পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] পাহাড়পুর পুল:ণর পুধের পহি দুপুঞ্জের দৃপ্ত পাহাড়পুর নামটি কিন্তু আধুনিক। খনন করিবার পূৰ্ব্বে স্থপটি পাহাড়ের মত দেখাইত । সেইজন্য যে এই নামের জন্ম হইয়াছে তাহা বেশ বোঝ! যায়। এই গ্রামের প্রাচীন নাম ছিল সোমপুর । ভগ্নাবশেযের মধ্যে প্রাপ্ত একটি মুদ্রাতে ( seal ) লেথা আছে, “সোমপুর-ধৰ্ম্মপাল বিহার" । ১৯০৮-৯ সনের *আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে’র রিপোটের ১৫৮ পৃষ্ঠায় বৌদ্ধগয়ায় প্রাপ্ত একটি শিলালিপির উল্লেখ দেখিতে পাই । উক্ত লিপিতে সোমপুর বিহার নিবাসী বীৰ্য্যেন্দ্র নামে এক স্ববিনয়ঞ্জ মহাযান পন্থী ভিক্ষুর উল্লেখ আছে । ইহার পূৰ্ব্বনিবাস ছিল সমতটে অর্থাৎ কুমিল্লা নোয়াখালীর কোন স্থানে । ইহা হইতে মনে হয় যে, সোমপুর বাংলা দেশের কোন স্থানে অবস্থিত ৷ পাহাড়পুর বিহারে “সোমপুর-ধৰ্ম্মপাল-বিহার” এই পদাঙ্কিত মুদ্রা পাওয়াতে মনে হইতেছে যে, পাহাড়পুরের পূর্ব নামই সোমপুর। আরও আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, পাহাড়পুরের পাশ্ববর্তী গ্রামের নাম ওমপুর ।

  • جب-8 ہوا

• કોફ? -; 1છ1:1ત cમ છે. જી , পাহাড়পুরের বিহারটি সমচতুৰ্ভজ ও প্রায় ত্রিশ বিঘা জমির উপর অবস্থিত । এই চতুরস্ৰ ক্ষেত্রের কেন্দ্রস্থানে একটি স্তুপ-প্রায় পচাত্তর ফিট উচ্চ । এই স্তুপটিতে কোন কালে কোন সাধু সম্ভের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষিত হইয়াছিল । কেন-না ইহার তলদেশ পর্য্যস্ত খনন করিয়া দেখা গিয়াছে যে, সমাধিরূপে ব্যবহার করিবার জন্ত ইহাতে সকল প্রকার ব্যবস্থা করা হইয়াছিল । কিন্তু ইহাতে অস্থি বা অন্ত প্রকারের কোন চিহ্নই প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই। কেহ কেহ অহমান করেন যে, এই স্তুপটি সৰ্ব্বপ্রথমে জৈন ও প ছিল । কেন-না এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্রাপ্ত ১৫৯ গুপ্তাদের এক তাম্রশাসনে দেখিতে পাণ্ডয়া যায় যে, এক ব্রাঞ্চণ-পরিবার স্ত পসংলগ্ন বিহারের নিগ্রন্থ বা জৈন অধিবাসীদিগের পুজা ও অন্যান্ত কৰ্ত্তব্য কশ্বের ব্যয়নির্বাহীর্থ বিহারস্থবির গুহনন্দী ও তাহার শিষ্যদিগের উদ্দেশ্যে বটগোহালি গ্রামে একখণ্ড ভূমি দান করেন, পাহাড়পুরের নিকটবর্তী গোয়ালভিটা নামে যে গ্রাম আছে, অনেকের মতে তাহাই