়সা এখনই হাতে না পাইলে বেচারা সবংশে নিৰ্ঘাত মারা বাইবে । ফিs