পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ზ8ს• সে-সবই অবলম্বন করিতেছে। সিন্ধুদেশে অস্পৃশ্ব ব্রাহ্মণ জাছে । উড়িষ্য হইতে অনেক ব্রাহ্মণ আসিয়া কলিকাতার রাস্তায় ঝাড়ুদারের কাজ করে । দক্ষিণদেশের ব্রাহ্মণের কৃষক, শিল্পী, শ্রমজীবী। ভারতের সর্বত্রই মোটামুটি এইরূপ অবস্থা । অল্প পক্ষে ব্রাহ্মণেগুর জাতি, এমন কি অস্পৃক্তেরাও অনেক স্থানে শিক্ষাদীক্ষার উচ্চস্তরে উঠিয়াছে, অনেকক্ষেত্রে তাঙ্কাৱা শ্রেষ্ঠ বৃত্তিসমূহ অবলম্বন করে। জাতির মধ্যে গভীর ঐক্যবোধ ও সহানুভূতি এবং সামাজিক কাৰ্য্যপরম্পরার একটা স্থশুস্থল অর্থনৈতিক বিভাগ, ইহাই ছিল প্রাচীন জাতিভেদের প্রকৃত শক্তি । এখন ইহা চিরকালের মত অভহিত হইয়াছে, অথচ জাতির অভিমান এখনও প্রবল আছে এবং ডাহা এক জাতিকে তীব্রভাবে অন্য জাতি হইতে পৃথক করিয়া রাখিতেছে। ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত সম্বন্ধে একটি গল্প প্রচলিত আছে – একটি হিন্দু বালিকাকে পাঠানের অপহরণ করিতেছিল ; কিন্তু স্থানীয় ব্রাহ্মণের তাহ দেখিয়া ও বালিকাকে সাহায্য করিতে বা রক্ষা করিতে বিন্দুমাত্রও চেষ্টা করে নাই, কারণ মেয়েটি ছিল বেনের মেয়ে, বেনিয়া-কী লেড়কী ! বৰ্ত্তমান হিন্দুরা কি জাতির মধ্যে, কি বাহিরে, কোথাও ঐক্য ও সহানুভূতির বন্ধন উপলব্ধি করে না ; যে হিন্দু শিক্ষাদীক্ষা প্রাচীন কালে সমস্ত ভারঙের বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন সম্প্রদায়কে এক বিরাট জীবন্ত ঐক্যে, বৈচিত্র্যপূর্ণ সাম্যে গড়িয়া তুলিয়াছিল, সে শিক্ষাদীক্ষা আজ নির্জীব, প্রাণহীন হইয় পড়িয়াছে । ইহার অবশুম্ভাবী ফলস্বরূপ হিন্দুসমাজ শতধা বিভিন্ন হষ্টয়া ভাঙিয়া পড়িতেছে । প্রাচীনকালে জাতিভেদের যে উপষোগিতা বা সার্থকতাষ্ট, থাকুক না কেন, এখন ইহা তাঙ্গর প্রাচীন -সত্তার প্রেতে পরিণত হইয়াছে এবং সমাজের যে কত অনিষ্ট সাধন করিতেছে তাহার ইয়ত্তা নাই । বিদেশী সমালোচকের মূল সত্যের সন্ধান করিতে পারে না বা চাহে না। তাহার। বর্তমানে প্রচলিঞ্চ অর্থহীন, অনিষ্টকর অত্যাচারী এই জাতিভেদকে দে খাইয়া পিয়াই প্রমাণ করিতে চায় যে, ভারতের শিক্ষাদীক্ষা, ভারতের কালচার প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড ও সভ্যতা অতি হীন । কেহ কেহ আবার বিদেশী শাসনকে সমর্থন করিতেও জাতিভেদের দোহাই দিয়া থাকে | ভারতে যেরূপ জাতিবিদ্বেষ তাহাতে যদি একটি শক্ত বিদেশী গবর্ণমেণ্ট বিভিন্ন জাতির মধ্যে সামঞ্জস্ত বিধান করিতে এখানে চিরবিরাজমান না থাকে, তাহা হইলে মানবতার প্রতি আবিচার, অত্যাচার করা হয় ! কিন্তু ভারতের শক্ররা আমাদের সমাজের এই গ্নানিকে কেমন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্ত ব্যবহার করিতেছে, সে কথা না হয় ছাড়িয়া দিলাম। তবু জানি জাতিভেদ ভিতর হইতে আমাদের সমগ্র সমাজপ্রতিষ্ঠানকে বিষাক্ত করিয়া তুলিয়াছে। এই জাতিভেদের গুগুষ্ট হিন্দুসমাজে যথাযোগ্য বিবাহ এত বিরল । জাতির মধ্যেই কষ্কার বিবাহের ব্যবস্থা করিতে হয় বলিয়া নিষ্ঠুর বরপণ এমন অতিমাত্রায় বাড়িয়া উঠিয়া লোককে সৰ্ব্বস্বাস্ত করিয়া দিতেছে । বংশানুক্রমে সঙ্কীর্ণ জাতির গণ্ডীর মধ্যে বিবাহ করিয়া হিন্দুর রক্ত নিস্তেজ হইয়। পড়িয়াছে, হিন্দুর স্বাস্থ্য ও প্রাণশক্তি হীন কৃষ্টয়া পড়িয়াছে, ইতিমধ্যেই বৈজ্ঞানিকের হিন্দুজাতিকে ধ্বংসোন্মুখ জাতি, *the dying race”, বলিতে আরম্ভ করিয়াছেন । এষ্ট মারাত্মক দোষের প্রতিকার করিতে বিভিন্ন জাতির মধ্যে অবধি বিবাহের প্রচলন খদি অবিলম্বেই করিতে পারা ন৷ যায়, তাহা হইলে জগতের অন্যান্য অনেক প্রাচীন সভ্য জাতির স্থায় তিন্দু ও শস্ত্র ধরাপুষ্ঠ হইতে লুপ্ত হুইবে । অতএব জাতিভেদকে ঝাড়ে-মূলে ঘুচাইয়া দেওয়া হিন্দুর পক্ষে মরণ-বাচনের প্রশ্ন । কিন্তু এ-পর্য্যস্ত এই আন্দোলন বিশেষ অগ্রসর হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না ; আমাদের সংস্কারকের কেবল জোড়াতালি দিতে চাহিতেছেন ; তাহারা বিভিন্ন জাতির মধ্যে আহারের, ( interdining ) প্রচলন করিতেছেন, অস্পৃশুদের জন্ম বিদ্যালয়, দেবমন্দির খুলিয়া দিতেছেন, একই জাতির বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে বিবাহের প্রচলন করিবার চেষ্টা করিতেছেন । কিন্তু যতক্ষণ না ভিন্ন জাতির সহিত বিবাহ প্রচলিত হইতেছে, ততক্ষণ জাতিভেদের ८णाश्रृं इहेञ्चाcझ बलि८ङ *ांब्रां शाब्र न । बिबांझ् ব্যতীত অন্ত সকল ব্যাপারেই আজকাল জাতিভেদ