পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রাজা V8& মাথার উপরে । নারদ যাবার মুখেও একবার দ্বাড়ির তাগাদ দিলেন স্বধীর বলিল—ব্যস্ত হবেন না, কালকের মিটিঙে সব এষ্টিমেট ঠিক হবে । দু-তিনজন জাসিয়া স্বধীরর্কে বাড়ি অবধি পৌছাইয়া দিয়া গেল । দোরে খিল জাট, একটা জানল খোলা ছিল। স্থধীর দেখিল-মিট মিট করিয়া হেরিকেন জলিতেছে, থালায় ও বাটিতে ভাত ব্যঞ্জন ঢাকা দেওয়া এবং ঠিক তাহার পাশেই মাটির মেঝেতে কিরণ ঘুমাইয়া আছে। অনেকক্ষণ বসিয়া বসিয়া অবশেষে বেচারী ওখানেই শুইয়া পড়িয়াছে। মনট কেমন করিয়! উঠিল, ডাকিল—কিরণ, ও কিরণ— দু-বছর আগেকার সেই ডাক একেবারে ভুলিয়া যায় নাই ত । কিরণ ধড়মড় করিয়া উঠিয় দোর খুলিয়া দিল । সুধীর বলিল – তাড়াতাড়ি করছ কেন, বোসোই না । ভাতের দরকার নেই, গাঙ্গুলী গিল্পীর যা কাও—তিন দিন না থেলেও ক্ষতি হবে না-- কিরণ মৃদু হাসিয়া বলিল—তিন দিন থাকছ ত ? বাবাকে আজি আসবার জন্তে লিখে দিলাম, পত্তোর পেয়ে মঙ্গলবার নাগাদ ঠিক এসে পড়বেন-এ তিনটে দিন থাকতে হবে কিন্তু । - স্বধীর বলিল—মোটে তিন দিন ? এরি মধ্যে তাড়াতে চাও, ভারী নিষ্ঠুর ত তুমি ! তিন মাসের কম নড়ছিনে—দেখে নিও— । আচ্ছ, আচ্ছা-দেখব-কিরণ মুখ টিপিয়া হাসিতে লাগিল । আর বড়াই করে না, মায়া-দয়া সব বোঝা গেছে । আমরা না-হয় পর, নিজের মেয়েকেও কি একটিবার চোখের দেখা দেখতে ইচ্ছে করে না ? স্বধীর বলিল—সে কথা ত বলবেই কিরণ, তার সাক্ষী ভগবান। তারপর মুখখানা অতিশয় মান করিয়া কহিতে লাগিল,—শরীরের কি হাল হয়েছে, দেখতে পাচ্ছ ত । দু-বছর যা কেটেছে, অতিবড় শত্তরের তেমন না হয় । জায়গা না পেয়ে একরকম রাস্তার ফুটপাথে শুয়ে কাটিয়েছি—এক পয়সার মুড়ি খেয়ে দিন কেটেছে, কদিন তাও জোটেনি। ভাগ্যিস্ রাস্তার কলের জলে পয়সা লাগে না— কিরণের চোখ ছল ছল করিয়া উঠিল, তাড়াতাড়ি বলিল—থাকৃগে, তুমি থাম। একটু চুপ করিয়া থাকিয়া নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল - ষে দুঃখ কপালে লেখা ছিল তা যাবে কোথায় ? সে ছাইভস্ম ভেবে আর কি হবে বল । छ्थप्न एक श्बा ब्रश्नि । घूयरू cश्वरबद्र निष्क তাকাইয়া আবার কিরণের হাসি ফুটিল । ওগো তুমি খুকীকে দেখলে না ? এমন দুষ্ট হয়েছে—ঐটুকু মেয়ে, হাড়ে হাড়ে বজাতি – স্বধীর কহিল,—দেখব না কেন ? দেখছি ত । কিরণ যেন কত বড় গিল্পী । তেমনি স্বরে কহিল—ও আমার কপাল, ঐ রকম দেখলে হয় নাকি ? মেয়ে আমার সাথে কত দুঃখ করছিল—বাৰ আমায় কোলে নিলে না, আদর করলে না। তুমি খুকীকে একটা সৰু হার গড়িয়ে দিও-নিৰ্ম্মল! দিদির মেয়েকে দিয়েছে, খাস। Cुfम्ल সুধীর জিজ্ঞাসা করিল-মেয়ে কথা বলতে শিখেছেনাকি ? —বলে না ? সব কথা বলে, সে কি আর তোমরা বুঝতে পার ? বলিয়া হাসিতে লাগিল। তারপর. আবার সুরু করিল—সেদিন বলছিল, বাবাকে একখানা ঠেলা গাড়ী কিনে দিতে বোলো—তাই চড়ে গড়ের মাঠে হাওয়া খাব— স্বধীরও হাসিল। বলিল—বটে, আবার গড়ের মাঠের সর্থ হয়েছে ? —কেন অষ্টায়টা কিসের ? খালি খালি চুপটি ক’রে বাসায় বসে থাকবে বুঝি—তুমি ভাব আমরা কিছু জানিনে। আমাকে না লিখলে কি হয়, শ্বশুরুঠাকুর সব রাষ্ট্র করে দিয়েছেন । —কি শুনেছ বল ত । —মস্তবড় বাড়ি ভাড়া করেছ, আমাদের সবাইকে নিয়ে যাচ্ছো—কোনটা শুনিনি । তাই তাড়াতাড়ি বাবাকে আগবার জন্য চিঠি দিলাম, যাবার আগে একটিবার দেখ৷ করে ধাই – কতদিনু দেখা হবে না । স্বধীরের মুখ অত্যস্ত বিবর্ণ হইয়া গেল। বলিল—এ • সব মিছে কথা কির e৮মিছে ক f